আম একটি পুষ্টিকর ফল । আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি পুষ্টি
উপাদান রয়েছে। আম খেলে শরীর মন দুটোই ভাল থাকবে। একটি পাকা আমে পটাশিয়াম
থাকে যা আপনার শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে সুস্থ রাখে। আবার যারা হাড়ের
ব্যথায় ভুগছেন তারা এই ফলটি খেতে পারেন। এটি অনেক উপকারী ফল তাই আমের
মৌসুমে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে আম খাওয়া প্রয়োজন। আমে অনেক
উপকারী উপাদান আছে। বন্ধুরা, আমে যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অপকারিতা আছে। অনেকে
আছে যারা আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেনা। তাদের জন্য আজকের
পোস্ট। আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টে আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে
থাকুন।
আমাদের দেশে আমের মৌসুমে আম অনেক সহজলভ্য হওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে আম
খেয়ে থাকি। আম খাওয়ার সঠিক পরিমাণ না জানার জন্য অনেকেই অনেক অসুবিধায়
পড়ি। আম খাওয়া যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি অধিক পরিমাণে
আম খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই আম খাওয়ার উপকারিতা এবং
অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ধারনা থাকা উচিত। আমের মাস মানে মধুমাস আর
তাই আমের মৌসুমে নির্দিষ্ট পরিমাণে আম খাওয়া দরকার । কিছু সুস্বাদু আমের
নাম আমরুপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, নেংড়া, গোপাল ভোগ, লকনা,
ইত্যাদি। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। তাই আমের মৌসুমে পরিমাণ মতো
আম খাওয়া উচিত।
আম খাওয়ার ১১টি উপকারিতা
ত্বকের যত্নে | আম খাওয়ার উপকারিতা
আম ত্বকের যত্নে একটি উপকারী ফল । আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি
আছে। আমে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার ও প্যাকটিন রক্তে
উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল দুর করে । এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, যা চুল ও ত্বকের যত্নে কার্যকরী। ফলে ত্বকসতেজ থাকে। তাই আমাদের আমের মৌসুমী পরিমাণ মতো আম খাওয়া উচিত।
আমাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য ফলটি অনেক উপকারী । আমে আছে
এনজাইম, প্রোটিন এই উপাদানগুলো সহজে হজম করে ফেলে। স্বাস্থ্যের জন্য
ভালো এবং পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা
করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে | আম খাওয়ার উপকারিতা
আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করার কাজ করে এবং আমে ভিটামিন সি থাকে যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য
করে ।
ওজন কমাতে | আম খাওয়ার উপকারিতা
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই আছে। কাঁচা আমের চিনির পরিমাণ কম থাকে তাই
মেদ বাড়ে না ফলে ওজন কমে। তাই আমের মৌসুমে ওজন কমাতে নির্দিষ্ট
পরিমাণে কাঁচাআম খাওয়া উচিত।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে | আম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা সবাই এই কথাটা জানি,যে আমাদের দৃষ্টিশক্তি বয়সের সাথে সাথে কমে
যায়। আমে ভিটামিন এ থাকে যা আপনার চোখের জ্যোতি বাড়ায় । রাতকানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে অর্থাৎ আমের মৌসুমে
পরিমাণ মতো আম খেতে হবে।
আমে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। যা ভিটামিন এ এর উৎস এবং এটি
হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে । হৃদরোগের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা আম খেতে হবে। কারণ আমে ভিটামিন
এ, বি, সি, প্রচুর পরিমাণে থাকে যা আমাদের ব্রেন ,হার্ড, মস্তিষ্ক
সবকিছুই সতেজ রাখতে সহযোগিতা করে ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে | আম খাওয়ার উপকারিতা
ডায়াবেটিস হলে 5 থেকে 6 টা আম পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে ওই পাতাযুক্ত পানি
সারারাত রেখে পরের দিন সকালে ছেঁকে নিয়ে পান করুন । তবে ডায়বেটিস
রোগীদের ক্ষেত্রে কাঁচা আম পরিমাণ মতো খেতে হবে ।
ক্যান্সার প্রতিরোধে করতে | আম খাওয়ার উপকারিতা
মানুষ শরীরের মন মস্তিষ্ক বেশ করে ক্যান্সার রক্ষার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
আম। আমে আছে কোয়েরসেটিন, ও মিথাইল এবং এন্ট্রি অক্সাইড ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
এটি ব্লাড ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ
করে।
ঘুমের সমস্যাই | আম খাওয়ার উপকারিতা
যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক
গ্লাস দুধের সাথে একটি পাকা আম খাবেন।
অ্যালকালাইন মাত্রা | আম খাওয়ার উপকারিতা
আমে থাকা টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আমাদের
শরীরের অ্যালকালাইন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে | আম খাওয়ার উপকারিতা
আমের মৌসুম আম খেলে আমাদের ব্রেনে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। মেমোরি
বুস্টার হিসেবেও কাজ করে সুস্বাদু এই ফলটি।
আপনার ত্বকে যদি ব্রন থাকে, তাহলে তেল মশলা জাতীয় ও ভাজাপোড়া খাবার এর
সঙ্গে আম বেশি পরিমাণে খাবেন না। কারণ আম খেলে পেট গরম থাকে ফলে মুখের ব্রণ
সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
আম খাওয়ার পরে তিতা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ শরীরের
অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে ফলে বমি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
আম ও দই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয় কারণ আম গরম জাতীয় ফল
আর দই ঠান্ডা জাতীয় খাবার দুটো একসঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি
হয়।
আম খাবার পরে ঠান্ডা পানি পান করা উচিত নয় কারণ আমে প্রচুর
পরিমাণে সুগার থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
উপ-সংহার
বন্ধুরা, নিশ্চয়ই আপনাদের বুঝাতে পেরেছি আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।গৃষ্মকালীন এই ফলটি আমাদের স্টোক থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। আমে
আয়রন ও ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে । তাই মহিলাদের অবশ্যই আম খাওয়া
উচিত। আম একটি সুস্বাদু ফল আমের মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য
ধন্যবাদ।। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url