মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়
প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে।অনেকেই আছেন মানসিক চাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে আলোচনা করব মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে। এছাড়াও পোস্টটি পড়ে আরো জানতে পারবেন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন, মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায়, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- মানসিক চাপ কি?
- মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায়
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা
- শেষ কথাঃ | মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়
মানসিক চাপ কি?
মানসিক চাপ হচ্ছে বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট চাপ যা একজন মানুষের মানসিক ও শারীরিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ক্রোধ ও হতাশা বাড়িয়ে তোলে। মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এগুলোর মধ্যে পারিবারিক সমস্যা, কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, সম্পর্কে অবনতি, অর্থনৈতিক সংকট, খারাপ স্বাস্থ্য, এমনকি ঘনিষ্ঠ কারো মৃত্যু ইত্যাদি কারণে। একজন ব্যক্তি মানসিক চাপে থাকলে কোন কিছুতেই তার মনোযোগ আসে না। এর ফলে তার মানসিক চাপের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। আর সেই জন্য মানসিক চাপ কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আপনাদের সুবিধার্থে মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।
মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়
আমরা এখন জেনে নেব মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে। মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এগুলোর মধ্যে পারিবারিক সমস্যা, কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, সম্পর্কে অবনতি, অর্থনৈতিক সংকট, খারাপ স্বাস্থ্য, এমনকি ঘনিষ্ঠ কারো মৃত্যু ইত্যাদি কারণে মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। মানসিক চাপে থাকলে কোনো কাজে মনোযোগ আসে না। মানসিক চাপের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের অসুখ সহ নানা অসুখ দেখা দিতে পারে তাই মানসিক চাপ কমানোর কার্যকরী উপায় জানা জরুরী তাই যারা মানসিক চাপের উপর রয়েছে তাদের সুবিধার্থে মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।
নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করা ছেড়ে দিনঃ
সমস্যা আমাদের জীবনে নিয়মিত একটি ব্যাপার আর এসব সমস্যার কারণে আমরা অনেক সময় নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করে থাকি। নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা আমাদের জীবনে মানসিক চাপ আরো বাড়িয়ে তোলে। তাই আপনার জীবনে যা কিছু হয়ে যাক নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা কম করবেন এতে করে দেখবেন আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে।
পছন্দের কাজগুলো করুনঃ
মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় এর মধ্যে এটি একটি। আপনার যেই কাজটি ভালো লাগে সেই কাজটি করার চেষ্টা করুন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন পারিবারিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে নিজের মনের বিরুদ্ধে কাজ করেন আবার অনেক সময় বেশি বেশি কাজ করতে হয়।মনের বিরুদ্ধে কোন কাজ করতে গিয়ে মানসিক শান্তি পান না এর ফলে মানসিক চাপ মাথার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। তাই আপনার সেই প্রফেশন পছন্দ সেই প্রফেশন বেছে নিন আপনার লাইফে এবং সেই মত কাজ করতে থাকুন দেখবেন মানসিক চাপ কমে যাবে।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুনঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কি কাজ করবেন সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন না সব সময় তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন এর ফলে মানসিক চাপে থাকেন। মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি যে কাজটি করতে চান সেটির লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং ধীরে ধীরে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান দেখবেন অনেকটাই মানসিক চাপ কমে গেছে। কারণ লক্ষ্য নির্ধারণ ছাড়া কোন কাজ করলে মনের মধ্যে সবসময়ই একটি দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকেই যায় এর ফলে সব সময় মানসিক চাপ পরিলক্ষিত হয়। তাই কি কাজ করতে চান সেই লক্ষ্য নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক চাপ কমানোর জন্য।
প্রিয় মানুষের কাছে মানসিক চাপের কথা শেয়ার করুনঃ
মানসিক চাপ সবার জীবনেই আসে আপনার জীবনেও এমন মানসিক চাপ আসলে সেই কথাটি আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে শেয়ার করুন। এখানে প্রিয় মানুষটি বলতে আপনার বন্ধু-বান্ধব, বাবা-মা বা নিকট কোন আত্মীয় হতে পারে। মানসিক চাপ মনের মধ্যে গেঁথে রাখলে বরং কষ্ট আরো বাড়ে। খুব প্রচলিত একটি কথা আছে, "Sharing is caring"। আপনার প্রিয় মানুষের কাছে আপনি যখন আপনার মানসিক চাপের কথা বলবেন সে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো একটি উপায় আপনার জন্য বলে দিবে এই মানসিক চাপ কমানোর জন্য।
মানসিক চাপ হলে কোথাও ঘুরে আসুনঃ
