আল্লাহর ৯৯ নাম | আরবি | উচ্চারণ | অর্থ ও ফজিলত
প্রিয় আর্টিকেল পাঠক, আপনি কি আল্লাহর ৯৯ নাম, আরবি, উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইট এসেছেন। তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আল্লাহর ৯৯ নাম সম্পর্কে জানেনা। আজকের পোস্টে আল্লাহর ৯৯ নাম, আরবি, উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব।
পেজে সূচিপত্রঃ আল্লাহর ৯৯ নাম | আরবি | উচ্চারণ | অর্থ ও ফজিলত
আল্লাহর ৯৯ নাম আরবি, উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত "উপস্থাপনা"
আল্লাহর ৯৯ নাম আরবি, উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত
১.আরবিঃالله
উচ্চারণঃ আল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহ
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি রোজ এক হাজার বার ‘ইয়া আল্লাহ! পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ তার মন থেকে যাবতীয় সন্দেহ ও দ্বিধা দূরীভূত হয়ে যাবে এবং সে একীন ও দৃঢ়তা অর্জন করতে পারবে। কোন দূরারোগ্য রোগী যদি অত্যাধিক পরিমাণে ‘ইয়া আল্লাহ’ নিয়মিত পড়তে থাকে এবং পরে আরোগ্যের জন্য দোয়া করে,তা হলে সে আরোগ্য লাভ করবে।
২.আরবিঃ الرحمن
উচ্চারণঃ আর-রাহমানু
অর্থঃ অসীম দয়ালু,পরম করুণাময়,কল্যাণময়
ফজিলতঃ প্রত্যহ প্রতি নামাযের পরে একশ’বার এই নাম পাঠ করলে মন থেকে যাবতীয় কাঠিন্য ও অলসতা দূর হয়ে যাবে।
৩.আরবিঃ الرحيم
উচ্চারণঃ আর-রাহীমু
অর্থঃ বড় মেহেরবান,অতি দয়ালু
ফজিলতঃ কেউ এ নাম প্রত্যহ নামাযান্তে একশ বার পাঠ করলে দুনিয়ার সমস্ত আপদ-বিপদ থেকে নিরাপদে থাকা যায় এবং সমস্ত মাখলুকাত তার প্রতি দয়ালু হয়ে যায়।
৪.আরবিঃ الملك
উচ্চারণঃ আল-মালিকু
অর্থঃ সর্বকর্তৃত্বময়,অধিপতি,প্রকৃত বাদশা,মালিক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যহ ফজর বাদ ‘ইয়া মালিকু’ অধিক পরিমাণে পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তাকে ধনী করে দেবেন।
৫.আরবিঃ القدوس
উচ্চারণঃ আল-কুদ্দুস
অর্থঃ নিষ্কলুষ,মন্দ থেকে মুক্ত,অতি পবিত্র
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যহ জাওয়ালের (দুপুরের সূর্য ঢলে যাওয়ার) পরে এ পবিত্র নাম বেশি করে পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার অন্তর সমস্ত রূহানী ব্যাধি থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।
৬.আরবিঃ السلام
উচ্চারণঃ আস-সালামু
অর্থঃ নিরাপত্তদানকারী,শান্তিদানকারী,ত্রাণকর্তা,ত্রুটিহীন,দোষমুক্ত
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে এ নাম পড়বে,সে সকল প্রকার বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে। ১১৫ বার এ নাম পাঠ করে পীড়িত ব্যক্তির গায়ে ফুঁ দিলে আল্লাহ পাক তাকে শেফা দান করবেন।
৭.আরবিঃ المؤمن
উচ্চারণঃ আল-মু’মিনু
অর্থঃ ঈমান ও নিরাপত্তাদানকারী, জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন ভয়ের সময়ে ৬৩০ বার এ নাম পাঠ করবে,আল্লাহ তাকে সমস্ত ভয় ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন। যে ব্যক্তি এ নাম পড়বে কিংবা লিখে সাথে রাখবে,আল্লাহ পাক তাকে জাহেরী-বাতেনী নিরাপত্তা দান করবেন।
৮.আরবিঃ المهيمن
উচ্চারণঃ আল-মুহাইমিনু
অর্থঃ রক্ষাকারী,প্রতিপালনকারী,অভিভাবক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি গোসল করে দু’রাকাত নামায পড়ে আন্তরিক নিষ্ঠার সাথে ১০০ বার এ নাম পাঠ করবে,আল্লাহ তার জাহের-বাতেন পবিত্র করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি ১১৫ বার পাঠ করবে সে লুকানো জিনিসের কথা জানতে পারবে।
৯.আরবিঃ العزيز
উচ্চারণঃ আল-আজীজু
অর্থঃ অপরাজেয়,পরাক্রমশালী,সর্বাধিক সম্মানিত,মহাসম্মানিত
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি ৪০ দিন ৪০ বার এ নাম পড়বে,আল্লাহ পাক তাকে শক্তিমান ও অন্যের অমুখাপেক্ষী করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি ফজরবাদ ৪১ বার পাঠ করবে,তার কারুর উপর নির্ভর করতে হবে না এবং অপমানের পর সম্মান লাভ করবে।
১০.আরবিঃالعزيز
উচ্চারণঃ আল-জাব্বারু
অর্থঃ সর্বাধিক পরাক্রমশালী,মহাপ্রতাপশালী,দুর্নিবার,অতীব মহিমান্বিত
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় ২২৬ বার এ নাম পড়বে,সে জালেমদের অত্যাচার ও পাশবিক নিষ্ঠুরতা থেকে নিরাপদে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এ নাম রূপার আংটির উপর নকশা করিয়ে হাতে পরবে,মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে চলবে এবং তার প্রতি প্রভুত সম্মান প্রদর্শন করবে।
১১.আরবিঃ المتكبر
উচ্চারণঃ আল-মুতাকাব্বিরু
অর্থঃ মহিমার অধিকারী,সর্বশ্রেষ্ঠ,অহংকারী,গৌরবান্বিত
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি এ নাম বেশি পরিমাণে পড়বে,আল্লাহ তাকে লোকচক্ষে বড় ও সম্মানী করে রাখবেন। আর যদি প্রতি কাজের প্রথমে এ নাম অধিক মাত্রায় পড়তে থাকে,ইনশাআল্লাহ সে কাজে সফলতা লাভ করবে।
