OrdinaryITPostAd

তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - বন্ধুরা, আজকের পোস্টে তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে তালশাঁসের বিকল্প নেই। তালশাঁস হলো তালের কাঁচা অবস্থা। তালশাঁস শুধু খেতে অনেক সুস্বাদু নয়। তালশাঁস পুষ্টিতে ভরা। তালশাঁসে আছে আয়োডিন, মিনারেল, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস উপাদান বিদ্যমান। গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
তালশাঁস খাওয়ার ১১টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
পাঠক, আপনারা নিশ্চয়ই তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে চেয়েছেন ? তাদের জন্য আজকের পোস্টে ভোরের আলো আইটি পক্ষ থেকে তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।

তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 'উপস্থাপনা'

তালশাঁস হলো তালের বীজ গরমকালে কচি আঁটি শ্বাঁস অবস্থায় পাওয়া যায় এবং খেতে খুব সুস্বাদু আর সুমিষ্টি হয়। একটি তালের মধ্যে দুই থেকে তিনটি শাঁস পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বজায় রাখতে সাহায্য করে এই তালশাঁস। গরমের দিনে তালশাঁস শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তালশাঁস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তালশাঁসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক, তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ।

তালশাঁস খাওয়ার ১১টি উপকারিতা

ওজন কমাতে সাহায্য করে | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

তালশাঁস এর মধ্যে রয়েছে ক্যালোরি পরিমাণ কম থাকে। তালশাঁসে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

গরমের সময় তাপমাত্রা কারণে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, মাথার চুল পড়ে এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরে ঘামে পানি বের হয়ে আসে। তালশাঁস অনেক ঠান্ডা জাতীয় হাওয়াই গরমের দিনে কি খেলে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে থাকে।

 হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

তালশাঁস থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজমে সহায়ক হিসেবে এবং কাকু  পাকস্থলী বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তালশাঁস প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। তাছাড়া আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এমনকি আলসার ও এসিডিটির সমস্যা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

তালশাঁসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আমাদের তালশাঁস খাওয়া উচিত।

দাঁতের যত্ন | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

তালশাঁস এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের দাঁতকে শক্ত ও মজবুত করে। এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া আমাদের দাঁতের এনামেল ও দাঁতের মাড়ি ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে দাঁত সুস্থ থাকে।

রক্তশূন্যতা দূরীকরণ করতে  | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

তালশাঁসের রয়েছে ফসফরাস যা শরীর খারাপ রক্ত বের করে দেয় এবং ভালো রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়া হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে । ফলে রক্তশূন্যতা দূরীকরণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

লিভার সুস্থ থাকে | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

তালশাঁসে থাকা ভিটামিন এ' ভিটামিন সি' ও ফাইবার উপাদান। তালশাঁস লিভারের পিত্তরস তৈরি করে। এটি ফ্যাট হজমে সাহায্য করে। এছাড়া পুরনো রক্তকোষকে অপসারণ করে তুলে লিভার রোগ প্রতিরোধ ইমিউনিটি তৈরি করে। ফলে লিভার সুস্থ থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

তালশাঁস আমাদের শরীরে নাইট্রেট এর পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যা প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মুখে রুচি বাড়াতে  | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

যারা মুখে বিশ্বাদ নিয়ে ভাবছেন মুখে রুচি বাড়াতে চান। তাদের জন্য তালশাঁস খুবই কার্যকরী। তালশাঁসে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স। যা মুখে রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

গরমের মৌসুমে শরীর প্রচন্ড ঘামে। যার কারণে অনেক সময় ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় আর তাই তালশাঁস পেস্ট করে লাগিয়ে দিলে ব্রণ দ্রুত কমে যেতে সাহায্য করে। তাছাড়া তালশাঁস আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ভারতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এলার্জি ও চুলকানি সমস্যা  | তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা

গরমের সময় ত্বকের চুলকানি দেখা দিতে পারে। শরীরে সৃষ্ট চুলকানি ও এলার্জি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে তালশাঁস। এছাড়া পানি শূন্যতা দূর করে শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

১০০ গ্রাম তালশাঁস পুষ্টিগুণ রয়েছে

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা তালশাঁস খাওয়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের সুবিধার্থে নিচে তালশাঁস  করার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে দেয়া হলো।

খাদ্যশক্তি - ৮৭ কিলো ক্যালরি, জলীয় অংশ - ৭৭.৫ গ্রাম, ফ্যাট - ০.১ গ্রাম, আমিষ - ০.৮ গ্রাম, শর্করা - ১০.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম - ২৭ মিলিগ্রাম, খাদ্য আঁশ - ১ গ্রাম, ফসফরাস - ৩০ মিলিগ্রাম, থায়ামিন - ০.০৪ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন - ০.৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন - ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি - ৫ মিলিগ্রাম, আয়রন - ১ মিলিগ্রাম।

তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

তালশাঁস খাওয়ার অপকারিতা

তালশাঁস খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। তাই আমাদের তালশাঁস খাওয়ার পূর্বে তালশাঁস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে।

  • ডায়াবেটিস রোগীদের তালশাঁস  খাওয়া সীমিত করা উচিত। অতিরিক্ত মাত্রায় তালশাঁস খেলে ডায়াবেটিস খারাপ হতে পারে।
  • কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে এমন কারও তালশাঁস খাওয়া উচিত নয়। যদি তারা প্রচুর পরিমাণে তালশাঁস খান তবে তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাবে এবং হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
  • আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তালশাঁস বা কোনো তাল পণ্যের সাথে ডিমের কুসুম এবং দুধ খাওয়া উচিত নয়।
  • প্রচুর তালশাঁস খাওয়ার পর পানি পান করতে অস্বস্তি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত তালশাঁস খাওয়ার ফলে ঘন ঘন মলত্যাগ, ডায়রিয়া, গ্যাস এবং বুকজ্বালা হতে পারে।
  • তালশাঁস অ্যালার্জি সাধারণ হতে পারে। অতএব, এই ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলাই উত্তম।

সর্বশেষ কথা - তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে তালশাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের নিশ্চয়ই বোঝাতে পেরেছি। তালশাঁস অনেক পুষ্টিগুণ উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। তাই আমাদের সবার কাঁচা তালশাঁসের মৌসুমে তালশাঁস খাওয়ার চেষ্টা করা। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url