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার আর ব্যবসা-বাণিজ্য বা চাকরির কাজের চাপে অনেকেই মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। এমন হলে কয়েকদিন কাজ থেকে বিরতি নিয়ে আপনার পছন্দের কোন জায়গায় ঘুরে আসুন দেখবেন অনেকটাই মানসিক চাপ কমে গেছে।প্রয়োজনে নিজের প্রিয় জন বা প্রিয় বন্ধু বান্ধব দের সাথে নিয়ে নিন।
উপরে আমরা মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আপনিও এমন ধরনের মানসিক চাপে থাকলে উপরের দেখানো পদ্ধতি গুলো চেষ্টা করতে পারেন আশা করা যায় এগুলো আপনার জীবনের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায়
আমরা এখন দেখে নেব মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় গুলো সম্পর্কে। মানসিক চাপ কোন না কোন সময় সবার জীবনে আসে। এসব মানসিক চাপ আমাদের জীবনে খুব বড় একটা প্রভাব ফেলে এর ফলে কোন কাজ করতে ভালো লাগেনা এছাড়াও আরও অনেক সমস্যা হয়ে থাকে আমাদের জীবনে।কিন্তু আমরা চাইলেই কয়েকটি নিয়ম মানলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। নিচে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।
নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ
মানসিক চাপ ঝেড়ে ফেলার একটি দুর্দান্ত উপায় হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করা বা দৈহিক কার্যকলাপ। শারীরিক পরিশ্রম আমাদের শরীরে এন্ডোর্ফিনের নিঃসরণ ঘটায়, যা আমাদের মনে ভাল লাগার অনুভূতি তৈরী করে। একই সাথে তা আবার এনার্জি বাড়ায় এবং স্ট্রেস হরমোন যেমন কর্টিসোলকেও প্রতিহত করে। আপনার দেহের উপযোগী যেকোনো একটি ব্যায়াম নির্বাচন করে নিন, প্রতিদিন জিমে যেতে না পারলেও ঘরে বসে কিছু ব্যায়াম করা যায় সেগুলো করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমান হাঁটার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুনঃ
ঘুম আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ঘুম ঠিকমতো না হলে পরের দিন শরীর খারাপ করে এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে এর ফলে মানসিক চাপ অনুভব হয়। ঘুম ঠিকমতো হলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক হয় এবং কাজ করতে আনন্দ পাওয়া যায়। নিয়মিত আমরা যদি ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে পারি তাহলে যেমন কাজে আনন্দ পাওয়া যাবে তেমনি আমরা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।
যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন করুনঃ
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং মনকে শান্ত করার জন্য মেডিটেশন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়াম। কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২৫ মিনিট করে টানা ৩ দিন মেডিটেশন করলে তা হতাশা এবং দুশ্চিন্তা অনেকখানিই দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করতে পারেন। ধ্যানের সময় গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম শরীরকে শিথিল করে। ধ্যান আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চাপ কমাতে যোগব্যায়ামও করতে পারেন।
কাজে বিরতি নিনঃ
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশানের মতে,আপনি আপনার কাজ সময়মতো করতে পারলে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে অন্তত ১০/১৫ মিনিটের বিরতি নেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কারণ আপনি যদি একটানা কাজ করেন তাহলে কাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হবে সেখান থেকেই মানসিক চাপ সৃষ্টি হবে। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নিন নিজের মনকে রিফ্রেশ করুন দিয়ে আবার কাজে লেগে পড়ুন।
হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুনঃ
কাজের ফাঁকে সবার সাথে কথা বলুন হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন।যতবার হাসবেন ততবারই আপনার দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। আর এর পাশাপাশি রক্তপ্রবাহও বাড়বে। ফলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ নতুন করে পুষ্টি পাবে। আর মানসিক চাপও কমে যাবে অনেকাংশে।
ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুনঃ
কারো প্রতি ক্ষোভ খুবই খারাপ একটা জিনিস। কারো প্রতি ক্ষোভ মনে জমা করে রাখলে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায়। আমরা সামাজিক জীব আর সমাজের চলার মধ্যে অনেকের সাথে আমাদের সম্পর্ক তৈরি হয়।অনেকক্ষেত্রে মতের মিল না হলে অন্যের সাথে এর ফলে মনের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ক্ষোভ থেকে মানুষের মানসিক চাপ তৈরি হয়।ক্ষোভ সম্পর্কে ডক্টর সিমন্স বলেন, "আপনি ভাবতেই পারবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা থাকলে তা কত দ্রুত এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। তাই নিজের ঘাড় থেকে এই আপদ নামিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন সব সময়।" মন থেকে সমস্ত ক্ষোভ মুছে ফেলুন দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন।
আরো পড়ুনঃ কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস সম্পর্কে জানুন
মাদক থেকে দূরে থাকুনঃ
অনেকেই আছেন মানসিক চাপের ফলে নিজে কে আর কন্ট্রোল করতে পারে না তখন মাদকের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে মনে করেন মাদক তার মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটে উল্টা। অনেকেই মানসিক চাপ কমাতে গিয়ে সিগারেটসহ মদ গাঁজা বিভিন্ন ধরনের মাদক এর সাথে জড়িয়ে যান এর ফলে তারা মাদকের সাথে এতটাই জড়িয়ে যান এর ফলে ঐ ব্যাক্তি আর স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরে আসতে পারে না। তাই সবার কাছে অনুরোধ থাকবে মাদক থেকে দূরে থাকুন।মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য মাদক কখনোই কোনো সমাধান হতে পারে না।