১২.আরবিঃ الخالق
উচ্চারণঃ ইয়া খালিকু
অর্থঃ সৃষ্টিকর্তা
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি একটানা ৭ সাত দিন পর্যন্ত একশ বার করে এ নাম পড়বে,ইনশাআল্লাহ সে সকল বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে। যে ব্যক্তি সর্বদা এ নাম পড়বে,আল্লাহ তার জন্য এমন একজন ফেরেশতা পয়দা করে দেন,যে তার পক্ষ থেকে ইবাদত করতে থাকে এবং তার চেহারা উজ্জ্বল থাকে।
১৩.আরবিঃ البارئ
উচ্চারণঃ আল বারি’উ
অর্থঃ প্রাণদানকারী
ফজিলতঃ কোন বন্ধ্যা স্ত্রী লোক যদি সাতদিন পর্যন্ত রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করে একুশ বার (আল বারি’উল মুছা’ওয়িরু) পড়ে,তা হলে ইনশাআল্লাহ সে সন্তানবতী হবে।
১৪.আরবিঃ المصور
উচ্চারণঃ আল মুছাওয়ি’রু
অর্থঃ সুরতদাতা,আকৃতি-দানকারী
ফজিলতঃ কোন বন্ধ্যা স্ত্রী লোক যদি সাতদিন পর্যন্ত রোযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করে একুশ বার (আল বারি’উল মুছা’ওয়িরু) পড়ে,তা হলে ইনশাআল্লাহ সে সন্তানবতী হবে।
১৫.আরবিঃالغفار
উচ্চারণঃ আল-গাফ্ফারু
অর্থঃ ক্ষমাশীল ও আবৃতকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি জুমার নামাজের পর একশ বার এ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ তার ভিতর ক্ষমার চিহ্ন পরিলক্ষিত হতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি রোজ আছরের পরে (ইয়া গঅফ্ফারু গফির লী) পড়বে,ইনশাআল্লাহ সে ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দলভুক্ত হবে।
১৬.আরবিঃ القهار
উচ্চারণঃ আল-কাহ্হারু
অর্থঃ সব কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার মালিক
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি দুনিয়ার মহব্বতে অন্ধ হয়ে যায়,সে যদি বেশি মাত্রায় এ নাম পাঠ করে,তা হলে তার দুনিয়ার মহব্বত কমতে থাকবে এবং আল্লাহর মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।
১৭.আরবিঃ الوهاب
উচ্চারণঃ আল-ওয়াহ্হাবু
অর্থঃ সবকিছুর দাতা
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অনাহার ও দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটায়,সে যদি এ নাম পাঠ করে কিংবা লিখে সাথে রাখে,অথবা চাশত নামাজের শেষ সেজদায় চল্লিশ বার পড়ে,তা হলে আল্লাহ তার অভাব দূর করে দেবেন। তা দেখে মানুষ হতবাক হয়ে যাবে। আর সে যদি কোন বিশেষ অভাবে পতিত হয় তা হলে যেন ঘর বা মসজিদের আঙ্গিনায় তিন বা সেজদা করে হাত উঠিয়ে একশ বার এ না পড়ে,তা হলে উক্ত অভাব থেকে মুক্তি লাভ করবে।
১৮.আরবিঃ الرزاق
উচ্চারণঃ আর-রাজ্জাকু
অর্থঃ মহান রুজিদাতা
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পূর্বে ঘরের চার কোণায় ১০ বা ১০ বার করে এ নাম পড়ে ফুঁ দিবে,ইনশাআল্লাহ তার রিজিকের দুয়ার আল্লাহ পাক খুলে দিবেন,তার গ্রহে রোগ-ব্যাধি,অভাব-অনটন কখনও প্রবেশ করবে না। গৃহের ডান কোণ থেকে ফুঁ দেয়া শুরু করবে এবং মুখ কেবলার দিকে রাখবে।
১৯.আরবিঃ الفتاح
উচ্চারণঃ আল-ফাত্তাহু
অর্থঃ বহু প্রশস্ত জ্ঞানের অধিকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর উভয় হাত বুকের উপর বেঁধে সত্তর বার এ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ তার অন্ত ইমানের নূরে দীপ্তিমান হয়ে থাকবে।
২০.আরবিঃ العليم
উচ্চারণঃ আল-আলীমু
অর্থঃ বহু প্রশস্ত জ্ঞানের অধিকারী
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি এ নাম বেশি বেশি পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ,তার নিকট আল্লাহ তা’আলা ইলম ও মা’রেফাতের দরজা খুলে দিবেন।
২১.আরবিঃ القابض
উচ্চারণঃ আল-কাবিযু
অর্থঃ রুজি সংকীর্ণকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি রুটির চার লোকমার উপর এ নাম লেখে চল্লিশ দিন পর্যন্ত আহার করবে,সে ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ ক্ষুধা তৃষ্ণা,জখম যন্ত্রণা ইত্যাদির কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে।
২২.আরবিঃ الباسط
উচ্চারণঃ আল-বাসিতু
অর্থঃ রুজি বৃদ্ধিকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি চাশতের নামাযের পর আসমানের দিকে হাত তুলে রোজ দশ বার এ নাম পড়বে এবং মুখমন্ডলে হাত ফিরাবে,আল্লাহ তাকে ধনী করে দেবেন,সে আর অন্যের মুখাপেক্ষী হবে না।
২৩.আরবিঃ الخافض
উচ্চারণঃ আল-খাফিযু
অর্থঃ অবনতকারী
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি রোজ পাঁচশ বার এ নাম পড়বে,আল্লাহ পাক তার অভাব অনটন পূরণ করে দেবেন,যাবতীয় মুশকিল দূরে করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি ৩টি রোযা রাখবে এবং ৪র্থ এক জায়গায় বসে সত্তর বার এ নাম পড়বে,ইনশাআল্লাহ সে শত্র“র বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে।
