OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশে অনলাইনে বিজনেস করার ১৫টি আইডিয়া ২০২৪

প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ এ কি কি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেব। অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা করতে চান কিন্তু কিন্তু কি ব্যবসা করবেন সেই বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ এর পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে আলোচনা করব বাংলাদেশী বিজনেস আইডিয়া গুলো সম্পর্কে।এছাড়াও যারা অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাদের সুবিধার্থে আলোচনা করব অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই, বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ বা বাংলাদেশী বিজনেস আইডিয়া এবং অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ ইত্যাদি বিষয়গুলো। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ

বিজনেস আইডিয়া বলতে কী বোঝায়?

বিজনেস আইডিয়া বা ব্যবসার ধারণা বলতে আমরা বুঝি কোন একটি সমস্যা সমাধানের উপায়। এই সমস্যা মূলত একজন গ্রাহকের। আর একজন নতুন ব্যবসায়ী গ্রাহকের সেই সমস্যার সমাধান করে দিবে।মোটকথা গ্রাহকের সমস্যা সমাধানের উপায় কেই আমরা বিজনেস আইডিয়া বলতে পারি। 

বিজনেস আইডিয়া এর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদ্ভাবনী, ইউনিক, সমস্যার সমাধান এবং লাভজনক কিনা এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। উদ্ভাবনী উপায়ে যেকোনো ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এছাড়াও একটি বিজনেস আইডিয়া অন্যদের চেয়ে ইউনিক হতে হবে কোন বিজনেস যদি একই ধরনের হয়ে থাকে তাহলে অন্যদের চেয়ে একটু ইউনিক করে মার্কেটিং করে ব্যবসা করতে হবে। কোন ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই দেখতে হবে যে এটি গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতে পারছে কিনা।এবং আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করেছেন সেটি অবশ্যই অল্প হলেও লাভজনক করতে হবে। প্রথম অবস্থায় অনেকেই কম লাভ করে ব্যবসার প্রসার এর জন্য তবে ব্যবসা অল্প হলেও লাভজনক কি না এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে । 

যেকোন ব্যবসা শুরু করার আগে কি করা উচিত?

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে, অবশ্যই ব্যবসা নিয়ে ভালো মত খোঁজখবর নিতে হবে। কোন ব্যবসা শুরুর আগে কত টাকা মূলধন প্রয়োজন, আপনি কি বিষয়ে ব্যবসা করতে চান, আপনার পণ্য বা সেবা টি কাদের কাছে বিক্রি করতে চান , আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কারা, ব্যবসা অনলাইন নাকি অফলাইন এ করবেন এসব বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে গবেষণা করে তারপর ব্যবসা শুরু করা উচিত।

এছাড়াও আরো কিছু বিষয় যেমন আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করতে যাচ্ছেন সেটি ভবিষ্যতে স্কেলিং করে বড় করা যাবে কিনা ভবিষ্যতে আরও মূলধন প্রয়োজন হলে আপনি জোগাড় করতে পারবেন কিনা এ সমস্ত বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে জেনে নিন

আরেকটি বিষয় হল ব্যবসার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন। কিছু ব্যবসা দক্ষতা ছাড়া চালানো যায়, আবার কিছু ব্যবসা দক্ষতা ছাড়া করা যায় না।

আপনি যদি আপনার ব্যবসা দ্রুত স্কেল করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যবসার অনলাইন বেচাবিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন এর সময় এবং অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা এখন নিয়মিত একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে অনলাইন ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যে কোন ব্যবসা শুরুর আগে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করা উচিত।

বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ | বাংলাদেশী বিজনেস আইডিয়া 

আমরা এখন জেনে নেব বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ এ কি কি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা করতে চান কিন্তু কি বিজনেস করবেন সেই সম্বন্ধে আইডিয়া পাচ্ছেন না তাদের সুবিধার্থে বেশকিছু বাংলাদেশী বিজনেস আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।  

আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের বিজনেস আইডিয়া রয়েছে যেমন, খাবার সম্পর্কিত বিজনেস আইডিয়া, সেবা বা সার্ভিস সম্পর্কিত বিজনেস আইডিয়া, পণ্য কেনা-বেচা সম্পর্কিত বিজনেস আইডিয়া, কৃষি সম্পর্কিত বিজনেস আইডিয়া এছাড়া হাজার রকমের বিজনেস আমাদের বাংলাদেশে করা যেতে পারে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিক বিজনেস আইডিয়া নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হল।

খাবার সম্পর্কিত বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ | অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ

খাবার আমাদের মৌলিক চাহিদার অন্যতম একটি উৎস। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিন খাদ্যের প্রয়োজন হয়। আর সেই প্রয়োজন কে মাথায় রেখে কিছু খাবার ভিত্তিক বিজনেস আইডিয়া গুলো নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।

ফুড কার্ট ব্যবসাঃ

ফুড কার্ট ব্যবসা হলো কোন একটি জনবহুল স্থানে কোন একটি ভ্যানের উপর কোন একটি খাবার বিক্রি করা। শহর এলাকায় এই ধরনের ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা মেসে থাকে। তারা তাদের ভার্সিটি বা কলেজে এসে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার খাওয়া পছন্দ করে।ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টার্গেট করে ফুডকার্ট ব্যবসা খুবই ভাল একটি ব্যবসা করতে পারে। ফুডকার্ট ব্যবসায়  বিভিন্ন খাবার যেমনঃ বার্গার, স্যান্ডউইচ, নুডুলস, ফুচকা, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই ইত্যাদি চাহিদাসম্পন্ন খাবারগুলো ফুড কার্ট ব্যবসায় সংযুক্ত করা যেতে পারে। কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় এর বাইরে বা জনবহুল এলাকায় ফুড কার্ট নিয়ে বসলে ভালোই বেচা বিক্রি হবে।

খাবার ডেলিভারি ব্যবসাঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ঢাকা শহর বা বিভাগীয় শহরগুলোতে চাকরি করেন কিন্তু তাদের পরিবার গ্রামে থাকে।এমন অবস্থায় অনেকেই খাবার নিয়ে ঝামেলায় পড়েন। যারা শহরে থাকেন তাদেরকে টার্গেট করে অফিস টাইমে দুপুরের লাঞ্চ হিসেবে কয়েকটি খাবারের মেনু মানিয়ে তাদেরকে দেখাতে হবে। তারা যেটা পছন্দ করবে সেটা তাদের অফিসে বা যারা বাসায় নিতে চাই তারা বাসাতেও নিতে পারেন এমন ব্যক্তিদের খাবার ডেলিভারি একটি ভালো ব্যবসা হতে পারে। এতে করে যারা কর্মব্যস্ততার কারণে রান্নাবান্না বা খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধায় ভোগেন তারা সম্পূর্ণ ফ্রেশ খাবার একটি সার্ভিস থেকে পেতে পারেন।এই ধরনের ব্যবসার জন্য খুব বেশি পুঁজি প্রয়োজন হয় না।

এ ধরনের ব্যবসায়িক কাস্টমার জোগাড় করার জন্য আপনি আপনার সার্ভিস সম্পর্কে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে বলতে পারেন এতে করে অনেকেই আপনার খাবার নিতে চাইবে আবার একটি ফেসবুক পেজ করে সেখানে আপনার খাবার ডেলিভারি ব্যবসার সবকিছু বিস্তারিত উল্লেখ করে আপনার শহরে মার্কেটিং করতে পারেন এতে করে অনলাইন থেকেও অনেক কাস্টমার পেয়ে যাবেন।

