শীতকালে গরম পানির ব্যবহার ও গোসল সম্পর্কে জেনে নিন
বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। শীতের মৌসুমে শরীর ঠান্ডা জনিত রোগ বেশি দেখা যায়। এছাড়া অন্য মৌসুমের তুলনায় শীতে ত্বক খসখসে ভাব হয়ে থাকে। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর এসকল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শীতকালে আমাদের গরম পানি ব্যবহার উচিত। গরম পানি ব্যবহারের ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, শীতকালে গরম পানির ব্যবহার ও গোসল সম্পর্কে ।
বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই শীতকালে গরম পানির ব্যবহার ও গোসল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন
? তাহলে আজকের পোস্টে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে
থাকুন।
পেজে সূচিপত্র
শীতকালে গরম পানির ব্যবহার 'উপস্থাপনা'
শীতকালে গরম পানির ব্যবহার
সকালে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায়। আরো বেশি উপকার পেতে এক গ্লাস গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করুন
তাহলে অনেক ভালো অনুভূতি অনুভব করবেন।
ফ্যাট কমাতে
শীতকালে আপনি কি ওজন কমানোর কথা চিন্তা করছেন? তাহলে প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম
করার আগে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি খেয়ে নেবেন। তাহলে শরীরে জমে থাকা
ফ্যাট কমাতে খুব দারুণ ভাবে কমতে সাহায্য করবে
প্রোটিনের নিঃসরণ চাহিদা পূরণ
মূলত রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ হলো হিট শক প্রোটিনের নিঃসরণ। তাই শীতকালে পরিমানমতো গরম পানি দিয়ে গোসল করা আমাদের উচিত। কারণ গরম পানি শরীরে প্রোটিনের নিঃসরণ চাহিদা পূরণ করে।
বিষাক্ত পদার্থ ও টক্সিন দূর
ত্বক পরিষ্কার হয় যখন আমরা গরম পানিতে গোসল করি তখন ত্বকের ছিদ্র খুলে যায়। ফলে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ ও টক্সিন দূর হয়ে যায়। গরম পানি দিয়ে গোসল ত্বক পরিষ্কার হয়। এছাড়া শরীরে ভালো অনুভূতি পাওয়া যায়। ত্বকের শুষ্কতা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার এড়াতে বেশি গরম পানিতে গোসল করা যাবে না। তাই শরীরের তাপমাত্রা পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
সাইনাসের সমস্যা
নিয়মিত পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে গোসল করলে সাইনাস দূর হয়ে যায়। অর্থাৎ যাদের নাকের হাড় বাঁকা বা পলিপাস হওয়ার কারণে সব সময় মাথা ব্যাথা করে। শীতকালে ধারাবাহিকভাবে গরম পানিতে গোসল করার কারণে সাইনাসের সমস্যা একদম চলে যায়।
স্ট্রোকের ঝুঁকি
যারা নিয়মিত শরীরের তাপমাত্রার পরিমাণমতো গরম পানিতে গোসল করলে শরীরে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হৃদরোগের ঝুকি কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করছে এদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
রক্তচাপ কমিয়ে
গবেষণা করে পেয়েছেন গরম পানির তাপ রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত প্রবাহ দেখা দেয়। তাই শরীরের তাপমাত্রা অনুযায়ী পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে গোসল করা।
ত্বক সফট ও নরম অনুভূতি
শীতকালে সাবান মুখে একদম লাগাবেন না। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করবেন। শীতে ত্বক শুষ্ক থাকে তাই এ সময় আপনি মুখে ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন আর শরীরে গিলিসারিন ব্যবহার করবেন। এতে উপকার পাবেন। এতে আপনার ত্বক সফট ও নরম অনুভূতি যোগাবে।
শীতকালে গরম পানির ব্যবহারে সতর্কতা
- তবে মনে রাখবেন, শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসলের পর গিলিসারিন ব্যবহার করবেন। এতে ত্বকের আদ্রতা বেড়ে যাবে শুষ্কতা কমে যাবে। কোন ভাবে আপনার ত্বককে শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না শীতে ত্বকের পরিচর্যা ও সুস্থ থাকতে নিয়ম মেনে চলুন।
- আপনি কখনো কল্পনাও করেননি গরম পানিতে গোসল করলে ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এক ঘন্টা গরম পানিতে শরীর ভেজালে বা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে 30 মিনিট হাঁটলে যতটুকু ক্যালোরি পোড়া যেত ঠিক ততটুকু ক্যালোরি ঝরে যায়। তাই বলে গরম পানিতে গোসল করাতে এক্সারসাইজ এর বিকল্প ভাববেন না।
- শীতে অলসতার কারণে শরীরের বাড়তি ক্যালোরি পোড়ানোর হার কমে যায়। তাই এ সময়ে গরম পানিতে গোসল করলে আপনার শরীর থেকে বাড়তি ক্যালোরি ঝরে পড়বে। তাই হালকা গরম পানিতে গোসল করা উত্তম।
সর্বশেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা, নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছি শীতকালে গরম পানি ব্যবহার সম্পর্কে।যারা বুঝতে পারেননি, তারা পুনরায় মনোযোগ সহকারে পোস্টটি আবার পড়ুন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url