২৪.আরবিঃ الرافع
উচ্চারণঃ আর-রাফি’উ
অর্থঃ উচ্চে স্থাপনকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রতি মাসের চৌদ্দই রাত্রের অর্ধেক রাত্রে একশবার এ নাম পড়বে আল্লাহ তাকে মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষী এবং ধনী বানিয়ে দেবেন।
২৫.আরবিঃ المعز
উচ্চারণঃ আল-মু’ইজ্জু
অর্থঃ সম্মানদাতা
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি সোমবার বা শুক্রবার মাগরিবের নামাযের পরে চল্লিশ বার এ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ্ আল্লাহ পাক তাকে মানুষের নিকট সম্মানী ও প্রতাপশালী বানিয়ে দেবেন।
২৬.আরবিঃ المذل
উচ্চারণঃ আল-মুযিল্লু
অর্থঃ অবমাননাকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি পঁচাত্তর বার ইয়া মুযিল্লু পাঠ করে সেজদার মত নত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে,আল্লাহ পাক তাকে হিংসুক,জালেম এবং শত্র“দের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। যদি কোন খাস শত্র“ থাকে তা হলে সেজদায় তার নাম নিয়ে এরূপ দোয়া করবে,হে আল্লাহ! তুমি আমাকে অমুকের অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর। ইনশাআল্লাহ,আল্লাহ এ দোয়া কবুল করবেন।
২৭.আরবিঃ السميع
উচ্চারণঃ আস-সামী’উ
অর্থঃ সবকিছু শ্রবণকারী
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার চাশতের নামাযের পর পাঁচশ,অথবা একশ কিংবা পঞ্চাশ বার ‘ইয়া সামী’উ নামটি পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ তার দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করবেন। এ নাম পাঠ করার মাঝে কারুর সাথে কোন কথা বলবে না। আর যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ফজরের সুন্নত ও ফরযের মাঝে এ নাম একশ বার পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দান করবেন।
২৮.আরবিঃ البصير
উচ্চারণঃ আল-বাছিরু
অর্থঃ সবকিছুর দর্শক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি জুমার নামাযের পর আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে একশবার এ নাম পাঠ করবে,আল্লাহ তা’য়ালা তার দৃষ্টিতে জ্যোতি এবং অন্তরে নূর পয়দা করে দিবেন।
২৯.আরবিঃ الحكم
উচ্চারণঃ আল-হাকামু
অর্থঃ অটল বিচারক,মহা বিচারপতি,চুড়ান্ত হুকুমদাতা,হুকুমদাতা
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি শেষ রাত্রে অযু অবস্থায় নিরানব্বই বার এ নাম পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তার অন্তরকে ভেদ ও নূর দ্বারা ভরে দিবেন। আর যে ব্যক্তি জুমার রাতে এ নাম পড়তে পড়তে প্রায় জ্ঞানহারা হয়ে যাবে,আল্লাহ পাক তার কলবে ‘এলহাম’ দান করবেন।
৩০.আরবিঃ العدل
উচ্চারণঃ আল-আদলু
অর্থঃ পরিপূর্ণ ইনসাফকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি জুমার দিন বা জুমার রাত্রে রুটির বিশখানি টুকরার উপর এ নাম লিখে আহার করবে,আল্লাহ পাক সমস্ত মাখলুককে তার অধীন করে দিবেন।
৩১. আরবিঃ اللطيف
উচ্চারণঃ আল-লাতীফু
অর্থঃ পরম স্নেহশীল,সকল-গোপন-বিষয়ে-অবগত,সূক্ষ্মদর্শী
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি একশ তেত্রিশ বার ‘ইয়া লাতীফু’ পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ তার রিজিকে বরকত হবে এবং তার সমস্ত কাজই উত্তমরূপে সম্পন্ন হবে। যে ব্যক্তি দারিদ্র্য ও অভাব অনটনের কষ্ট,অসহায় অবস্থায় দুঃখ কিংবা অন্য কোন প্রকার বিপদে পতিত হবে,সে উত্তম রূপে অযু করতঃ দুই রাকাত নামাজ পড়বে এবং নিজ মাকসুদের কথা স্মরণ করে একশ বার এই নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ তার মাকসুদ পূর্ণ হবে।
৩২.আরবিঃ الخبير
উচ্চারণঃ আল-খাবিরু
অর্থঃ মহাজ্ঞানী ও সতর্ক
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি সাত দিন পর্যন্ত এ নাম অধিক পরিমাণে পড়তে থাকবে,ইনশাআল্লাহ তার নিকট গোপন বিষয় উদঘাটিত হতে থাকবে। যে ব্যক্তি প্রবৃত্তির কামনা বা খাহেশাতে নফসানীর শিকার হবে,সে যেন এ নাম অধিক মাত্রায় পাঠ করতে থাকে,ইনশাআল্লাহ্ সে মুক্তি লাভ করবে।
৩৩.আরবিঃ الحليم
উচ্চারণঃ আল-হালিমু
অর্থঃ মহা ধৈর্যশীল
ফজিলতঃ এ নাম কোন কাগজে লিখে তা পানিতে ভিজাবে এবং সেই পানি দ্বারা যা কিছু ধৌত করবে কিংবা কোন কিছুর উপর ছিটিয়ে দিবে,এতে করে তার উপর খায়র ও বরকত নাযিল হবে এবং যাবতীয় অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে।
৩৪.আরবিঃ العظيم
উচ্চারণঃ আল-‘আযিমু
অর্থঃ অতীব মহান
ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে যে ব্যক্তি এ নাম বেশি পরিমাণে পাঠ করতে থাকবে,ইনশাআল্লাহ সে অধিক পরিমাণে মান-মর্যাদা লাভ করবে।
৩৫.আরবিঃ الغفور
উচ্চারণঃ আল-গাফুরু
অর্থঃ মহা ক্ষমাশীল