বেকারি ব্যবসাঃ

আমাদের প্রতিদিনের নাস্তায় বেকারির খাবার অবশ্যই লাগে। আর সেই প্রয়োজনীয়তা কে টার্গেট করে আপনি একটি বেকারি ব্যবসা করতে পারেন। বেকারি ব্যবসা করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করার জন্য বেশকিছু মেশিন কিনতে হবে। এরপর আপনি সঠিক পরিকল্পনা করে একটি দোকান নিয়ে সেখানে আপনার বেকারি পণ্য বিক্রি করতে পারেন।তবে দোকানটি অবশ্যই একটু জনবহুল এলাকায় হলে ভালো হয় এই বিষয়টি আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।আবার বেকারি ব্যবসাটি কে আপনি অনলাইনে ও নিয়ে যেতে পারেন। এই জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল। আপনি আপনার ফেসবুক পেজে অথবা ইউটিউব চ্যানেলে ছবি অথবা ভিডিও বানিয়ে আপনার পণ্যের প্রচারণা করতে পারেন । যারা অনলাইনে অর্ডার দিবে তারা বাসায় বসে পণ্য পেয়ে যাবে। এর ফলে  আপনার শহরে আপনার বেচাবিক্রি অনেকটাই বেড়ে যাবে। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে এটি যেহেতু খাবার পণ্য তাই অবশ্যই অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে ফ্রেশ খাবার দেয়ার চেষ্টা করবেন এছাড়া ব্যবসা খুব বেশি লাভজনক হবে না। 

আরো পড়ুনঃ ই- কমার্স ব্যবসা কি -ই-কমার্স ব্যবসার নীতিমালা কি জেনে নিন

কফি শপ ব্যবসাঃ

কফি এবং চা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম আছে। কফির স্বাস্থ্যগুণ আমরা সবাই জানি। অনেকেই আছেন যারা একটু কম খরচে কোন একটি সুন্দর জায়গায় বসে কফি খেতে পছন্দ করেন তাদের কে টার্গেট করে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে একটি কফি শপ তৈরি করতে পারে এইখানে কেউ এসে চা কফি খেতে পারবে একসাথে বই পড়ার পরিবেশ ও রাখতে পারেন। যারা বই পড়তে পছন্দ করেন তারা এখানে এসে বই পড়বে এবং কফি খাবে।

একটি ছোটখাটো কফিশপ করার জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়না এবং খুব বেশি ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না কিন্তু আপনার শহরে একবার জনপ্রিয়তা পেয়ে গেলে আপনার কফি শপ এর ব্যবসা অনেক লাভজনক হতে পারে।

চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্টফুড ব্যবসাঃ

বর্তমান সময়ে ফাস্টফুড এবং চাইনিজ ফুড খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের দেশে।বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ফাস্টফুড খেতে খুবই পছন্দ করে। সেই তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে কোন ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি বা জনবহুল এলাকায় একটি সুন্দর নামের এবং সুন্দর পরিবেশ এর রেস্টুরেন্ট আপনি তৈরি করতে পারেন। তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকাংশেই রেস্টুরেন্টে যেতে পছন্দ করেন এবং তারা যেসব খাবার পছন্দ করে সেসব খাবার মেনুতে রাখতে হবে। 

চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্টফুড ব্যবসা অনলাইন লেভেলে আপনারা নিয়ে যেতে পারেন। এজন্য প্রথমে আপনার একটি ফেসবুক পেইজ প্রয়োজন হবে এখানে আপনার রেস্টুরেন্টে কি কি পাওয়া যায় এবং সেগুলোর প্রাইস কত এই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে আপনার ফেসবুক পেজটি তৈরি করতে হবে। এবং যে শহরের আপনার রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত সেই শহরে ভালোমতো মার্কেটিং করলে অনেক গ্রাহক পেয়ে যাবেন একইসাথে অনলাইন থেকে অর্ডার পাবেন। ডেলিভারি ব্যবস্থার জন্য আপনারা ফুডপান্ডা সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে বেচাবিক্রিও অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব।

হোম সার্ভিস বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ | অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ

মানুষের ব্যস্ততা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। চাকরি-বাকরি ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কারণে অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করেন এর ফলে বাসা বাড়ির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং বাজার করার সমস্যার তারা মুখোমুখি হন। এই সমস্যা সমাধানে হোম সার্ভিস বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মানুষের জীবন সুন্দর করতে। হোম সার্ভিস সম্পর্কিত এই রকম কিছু বিজনেস আইডিয়া নিচের আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।