ক্যাফেইন কম গ্রহণ করুনঃ
অনেকেই আছে কাজের মধ্যে থাকেন সব সময়। কাজে আরো বেশি এনার্জি পেতে অনেক সময়ই চা-কফি বেশি বেশি পান করেন। কফিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন। ক্যাফেইন আমাদের শরীরে এনার্জি বাড়ায় এটা সত্য কিন্তু একই সাথে আমাদের শরীরের স্ট্রেস এর পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়।তাই যদি চা কফি খেতে হয় তাহলে খুবই অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। এছাড়াও যাদের চা খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা গ্রিন টি বৃদ্ধি পেতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ
স্বাস্থ্যকর এবং অর্গানিক খাবার খাওয়ার কথা আমরা সব জায়গাতেই দেখতে পাই। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরে এনার্জি যোগায় এর ফলে আমরা কাজে আনন্দ পায়। ইতোমধ্যে এটি প্রমাণিত যে, জাঙ্ক ফুড আমাদের মনের বিষাদ বাড়িয়ে দেয়। কাজেই খাদ্যাভ্যাসে একটু পরিবর্তন নিয়ে আসুন। আমিষ ও শস্যজাতীয় খাবার আমাদের শক্তি বাড়ায় এবং মানসিকতায় তা পরিবর্তন আনতেও সচেষ্ট। বিজ্ঞানীদের মতে, কাঠবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, শাকসবজির মত খাবার মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে দিনঃ
ইন্টারনেট যেমন আমাদের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যখন সবসময়ই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি এর কিছু রেডিয়েশন আমাদের শরীরের ক্ষতি করে একইসাথে বেশি বেশি সময় মোবাইল ব্যবহারের ফলে আমাদের মাথায় এক ধরনের ইফেক্ট সৃষ্টি করছে এর ফলে আমরা মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি। অনেক সময়ই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেখতে পারি এর ফলে আমাদের মনের মধ্যে অনুভব হয় তারা কত সুখে আছে এবং আমার জীবনে কত সমস্যা আর সেখান থেকেই মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুম ব্যাঘাত ঘটলে আবার মেজাজ খিটখিটে থাকে। তাই সব মিলিয়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল এর ব্যবহার দিন শেষে আমাদের ক্ষতি করছে। তাই যতটুকু সময় দরকার ঠিক ততটুকু সময় ইন্টারনেট বা মোবাইল ব্যবহার করুন।
আমরা উপরে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এগুলো আপনার জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করুন দেখবেন অনেকটাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা
আমরা এখন জেনে নেব মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা গুলো সম্পর্কে। এইখানে যৌগের ভূমিকা বলতে যোগ ব্যায়ামের ভূমিকাকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের জীবনের কাজের চাপ যেমন বেড়ে চলেছে তেমনি একই সাথে বাড়ছে মানসিক চাপ।মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে আমাদের শরীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়া গুলো ব্যাহত হয় একই সাথে হরমোনের ভারসাম্য হারায়, এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে। ডিপ্রেশন বা আরও জটিল কোনও মনোরোগের কবলে পড়াও বিচিত্র নয়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা যোগ ব্যায়াম এর ভূমিকা নিচে আলোচনা করা হলো।
যোগ ব্যায়াম কে ইংরেজিতে Yoga (ইয়োগা) বলা হয়। ইয়োগা বা অভ্যাস হল শরীর আর মন যুক্ত করে সুস্থ থাকার এক প্রাচীন পদ্ধতি। আসলে ইয়োগা বা যোগ তো শুধু ব্যায়াম নয়, যোগ কথার আসল অর্থ হল চেতনা।
আরো পড়ুনঃ আদা খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা
ইয়োগা কথার সাধারণ অর্থ ইউনিয়ন বা মিলন। এ মিলন কার সঙ্গে কার। মানুষের দেহ, মন ও এনার্জি বা শক্তি- এ তিনটি জিনিসের সমন্বয়ে আমাদের শরীর চলে। এর কোনো একটি যদি ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে আমাদের শরীর ঠিকভাবে কাজ করবে না। আর ইয়োগা ঠিক এ কাজটাই করে থাকে এ তিনটির সমন্বয় করে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আমাদের মন যদি ভালো না থাকে তাহলে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। ইয়োগা যেহেতু দেহ, মন ও এনার্জি বা শক্তি- এ তিনটি জিনিস কে একসাথে করে সুতরাং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা অপরিসীম।
শেষ কথাঃ | মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়
প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টটি একদম শেষ দিকে চলে এসেছি। অনেকেই বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপে রয়েছেন তাদের সুবিধার্থে আমরা মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় এছাড়াও আরো আলোচনা করেছি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের যৌগের ভূমিকা সম্পর্কে। আপনাদের সাথে মানসিক চাপ কমানোর অনেক উপায় আলোচনা করেছি যেন আপনারা এই একটি পোস্টে পড়ে মানসিক চাপ কমানোর অনেকগুলো উপায় জেনে নিতে পারেন একসাথে।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘুম হওয়ার কারণ জেনে নিন
পোস্ট টি পড়ে যদি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে এবং আপনার কাছে এর উপকারী মনে হয় তাহলে শেয়ার করুন আপনাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে যেন তারা মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায় এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন খুব সহজেই।১৬৮২১
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url