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি এ নাম অধিক মাত্রায় পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ তার সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূরীভূত হবে। ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির মাঝে বরকত অবতীর্ণ হবে। হাদীস শরীফে আছে,যে ব্যক্তি সেজদার ভেতর (ইয়া রাব্বি গফির লী) তিন বার পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তার পূর্বের ও পরের সমস্ত গোনাহ মার্জনা করে দেবেন।
৩৬.আরবিঃ الشكور
উচ্চারণঃ আশ-শাকুরু
অর্থঃ মহমূল্যায়নকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি আর্থিক অনটন কিংবা অন্য কোন দুঃখ-বেদনা বা কষ্টের মাঝে পতিত হয়,সে আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে এ নাম প্রত্যহ একচল্লিশ বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ,তা থেকে মুক্তি লাভ করবে।
৩৭.আরবিঃ العلي
উচ্চারণঃ আল-আলিয়্যু
অর্থঃ সর্বোচ্চ
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি এ নাম সর্বদা পাঠ করবে এবং লিখে নিজের কাছে রাখবে,ইনশাআল্লাহ সে অত্যন্ত সম্মান,স্বাচ্ছন্দ্য ও সফল হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবে।
৩৮.আরবিঃ الكبير
উচ্চারণঃ আল-কাবীরু
অর্থঃ অতীব মহান
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি চাকুরিচ্যুত হয়,সে সাতটি রোযা রাখবে এবং প্রত্যহ এক হাজার বার (ইয়া কাবীরু) পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ সে চাকরিতে পুনর্বহাল হবে এবং সম্মানিত হবে।
৩৯.আরবিঃ الحفيظ
উচ্চারণঃ আল-হাফিয
অর্থঃ সকলের হেফাজতকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অনেক পরিমাণে (ইয়া হাফীযু) পাঠ করবে এবং লিখে নিজের কাছে রাখবে,সে ইনশাআল্লাহ,অবশ্যই সকল প্রকার ভয়-ভীতি ও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৪০.আরবিঃ المقيت
উচ্চারণঃ আল-মুকিতু
অর্থঃ সকলের রুজি ও সামর্থদানকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি কোন খালি পাত্রে সাত বার এ নাম পাঠ করে ফুঁ দিয়ে নিজে তাতে পানি পান করবে,কিংবা অন্যকে পান করাবে অথবা তা শুঁকবে,ইনশাআল্লাহ তার মাকসুদ পূর্ণ হবে।
৪১.আরবিঃ الحسيب
উচ্চারণঃ আল হাসীবু
অর্থঃ সকলের পর্যাপ্ততাদানকারী
ফজিলতঃ যে কোন ব্যক্তি বা জিনিষের ভয়ে ভীত হবে সে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে আট দিন পর্যন্ত সকাল সন্ধ্যায় সত্তর বার করে (হাসবিয়াল্লাহুল হাসীবু) পাঠ করবে,সে ইনশাআল্লাহ সকল জিনিষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।
৪২.আরবিঃ الجليل
উচ্চারণঃ আল জালীলু
অর্থঃ মহিমান্নিত
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি মেশক ও জাফরান দ্বারা এ নাম লিখে নিজের কাছে রাখবে এবং অধিক পরিমাণে (ইয়া জালীলু) পাঠ করতে করতে শয়ন করবে,আল্লাহ তাকে আলেম,ছালেহ (নেককার) লোকদের মধ্যে সম্মান দান করবেন।
৪৩.আরবিঃ الكريم
উচ্চারণঃ আল-কারিমু
অর্থঃ মহান দাতা
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি রোজ শোয়ার সময় ‘ইয়া কারীমু’ পাঠ করতে করতে শয়ন করবে, আল্লাহ তাকে আলেম, ছালেহ (নেককার) লোকদের মধ্যে সম্মান দান করবেন।
৪৪.আরবিঃ الرقيب
উচ্চারণঃ আল-রাকীবু
অর্থঃ মহান অভিভাবক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি নিজ পরিবার-পরিজন এবং মাল-সম্পদের উপর সাত বার এ নাম পড়ে ফুঁ দেবে এবং রোজ এরূপ করবে,আর ইয়া রাকীবু অজীফা করে নেবে,সে সমস্ত বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।
৪৫.আরবিঃ المجيب
উচ্চারণঃ আল-মুজীবু
অর্থঃ দোয়া শ্রবণকারী ও মঞ্জুরকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে ‘ইয়া মুজীবু’ পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ্ তার দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করতে থাকবেন।
৪৬.আরবিঃ الواسع
উচ্চারণঃ আল-ওয়াসি’উ
অর্থঃ প্রশস্ততার অধিকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে ‘ইয়া ওয়াসি’উ পাঠ করতে থাকবে,ইনশাআল্লাহ্ তাকে আল্লাহ তা’আলা প্রকাশ্য ও গুপ্ত ঐশ্বর্য দান করবেন।
৪৭.আরবিঃ الحكيم
উচ্চারণঃ আল-হাকীমু
অর্থঃ মহা হেকমতের মালিক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক মাত্রায় ‘ইয়া হাকিমু’ নাম পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তার নিকট ইলম ও হেকমতের দরজা খুলে দেবেন। যে ব্যক্তির কোন কাজ পুরো হতে চায় না,সে যদি এ নাম নিয়মিতভাবে পড়তে থাকে,তা হলে তার সেই কাজ ইনশাআল্লাহ্ পুরো হয়ে যাবে।
৪৮.আরবিঃ الودود
উচ্চারণঃ আল-ওয়াদুদু
অর্থঃ বড় স্নেহশীল
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি এক হাজার বার ‘ইয়া ওয়াদুদু’ পাঠ করে খাদ্য দ্রব্যের উপর দম করবে এবং স্ত্রীর সংগে বসে আহার করবে, তা হলে ইনশাআল্লাহ্, স্বামী-স্ত্রীর কলহ বন্ধ হয়ে যাবে এবং পারস্পারিক ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে।