বাড়ি ঘর পরিষ্কার সেবাঃ

অনেকেই আছেন যারা ব্যস্ততার মধ্যে নিজের বাড়িঘর ঠিকমতো পরিষ্কার করতে পারেন না। তাদের জন্য ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার সেবা খুবই উপকারী হবে। একই সাথে অনেকের বাসায় তেলাপোকা এর সমস্যা দেখা যায়। এসব তেলাপোকা নিধন করা প্রায় অসম্ভব।আপনি যদি এমন একটি সার্ভিস বের করেন যেখানে আপনি আপনার শহরের যে বাড়ি থেকে কল করা হবে সেই বাসায় বাড়ি পরিষ্কার বা তেলাপোকা এর মত সমস্যার সমাধান করে দিবেন এমন সার্ভিস শুরু করেন তাহলে সেটি খুবই উপকারী একটি সেবা হবে। আমাদের বাইরের দেশে এই ধরনের সেবা অলরেডি আছে কিন্তু আমাদের দেশে এমন সেবা খুব একটা দেখা যায় না। বাড়ি ঘর পরিষ্কার সেবা এর জন্য খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না অল্প কয়েকজন লোক নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। 

বাগান করার সেবাঃ

গ্রামে বা শহরে অনেকেই আছেন নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় বাড়ির ছাদে বাগান করতে পছন্দ করেন। আপনি যদি এমন একটি সেবা চালু করেন যেখানে একজন কাস্টমার যে ধরনের বাগান পছন্দ করে আপনার প্রতিষ্ঠান সেই ধরনের বাগান ওই ব্যক্তিকে করে দিবে। এটি একটি খুবই স্মার্ট আইডিয়া হবে ব্যবসা করার জন্য।

ফটোগ্রাফি ব্যবসাঃ

অনেকেই আছেন ছবি তুলতে পছন্দ করেন। সেটি কোন জন্মদিনের অনুষ্ঠান হোক বা বিয়ের অনুষ্ঠান হোক।আপনার যদি একটি ক্যামেরা থাকে এবং আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে পারেন তাহলে ফটোগ্রাফির ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনার পরিচিত আশেপাশের যারা আছেন তাদের আপনি ফ্রিতে ছবি তুলে দিন তারাই তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনাকে ছবি তোলার জন্য ভাড়া করবে। আপনি একটি প্যাকেজ এর মাধ্যমে ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। একটি ফেসবুক পেজ খুলে আপনি সেটি মার্কেটিং করে আপনার আশেপাশে আপনার ফটোগ্রাফি ব্যবসাটি ছড়িয়ে দিতে পারেন।

মুদিখানার ব্যবসাঃ

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু লাগে বেশিরভাগ জিনিস তেল, আটা, ময়দা, লবণ ইত্যাদি আমরা মুদিখানার দোকান থেকে নিয়ে আসি। আপনি যদি এমন একটি মুদিখানার দোকান তৈরি করেন যেখানে একজন গ্রাহক চাইলে দোকানে গিয়ে কিনতে পারবে আবার অনলাইনেও কিনতে পারবে যেটি সেবা ভিত্তিক। যদি কেউ ঘরে বসে পণ্য অর্ডার করে আপনি একটি লোক দিয়ে তার বাসায় অর্ডার করা পণ্যটি তার বাসায় পৌঁছে দিলেন। এটি একটি খুব ভালো উদ্যোগ হতে পারে এতে করে মানুষ তার মূল্যবান সময় বাঁচাতে পারবে এবং অনলাইনে আপনার দোকানে বেশি বেশি অর্ডার করবে ।   

