কিসমিস খাওয়ার নিয়ম - কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। কিসমিস শুকনো ফল। কিসমিস পুষ্টিকর খাদ্য যা আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। কিসমিসে ভিটামিন এ, বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিসমিস যেমন দেহের জন্য উপকারী তেমনি অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। এছাড়া কিসমিস অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পেজে সূচি পত্র
কিসমিস খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা "উপস্থাপনা"
কিসমিস খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা
জ্বর নিরাময় করে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করে জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য করে।
দাঁত ও হাড়ের সুরক্ষা | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম উপাদান যা আমাদের দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাঁতের ক্যাভিটি দূর করে এবং দাঁত দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলে। এছাড়া কিসমিসে আরও রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
চোখের যত্নে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন যদি নিয়ম করে কিছু পরিমাণ কিসমিস
খাওয়া যায় তাহলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের মধ্যে গিয়ে
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
মনোযোগ বাড়ায় | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
নিয়মিত কিসমিস খেলে ব্রেনের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কিসমিসে থাকা বোরণ
উপাদানটি মনোযোগ বাড়াতে করতে সাহায্য করে।
দেহের শক্তির যোগান | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে বিদ্যমান রয়েছে ক্যালোরি, প্রোটিন যা দেহের শক্তির যোগান
দেয়। শরীরের দুর্বলতা ভাব দূর করে কাজ করার মনোভাব সৃষ্টি করে।
রক্ত চলাচল | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে থাকা কার্বোহাইড্রেট দেহে গ্লুকোজের রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে ও রক্ত চলাচল
সঠিকভাবে পরিচালনা সহজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং
আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেশী সংকোচন | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম পেশী সংকোচন এবং স্নায়ু সংকেত নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
ভারসাম্য বজায় রাখতে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে থাকা সোডিয়াম দেহের এসিড এবং ক্ষারকীয় অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা
করে।
ত্বককে রক্ষা করে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে ভিটামিন বি, সি ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল এর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং ত্বককে সুন্দর লাবণ্যময় করে তোলে।
বদহজম দূর করতে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
বদহজম দূর করতে কিসমিস খাওয়া খুবই জরুরি। কারণ কিসমিস ম্যাগনেসিয়াম
পটাশিয়াম দুই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা বদহজম দূর করতে সহায়তা
করে।
কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়াতে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
শরীরের ওজন বৃদ্ধি | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
নিয়মিত কিসমিস খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি ও এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া দূর করতে | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিসে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন আছে। যা অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি
দেহ গঠন পাশাপাশি ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করে।
ক্যান্সার থেকে রক্ষা | কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
ক্যান্সারের একটি উপকরণ ফ্রি রেডিক্যাল। কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যাল ক্যানসারের কোষকে নষ্ট করে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
কিসমিস এর দাম
- কিসমিস-গোল্ডেন কিশমিশ-100 গ্রাম। 4.7/5(7) ৳55. ৳ 99।
- মিশ্র শুকনো ফল এবং বাদাম প্রিমিয়াম -250 গ্রাম। 5/5(2) ৳169। ৳ 300।
- কিসমিস/কিসমিস 500 গ্রাম(প্রিমিয়াম) 4/5(2) ৳271। ৳ 280।
- গোল্ডেন কিশমিশ / কিসমিস (বীজবিহীন)- 250 গ্রাম। 5/5(1) ৳159। ৳ 260।
- গোল্ডেন ইরানি বীজহীন গোলাকার কিশমিশ - 250 গ্রাম। 5/5(5) ৳165। ৳ 250।
কিসমিস খাওয়ার পুষ্টিগুণ - কিসমিস খাওয়ার পদ্ধতি
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা
- কিসমিস এলার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে, তাই যাদের এলার্জি আছে তারা কিসমিস খাবেন না।
- যাদের ডায়বেটিস সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত পরিমানে কিসমিস খাবেন না, এতে ডায়বেটিস বেড়ে যেতে পারে।
- যারা শরীরের ওজন কমাতে চান, তারা অতিরিক্ত কিসমিস খাবেন না, কারণ কিসমিস শরীরের ওজন বাড়ায়।
- অতিরিক্ত কিসমিস খেলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া হতে বিরত থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url