৪৯.আরবিঃ المجيد
উচ্চারণঃ আল-মাজীদু
অর্থঃ মহা গৌরবমন্ডিত
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি কোন কষ্টদায়ক ব্যাধি, যথা গনোরিয়া, কুষ্ঠ ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হবে,সে ১৩ই, ১৪ই ও ১৫ই তারিখ রোযা রাখবে এবং ইফতারের পরে অধিক পরিমাণে এ নাম পাঠ করে পানিতে দম করে পান করবে,ইনশাআল্লাহ,এতে করে সে আরোগ্য লাভ করবে।
৫০.আরবিঃ الباعث
উচ্চারণঃ আল-বাইছু
অর্থঃ মৃতকে জীবনদানকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি রোজ শোয়ার সময়ে সিনার উপর হাত রেখে একশ একবার ‘ইয়া বা’ইছু পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর ইলম ও হেকমত দ্বারা পরিপূর্ণ হবে।
৫১.আরবিঃ الشهيد
উচ্চারণঃ আশ-শাহীদু
অর্থঃ উপস্থিত ও দর্শক
ফজিলতঃ যার স্ত্রী বা সন্তান-সন্ততি অবাধ্য, সে তাদের কপালের উপর হাত রেখে (অতি ভোরে) একুশ বার ‘ইয়া শাহীদু’ পাঠ করে দম করবে,এতে করে অবাধ্য বাধ্যগত হবে।
৫২.আরবিঃ الحق
উচ্চারণঃ আল-হাক্ক
অর্থঃ হক ও অবিচল
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি চার কোণ বিশিষ্ট কাগজের প্রতি কোণায় ‘আল-হাক্কু’ লেখে সেহরীর সময় কাগজখানি হাতের তালুতে রেখে আকাশের দিকে উঁচু করে দোয়া করবে,ইনশাআল্লাহ্ সে হারানো ব্যক্তি বা মাল পেয়ে যাবে এবং ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
৫৩.আরবিঃ الوكيل
উচ্চারণঃ আল-ওয়াকীলু
অর্থঃ মহান কার্য সম্পাদনকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি আসমানী বিপদের আশংকায় ভীত হয়ে পড়বে,সে যেন বেশি মাত্রায় ‘ইয়া ওয়াকীলু’ পাঠ করতে থাকে এবং এ নামকেই তার উকিল বানিয়ে নেয়,এতে করে সে বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
৫৪.আরবিঃ القوي
উচ্চারণঃ আল-কাইয়ু
অর্থঃ মহাশক্তিমান
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি বাস্তবেই মজলুম,দুর্বল এবং সবদিক থেকে অক্ষম ও পরাভূত,সে যেন জালেমকে ঠেকাবার জন্য এ নাম বার বার পাঠ করে। এতে করে ইনশাআল্লাহ সে নিরাপদে থাকবে। কিন্তু সাবধান! এ আমল যেন খামাখা করা না হয়।
৫৫.আরবিঃ المتين
উচ্চারণঃ আল-মাতিনু
অর্থঃ কঠিন শক্তিধর
ফজিলতঃ যে মহিলার দুধ হয় না তাকে নামটি কাগজের উপর লিখে তার ধোয়া পানি পান করালে ইশাআল্লাহ্ তার খুব দুধ হবে।
৫৬.আরবিঃ الولي
উচ্চারণঃ আল-ওয়ালে
অর্থঃ সহানুভূতিশীল, সাহায্যকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর অভ্যাস,চাল-চলন ও কথাবার্তায় খুশি হতে পারছে না, সে যখন তার সামনে যাবে তখন এ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ্ তার স্বভাব সুন্দর হয়ে উঠবে।
৫৭.আরবিঃ الحميد
উচ্চারণঃ আল-হামীদু
অর্থঃ প্রশংসার যোগ্য
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি একটানা পঁয়তাল্লিশ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে একা একা তিরানব্বই বার এ নাম পাঠ করবে,তার মন্দ স্বভাবগুলো ইনশাআল্লাহ্ দূরীভূত হবে।
৫৮.আরবিঃ المحصي
উচ্চারণঃ আল-মুহ্ছী
অর্থঃ স্বীয় জ্ঞান ও গণনায় রক্ষাকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি বিশু টুকরা রুটির উপর প্রত্যহ বিশ বার এ নাম পাঠ করে দম করবে এবং আহার করবে,সমস্ত মাখলুক তার কথা মানতে শুরু করবে।
৫৯.আরবিঃ المبدئ
উচ্চারণঃ আল-মুবদি’উ
অর্থঃ প্রথম সৃষ্টিকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি সেহরীর সময় গর্ভবতী নারীর পেটের উপর হাত রেখে নিরানব্বই বার ‘ইয়া মুবদি’উ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ তার গর্ভপাত এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে সন্তান প্রসব হবে না।
৬০.আরবিঃ المعيد
উচ্চারণঃ আল-মুঈদু
অর্থঃ দ্বিতীয় বার সৃষ্টিকারী
ফজিলতঃ কোন হারানো ব্যক্তিকে ফিরে পেতে হলে যখন ঘরের সবাই শুয়ে পড়বে,তখন ঘরের চার কোণায় সত্তর বার করে ‘ইয়া মু’ঈদু’ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ সাত দিনের মধ্যে সে ব্যক্তি ফিরে আসবে কিংবা কোথায় কিভাবে আছে তা জানা যাবে।
৬১.আরবিঃ المحيي
উচ্চারণঃ আল-মুহ্য়ী
অর্থঃ জীবনদানকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি রোগগ্রস্থ সে অধিক পরিমাণ এ নাম পড়তে থাকবে কিংবা অন্য কোন রুগ্ন ব্যক্তির গায়ে দম করবে,ইনশাআল্লাহ সে সুস্থ হয়ে উঠবে। যে ব্যক্তি নিরানব্বই বার ‘আল মুহ্য়ী’ পাঠ করে নিজের গায়ে দম করবে,সে যাবতীয় বাধা-বন্ধক বা বন্দী অবস্থা থেকে নিরাপদে থাকবে।
৬২.আরবিঃ المميت
উচ্চারণঃ আল-মুমীতু
অর্থঃ মৃত্যুদানকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তির নফস বা প্রবৃত্তি তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না, শোয়ার সময় সিনার উপর হাত রেখে পাঠ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বে। এতে করে ইনশাআল্লাহ তার প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রিত হবে।