হোম মেইড ফুড

বাংলাদেশের বাজারে ঘরে তৈরি খাবারের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা রয়েছে কারণ ঘরে তৈরি খাবার টাটকা এবং ভালো স্বাদের।স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ঘরে তৈরি খাবার খেতে চায়। তারা রেডিমেড দোকানের খাবারে আগ্রহী নয় কারণ এটি বেশিরভাগ সময় ভেজাল এবং অস্বাস্থ্যকর হয়।আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট রেসিপি ভালোভাবে রান্না করতে পারেন,তা হতে পারে যে কোনো ধরনের ফাস্টফুড খাবার যেমন বার্গার, নুডুলস, পিজ্জা, পিঠা, চাটনি , কেক বা খাবার। যদি আপনি এটিকে সঠিক উপায়ে প্রচার করতে পারেন এবং মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা করে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।আপনি গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়া মাত্রই খাবার বানিয়ে ফুড ডেলিভারি ম্যান দিয়ে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।গৃহ-নির্মাতা মা এই স্মার্ট ব্যবসা করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন। গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করবেন এবং বিনিময়ে মুনাফা অর্জন করবেন।

ডেলিভারি কোম্পানি

অনলাইনে পণ্য বেচাবিক্রির সাথে সাথে ডেলিভারি ম্যান এর চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। অনেক দোকানের মালিক আছেন যারা তাদের পণ্যটি কিভাবে একজন গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবেন সেটি নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তা করেন। তাদের সেবা দিতে কেউ যদি একটি ডেলিভারি কোম্পানি তৈরি করে তাহলে ছোট ছোট ব্যবসায়ী এবং গ্রাহক উভয়ের জন্যই এটি খুবই সুবিধাজনক একটি সেবা হবে তবে ঢাকা শহরে অনেক ডেলিভারি কোম্পানি আছে, কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় সংখ্যা কম। সুতরাং, এটি একটি চমৎকার ব্যবসার সুযোগ।আপনি যদি ডেলিভারি ব্যবসায় টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিযোগীদের দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার কোম্পানি সেই ভুলগুলো করবে না। আপনার ডেলিভারি কোম্পানিতে বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। 

  • পণ্যটি সময়মতো সরবরাহ করতে হবে।
  • ডেলিভারি চার্জ যুক্তিসঙ্গত হতে হবে
  • অবশ্যই ব্যবসার মালিককে সঠিক সময়ে অর্থ প্রদান করতে হবে
  • অবশ্যই ভালো ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।

আপনি যদি বিশ্বাসের সাথে উপরের বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আপনি গ্রাহকদের অভাব অনুভব করবেন না। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে অনেক ছোট ছোট ব্যবসা এবং প্রতিটি ব্যবসার মালিককে তার পণ্য সরবরাহ করতে হয়। 

বাড়ি পরিবর্তন এর সার্ভিসঃ

অনেকেই আছেন যারা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।অনেক সময় বাসা পরিবর্তনের সময় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনের সময় ভ্যান বা ট্রাক পাওয়া যায় না এর ফলে খুবই বিড়ম্বনায় শিকার হতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে আপনি যদি একটি বাড়ি পরিবর্তন এর সার্ভিস চালু করেন যেখানে বাড়ি পরিবর্তন করার জন্য যেসব লোক লাগবে এবং জিনিসপত্র পরিবহন করা জন্য ভ্যান বা ট্রাক এর ব্যবস্থা করে দেন এর ফলে বাসার মালিক অনেকটাই স্বস্তি পাই। এটি যেহেতু একটি সেবামূলক ব্যবসা তাই এর জন্য তেমন কোন মূলধন এর প্রয়োজন হয় না শুধু কয়েকজন লোক নিয়েই এই ব্যবসা শুরু করা যায়।

অনলাইন কেনাবেচা সম্পর্কিত বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ | অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ

এখন আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনলাইনে কাজ করে এবং অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করে কিভাবে আয় করবেন সেই সম্পর্কে।

অনলাইন ব্লগঃ

অনলাইন থেকে যতগুলো মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয়। অনেকে আছেন যারা ভাল লেখালিখি করতে পারেন তারা অনলাইনে একটি ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে সেই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে পারেন। আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনও আপনি আপনার ওয়েবসাইটে দিতে পারবেন আবার গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আরো একটি উপায় হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়। 