৬৩.আরবিঃ الحي
উচ্চারণঃ আল-হাইয়্যু
অর্থঃ চিরজীবন্ত
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যহ তিন হাজার বার (আল-হাইয়্যু) পাঠ করতে থাকবে,সে ইনশাআল্লাহ কখনও রোগগ্রস্থ হবে না। যে ব্যক্তি এ নাম চীনা বরতনের উপর মেশক ও গোলাপ পানি দিয়ে লিখে মিঠা পানিতে ধুয়ে পান করবে,কিংবা অন্য কোন রুগ্ন ব্যক্তিকে পান করাবে,ইনশাআল্লাহ পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবে।
৬৪.আরবিঃ القيوم
উচ্চারণঃ আল-কাইয়্যুম
অর্থঃ সবার রক্ষাকর্তা ও পরিচালক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে (আল-কাইয়্যুম) পাঠ করতে থাকবে,মানুষের মধ্যে তার ইজ্জত সম্মান বেড়ে যাবে। যদি কেউ নির্জনে একা একা এ নাম পাঠ করে,তা হলে সে সচ্ছল হয়ে উঠবে। যে ব্যক্তি ফজর বা সূর্যদয় পর্যন্ত (ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম) পাঠ করতে থাকবে,ইনশাআল্লাহ্ তার অবসাদ অলসতা দূর হয়ে যাবে।
৬৫.আরবিঃ الواجد
উচ্চারণঃ আল-ওয়াজিদু
অর্থঃ সবকিছু পাওয়ার অধিকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি আহারের সময় ‘ইয়া ওয়াজিদু’ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ্ তার খাদ্য কলবের শক্তি সামর্থ্য ও নূর বাড়িয়ে দিবে।
৬৬.আরবিঃ المحيط
উচ্চারণঃ আল-মাজিদু
অর্থঃ শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্বের অধিকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি একা একা এ নাম পাঠ করতে করতে আত্মহত্যা হয়ে পড়বে,ইনশাআল্লাহ তার কলবে আল্লাহর নূর প্রকাশিত হতে থাকবে।
৬৭.আরবিঃ الوحيد الاحدو
উচ্চারণঃ আল-ওয়াহেদুল আহাদু
অর্থঃ এক ও একক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি রোজ এক হাজার বার ‘আল ওয়াহেদুল আহাদু’ পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তার অন্তর থেকে মাখলুকের ভয় কিংবা ভালোবাসা দূর হয়ে যাবে। যে ব্যক্তির সন্তান হয় না সে যদি এ নাম লেখে নিজের সংগে রাখে, তা হলে তার নেককার সন্তান নসীব হবে।
৬৮.আরবিঃ الصمد
উচ্চারণঃ আস-সামাদু
অর্থঃ অমুখাপেক্ষী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি সেহরীর সময়ে সেজদায় গিয়ে একশ পনের বা একশ পঁচিশ বার এ নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ,জাহেরী বাতেনী সত্যতা লাভ করবে। যে ব্যক্তি অযু অবস্থায় এ নাম পড়তে থাকবে,সে কখনও মাখলুকের মুখাপেক্ষা হবে না।
৬৯.আরবিঃ القادر
উচ্চারণঃ আল-কাদিরু
অর্থঃ শক্তিমান
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি দু’রাকাত নামায পড়ে একশ বার (আল-কাদিরু) পাঠ করবে,আল্লাহ্ তার শত্র“কে লাঞ্ছিত অপদস্থ করে দেবেন। যদি কাউকে কোন কঠিন কাজ করতে হয় কিংবা তার কাজে কোন কঠিন বাধা এসে যায়,সে যেন একচল্লিশ বার ‘ইয়া কাদিরু’ পাঠ করে, তা হলে তার কাজ সহজ হয়ে যাবে কিংবা কঠিন বাধা অপসারিত হবে।
৭০.আরবিঃ المقتدر
উচ্চারণঃ আল-মুকতাদিরু
অর্থঃ পূর্ণ শক্তির অধিকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি শোয়া হতে উঠার পর অধিক মাত্রায় (আল-মুকতাদিরু) পাঠ করতে থাকবে, অথবা কমপক্ষে বিশ বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সমস্ত কাজই সহজ এবং সুসম্পন্ন হবে।
৭১.আরবিঃ المقدم
উচ্চারণঃ আল-মুকাদ্দিমু
অর্থঃ প্রথমে এবং আগে সম্পাদনকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি যুদ্ধের সময় ‘আল মুকাদ্দিমু’ বেশি পরিমাণে পাঠ করতে থাকবে, আল্লাহ পাক তাকে অগ্রে থাকার তওফীক দান করবেন এবং শত্র“দের থেকে হেফাজতে রাখবেন। আর যে ব্যক্তি সদা সর্বদা এ নাম পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ সে আল্লাহ্র অনুগত ও ফরমাবরদার হয়ে যাবে।
৭২.আরবিঃ المؤخر
উচ্চারণঃ আল-মু’আখ্খিরু
অর্থঃ পশ্চাতে এবং পরে সম্পাদনকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে (আল-মু’আখ্খিরু) পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্ তার সত্যিকার তওবা নসীব হবে। যে ব্যক্তি প্রত্যহ নিয়মিতভাবে একশ বার এ নাম পড়বে, সে আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভ করবে, যে সে তা ছাড়া স্থির থাকতে পারবে না।
৭৩.আরবিঃ الأول
উচ্চারণঃ আল-আউয়ালু
অর্থঃ সর্বপ্রথম
ফজিলতঃ যে ব্যক্তির কোন ছেলে হয় না, সে চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রত্যহ চল্লিশ বার (আল-আউয়ালু) পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার মকসুদ পূর্ণ হবে। যে ব্যক্তি মুসাফির, সে জুমার নি এক হাজার বার এ নাম পাঠ করলে অতি শীঘ্রই নির্বিঘেœ ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হবে।
৭৪.আরবিঃ الأخر
উচ্চারণঃ আল-আখিরু
অর্থঃ সর্বশেষ
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি রোজ এক হাজার বার (আল-আখিরু) পাঠ করবে,তার অন্তর থেকে ইনশাআল্লাহ,গায়রুল্লাহ্র মহব্বত দূর হয়ে যাবে এবং সমগ্র জীবনের গোনাহ ও ত্রু“টি বিচ্যুতির কাফফারা হবে। সর্বশেষে সে উত্তম মৃত্যু (হুসনে খাতেমা) বরণ করবে।
৭৫.আরবিঃ الظاهر
উচ্চারণঃ আজ-জাহিরু
অর্থঃ প্রকাশ্য
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি এশরাকের নামাযের পর পাঁচশ বার (আজ-জাহিরু) পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তার চোখে রোশনী এবং অন্তরে নূর দান করবেন।
৭৬.আরবিঃ الباطن
উচ্চারণঃ আল-বাতিনু
অর্থঃ গুপ্ত
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যহ ৩৩ বার (ইয়া-বাতিনু) পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ্ তার নিকট গুপ্ত রহস্য প্রকাশিত হবে এবং তার অন্তরে আল্লাহর মহব্বত ও ভালবাসা সৃষ্টি হবে। যে ব্যক্তি দু’রাকাত নামায আদায় করে (হুয়াল আউয়ালু ওয়াল আখিরু ওয়াজজাহিরু ওয়াল বাতিনু ওয়া হুয়ু ‘আলা কুল্লিা শাইইন কাদীর) পাঠ করবে, তার সকল অভাব অনটন ও যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ হয়ে যাবে।
৭৭.আরবিঃ الوالي
উচ্চারণঃ আল-ওয়ালিউ
অর্থঃ অভিভাবক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক মাত্রায় (আল-ওয়ালিউ) পাঠ করবে,সে ইনশাআল্লাহ্ আকস্মিক বিপদ থেকে নিরাপদে থাকবে। চীনা পাত্রে এ নাম লিখে তাতে পানি ভরে সেই পানি বাড়িতে ছিটিয়ে দিলে যাবতীয় আপদ-বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে। কাউকে বশ করতে ইচ্ছা করলে এ নাম এগার বার পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ সে অনুগত হয়ে যাবে।
৭৮.আরবিঃ المتعالي
উচ্চারণঃ আল-মুতা’আলী
অর্থঃ সবচেয়ে বুলন্দ ও উচ্চ
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে এই নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার যাবতীয় সংকট দূরীভূত হয়ে যাবে। যে স্ত্রীলোক হায়েজ অবস্থায় এই নাম বেশী মাত্রায় পড়বে, ইনশাআল্লাহ তার কোন কষ্ট হবে না।
৭৯.আরবিঃ البر
উচ্চারণঃ আল-বাররু
অর্থঃ চূড়ান্ত সদ্ব্যবহারকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি মদ্যপান,ব্যভিচার ইত্যাদির ন্যয় দুষ্কর্মে লিপ্ত, সে যদি প্রত্যহ সাত বার এই নাম পাঠ করে,তা হলে ইনশাআল্লাহ্ তার দুষ্কর্মের ইচ্ছা ও প্রবণতা দ্রুত কমে যাবে। যে ব্যক্তি দুনিয়ার মহব্বতে অন্ধ হয়ে যায়,সে যদি এ নাম অধিক মাত্রায় পাঠ করে,তা হলে দুনিয়ার মহব্বত ভালবাসা কমে যাবে। যে ব্যক্তি সন্তান পয়দা হওয়ার পরেই সাত বার এই নাম পড়ে দম করে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দিবে,ইনশাআল্লাহ্ সে সন্তান বালেগ হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
৮০.আরবিঃ التواب
উচ্চারণঃ আত-তাওয়াবু
অর্থঃ অধিক তওবা গ্রহণকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি চাশতের নামাযের পর তিনশ ষাট বার এ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ্ তার সত্যিকার তওবা নসীব হবে। যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে এ নাম পড়তে থাকবে,ইনশাআল্লাহ তার সমস্ত কাজ সহজ হবে। যদি কোন জালেমের উপর এ নাম দশ বার পড়ে দম করা হয়,তা হলে তার হাত থেকে নিস্তার লাভ করবে।
৮১.আরবিঃ المنتقم
উচ্চারণঃ আল-মুনতাকিমু
অর্থঃ প্রতিশোধ গ্রহণকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি সত্যের উপর অবস্থানকারী, কিন্তু দুশমনের সাথে পেরে উঠছে না,সে যদি তিন জুমা পর্যন্ত বেশি পরিমাণে (ইয়া-মুনতাকিমু) নাম পাঠ করে,আল্লাহ স্বয়ং তার প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন।
৮২.আরবিঃالعفو
উচ্চারণঃ আল-আফুও
অর্থঃ মহামার্জনাকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি বেশি মাত্রায় (আল-আফুও) পাঠ করতে থাকবে,আল্লাহ তার গোনাহসমূহ মার্জনা করে দিবেন।
৮৩.আরবিঃ الرؤوف
উচ্চারণঃ আল-রাওয়াফ
অর্থঃ মহা স্নেহপরায়ণ
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে এ নাম পাঠ করতে থাকবে,ইনশাআল্লাহ সমস্ত মাখলুক তার প্রতি সদয় হবে এবং সেও মাখলুকের প্রতি স্নেহশীল হয়ে উঠবে। যে ব্যক্তি দশ বার দরূদ শরীফ এবং দশ বার এ নাম পাঠ করবে,তার গোস্সা দূরীভূত হবে। আর অন্য কোন ভীষণ রাগী ব্যক্তির উপর এ নাম পড়ে দম করলে তার রাগ চলে যাবে।
৮৪.আরবিঃ مالك الملك
উচ্চারণঃ মালিক আল মূলক
অর্থঃ বাদশার বাদশা
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি সর্বদা (ইয়া মলিকুল মুলক) পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে ধনী এবং অন্য লোকদের অমুখাপেক্ষী করে দেবেন; সে কারুর প্রতি নির্ভরশীল থাকবে না।
৮৫.আরবিঃ ذو الجلال والإكرام
উচ্চারণঃ যুল জালালি ওয়াল ইকরাম