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে লেখালেখি করার নিয়ম না জানেন সেই ক্ষেত্রে অর্ডিনারি আইটি থেকে আপনি একটি ব্লগিং কোর্স করে নিতে পারেন এর ফলে আপনি সঠিকভাবে শিখে নিতে পারবেন কিভাবে ব্লগে লিখবেন, কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর আনবেন ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। 

এছাড়াও আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকলে তাহলে অডিনারি আইটির একটি ওয়েবসাইট প্যাকেজ রয়েছে সেটি দেখতে পারেন। ওয়েবসাইট প্যাকেজ এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় ঃ

অনলাইনে কোর্স বিক্রি একটি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। তবে এজন্য আপনার অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকা চাই। ইউটিউবে আপনি আপনার কোর্স এর মার্কেটিং করে কোর্স বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও কোর্স বিক্রির বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে এর মধ্যে একটি হলো udemy.com এই ওয়েবসাইটটি বানানো হয়েছে মূলত যারা বিভিন্ন বিষয়ে ইন্ড্রাস্ট্রি এক্সপার্ট তারা তাদের কোর্স এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ব্যবসাঃ

সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও বিজ্ঞাপনের চাহিদার সাথে সাথে বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা প্রভূত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ জানা দক্ষ কর্মী প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে । এখন যারা ছোটখাটো ব্যবসা করে তাদের পক্ষে একজন সোসিয়াল মিডিয়া ম্যানেজার রাখা সম্ভব নয় সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি সোশ্যাল মিডিয়া রিলেটেড সার্ভিস প্রদান করেন এতে করে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা আপনাকে কাজ দেবে তার প্রতিষ্ঠানকে প্রমোট করার জন্য। অতএব সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের কাজে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারলে প্রায় বিনা পুঁজিতেই ব্যবসা করে ইনকাম করা সম্ভব।

কাস্টমাইজড উপহার বিক্রির ব্যবসাঃ

নিজের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীলতার সাহায্যে তৈরি করা যায় নতুন ধরণের উপহার সামগ্রী যা হতে হবে ক্রেতার পছন্দ, চাহিদা ও ইচ্ছানুসারে।ফটোফ্রেম, টি-শার্ট আর কফি মগের বাইরে গিয়ে অভিনবত্বের ছোঁয়া এনে নতুন ধরনের উপহার সামগ্রী তৈরি করতে পারলে তা ক্রেতার মন কাড়বেই। এই উপহার সামগ্রীগুলি অনলাইনে ও বিক্রয় করা যায় বা কোনও ছোট দোকান ঘরভাড়া করেও ব্যবসাটি করা যেতে পারে । স্বল্প মূলধনের এই ব্যবসায় লাভ প্রচুর।

বুটিক ব্যবসাঃ

পোশাক বিলাসী মানুষেরা অনেক সময় নতুন ডিজাইনের স্বতন্ত্র পোশাকপরিচ্ছদ কিনতে পছন্দ করে থাকেন যা অন্য কেউ আগে ব্যবহার করেনি। সেই উপলক্ষ্যে অধিক দাম দিতেও রাজি থাকেন এই সমস্ত ক্রেতারা। আর তাদেরই চাহিদা পূরণ করতে তৈরি হয়েছে একাধিক বুটিকঘর।দোকানঘর ভাড়া করা সম্ভব না হলে অনেক সময় অনলাইনেও বিক্রেতারা তাদের ক্রেতাদের পছন্দমতো অভিনব পোশাক বিক্রয় করতে পারেন যা প্রভূত লাভজনকও বটে।

কৃষি ও খামার ভিত্তিক বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ | অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ 

বর্তমানে কৃষি সেক্টরে ব্যবসা করে অনেকেই ভালো লাভজনক হচ্ছে। আমরা এখন কৃষি ও খামার ভিত্তিক বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ এ কি কি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।