অর্থঃ মহত্ত্ব ও নেয়ামতের মালিক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে (ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম) পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তাকে ইজ্জত সম্মান এবং মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষীতা দান করবেন।
৮৬.আরবিঃ المقسط
উচ্চারণঃ আল-মুকসিতু
অর্থঃ আদল-ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যহ এ নাম পাঠ করবে, সে ইনশাআল্লাহ! শয়তানের কু প্ররোচনা (ওয়াসওয়াসা) থেকে নিরাপদে থাকবে। যদি কোন বৈধ ও খাস উদ্দেশ্যে সাত বার এ নাম পাঠ করে,তা হলে সে উদ্দেশ্য সফল হবে।
৮৭.আরবিঃ الجامع
উচ্চারণঃ আল-জামি’উ
অর্থঃ সবাইকে একত্রকারী
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, সে চাশতের সময় গোসল করবে এবং আসমানের দিকে মুখ করে দশ বার (ইয়া-জামি’উ) পাঠ করবে এবং একটি আঙ্গুল বন্ধ করতে থাকবে এবং সর্বশেষে উভয় হাত মুখের উপর ফিরাবে। এতে করে খুব শীঘ্রই তারা এক হয়ে আসবে।
৮৮.আরবিঃ الغني
উচ্চারণঃ আল-গানিয়্যু
অর্থঃ বড় অভাবমুক্ত ও বেপরোয়া
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যহ সত্তর বার (ইয়া গানিয়্যু) পাঠ করবে,আল্লাহ তার ধন-সম্পদে বরকত দান করবেন। সে কারুর মুখঅপেক্ষী হয়ে থাকবে না। যে ব্যক্তি কোন জাহেরী বাতেনী ব্যাধি কিংবা বালা-মসিবতে পতিত হবে সে ইয়া গানিয়্যু পাঠ করবে। তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শরীরের উপর দম করলে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবে।
৮৯.আরবিঃ المغني
উচ্চারণঃ আল-মুগনী
অর্থঃ অভাবমুক্ত ও ধনী করা মালিক
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি প্রথমে ও শেষে এগার বার দরূদ শরীফ পাঠ করে এগারশ এগার বার অজীফার মত এ নাম পাঠ করবে,আল্লাহ পাক তাকে জাহেরী বাতেনী ধন দান করবেন। ফজরের নামাযের পর কিংবা এশার নামাযের পরে পাঠ করবে। এর সাথে সূরা মুজ্জাম্মিলও তেলাওয়াত করবে।
৯০.আরবিঃ المانع
উচ্চারণঃ আল-মানি’উ
অর্থঃ থামিয়ে দেয়ার অধিকারী
ফজিলতঃ যদি স্ত্রীর সাথে ঝগড়া কিংবা তিক্ততার সৃষ্টি হয়, তা হলে বিছানায় শোয়ার সময় দশ বার এ নাম পাঠ করবে,ইনশাআল্লাহ ঝগড়া ও মনোমালিন্যের অবসান হবে এবং পারস্পারিক মহব্বত বৃদ্ধি পাবে। যে ব্যক্তি বেশি বেশি এ নাম পড়বে,সে ইনশাআল্লাহ যাবতীয় ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকবে। যদি বিশেষ কোন বৈধ উদ্দেশ্যে এ নাম পাঠ করে তাও হাসিল হবে।
৯১.আরবিঃ الضار
উচ্চারণঃ আদদর
অর্থঃ যন্ত্রনাদানকারী, ক্ষতিসাধনকারী, উৎপীড়নকারী
ফজিলতঃ প্রত্যেক শুক্রবার রাতে এ নাম ১০০ বার পড়লে সর্বপ্রকার বিপদ হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
৯২.আরবিঃ ٱلْنَّافِع
উচ্চারণঃ আন নাফিই
অর্থঃ কল্যাণকারী
ফজিলতঃ মনের বাসনা লাভ করার ইচ্ছা থাকলে এ নাম মনে মনে পড়লে সিদ্ধিলাভ হয়। ব্যবসার উদ্দেশ্যে মাল কিনার সময় ৪১ বার এই নাম পড়লে ব্যবসা লাভবান হবে।
৯৩.আরবিঃ ٱلْنُّورُ
উচ্চারণঃ আন নূর
অর্থঃ পরম আলো
ফজিলতঃ পৃথক-পৃথক অক্ষরে এই নাম লিখে এর ধোয়া পানি পেটের অসুখ কিংবা হৃদকম্প রোগীকে সেবন করালে আরোগ্য লাভ হয় এবং বেদনাস্থলে রাখলে বেদনা উপশম হয়।
৯৪.আরবিঃ ٱلْهَادِي
উচ্চারণঃ আল হাদী
অর্থঃ পথ প্রদর্শক
ফজিলতঃ এই নাম পাঠ করলে ভুল-ভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকা যায় জ্ঞান-বুদ্ধি, দুরদরশিতা বৃদ্ধি পায়।
৯৫.আরবিঃ ٱلْبَدِيع
উচ্চারণঃ আল বাদীই
অর্থঃ অতুলনীয়
ফজিলতঃ এই নাম ১০০০ বার পড়লে মনের বাসনা ও দুঃখ-কষ্ট নিবারণ হয়।
৯৬.আরবিঃ ٱلْبَاقِي
উচ্চারণঃ আল বাক্বী
অর্থঃ চিরস্থায়ী, অবিনশ্বর
ফজিলতঃ মনোযোগের সহিত এই নাম ১০০ বার পড়লে যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। বাগানে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব হতে রক্ষা পেতে নূতন মাতির পাত্রের চারটি চারায় এ ইসমতুকু লিখে বাগান বা ক্ষেত এর চার কোনায় পুঁতলে বাগান বা ক্ষেত নিরাপদ থাকবে।
৯৭.আরবিঃ ٱلْوَارِثُ
উচ্চারণঃ আল ওয়ারিস
অর্থঃ উত্তরাধিকারী
ফজিলতঃ মাগরিব ও এশার নামায এর ওয়াক্তের মধ্যবর্তী সময়ে ১০০০ বার এই নাম পাঠ করল মন হতে দুশ্চিন্তা,ভয় ও কষ্ট দূর হয়।
৯৮.আরবিঃ ٱلْرَّشِيدُ
উচ্চারণঃ আর রাশীদ
অর্থঃ সঠিক পথ প্রদর্শক
ফজিলতঃ সর্বদা এশার নামাযের পর এ নাম ১০০ বার পড়লে সকল ইবাদাত কবুল হয়।
৯৯.আরবিঃ ٱلْصَّبُورُ
উচ্চারণঃ আস সাবুর
অর্থঃ অত্যাধিক ধর্য্য ধারণকারী
ফজিলতঃ প্রত্যহ সূর্যোদয়ের পূর্বে এ নাম ১০০ বার করে পড়লে আল্লাহর অসীম অনুগ্রহ লাভ হয় এবং বিপদ আসে না।
সর্বশেষ কথাঃ আল্লাহর ৯৯ নাম | আরবি | উচ্চারণ | অর্থ ও ফজিলত
প্রিয় পাঠক, নিশ্চয়ই আপনাদের বোঝাতে পেরেছি আল্লাহর ৯৯ নাম, আরবি, উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত সম্পর্কে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টা ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url