সবজি চাষঃ

সবজি চাষ একটি অল্প পুঁজির ব্যবসা তবে এর লাভ রয়েছে মোটামুটি ভালই। অনেকে আছেন যারা গ্রামে থাকেন। তারা খুব সহজেই তাদের আশে পাশের জমিতে সবজি চাষ করতে পারেন। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বেশি সবজি চাষ করে আপনি বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন। সবজি চাষ করে বিঘা প্রতি এক লক্ষ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। তবে সবজি চাষ করার সময় বাজারে কোন সবজির চাহিদা বেশি সেটি মাথায় রাখতে হবে একই সাথে যে কোন মৌসুমে আপনার চাষকৃত সবজিতে অন্যদের চেয়ে আগে আগে বাজারে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে তাহলে ভালো দাম পাবেন।  

অ্যাকোয়ারিয়াম ও মাছের ব্যবসাঃ 

এটি একটি ছোট ব্যবসায়িক ধারণা যা অল্প পুঁজি বিনিয়োগেও নিজের বাড়ি থেকে শুরু করা যায়। এই ব্যবসাটির জন্য বিভিন্ন আকারের মাছ ও অ্যাকুয়ারিয়াম কিনতে হবে।মাছের প্রজননের জন্য বিশেষ ট্যাংকেরও দরকার। মাছ ব্যবসার সাথে সাথে মাছের খাবার, এয়ার পাম্প এবং অ্যাকুয়ারিয়াম আলংকরণের কিছু সামগ্রী বিক্রি করেও প্রভূত লাভ করা যায়। তাছাড়াও অ্যাকুয়ারিয়াম উপহার সামগ্রী হিসেবে ও বেশ জনপ্রিয়। তবে অ্যাকোয়ারিয়াম ও মাছের ব্যবসা করতে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পরিচালনা করতে পারদর্শী হতে হবে।

একসাথে মাছ ও হাঁস চাষঃ

একসাথে মাছ ও হাঁস চাষ করার জন্য আপনার প্রথম প্রয়োজন একটি পুকুর। একসাথে মাছ ও হাঁস চাষ করার জন্য নিচে থাকবে একটি পুকুর এবং সেই পুকুরের উপরে হাঁসের থাকার জন্য ঘর করতে হবে।ঘরটি এমনভাবে করতে হবে যেন হাঁস খাবার খেয়ে যে বিষ্ঠা বের করবে তা যেন পুকুরে পড়ে।মাছ মূলত হাঁস এর এই বিষ্ঠা বড় হবে। এর ফলে মাছ চাষের খরচ অনেকটাই কমে আসবে। একসাথে এভাবে মাছ ও হাঁস চাষ করলে অনেক লাভ করা সম্ভব।

ফুল চাষের ব্যবসাঃ

ফুল এমন একটি জিনিস যা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেকেই তার প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে ফুল দিলে অনেক খুশি হয়। বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন দিবস যেমন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৬ই ডিসেম্বর ইত্যাদি দিবসে ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায় তাই কেউ যদি ফুল চাষের ব্যবসা করতে চান সেটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। 

শেষ কথাঃ অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ

প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টের একদম শেষ দিকে চলে এসেছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা করতে চান কিন্তু কি ব্যবসা করবেন সেটি সঠিক ভাবে বুঝতে পারছিলেন না তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে আলোচনা করেছি বাংলাদেশী বিজনেস আইডিয়া গুলো যেন আপনারা এই একটি পোষ্ট পড়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ গুলো এবং অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ গুলো জেনে নিতে পারেন খুব সহজেই।এবং একই সাথে আলোচনা করেছি একটি ব্যবসাকে কিভাবে অনলাইন মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ স্বর্ণের বর্তমান দাম বাংলাদেশ জেনে নিন

পোষ্টটি আপনার কাছে উপকারী মনে হলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যারা ব্যবসা করতে চাই যেন তারা এই একটি পোস্ট পড়ে বিজনেস আইডিয়া বাংলাদেশ এ কি কি করা যায় এবং অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন খুব সহজে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url