জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। টক-মিষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল জাম্বুরা।জাম্বুরাতে রয়েছে অনেক পুষ্টিমান ও গুনাগুন সমৃদ্ধ ফল। শরীরের ক্যালরি অভাব পূরণ করতে চান। তারা এই ফলটি খেতে পারেন।জাম্বুরাতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বিভিন্ন উপাদান। এই ফলটি আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। আসুন জেনে নেয়া যাক, জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
আজকের পোস্টে ভোরের আলো আইটি পক্ষ থেকে আপনাদের সাথে জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পেজে সূচিপত্রঃ জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
জাম্বুরা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ভূমিকাঃ
জাম্বুরা ফল খাওয়ার ১৪টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় শিশুর পুষ্টির
উচ্চ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড আছে। যা গর্ভাবস্থায় শিশুর পুষ্টির নিশ্চিত করে। তাই নিয়মিত জাম্বুরা ফলটি গর্ভবতী মায়ের জন্য বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
দাঁতের যত্নে
যাদের দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে ও দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে তারা এই ফলটি খেতে পারে। জাম্বুরাতে আছে ভিটামিন সি। যা দাঁতের মাড়ি শক্ত করে এবং দাঁতের রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।
সর্দি, কাশি দূর করার
জাম্বুরাতে রয়েছে সর্দি, কাশি দূর করার প্রাকৃতিক রেমিডিস। যারা সর্দি, কাশিতে বেশি ভোগেন তারা ওষুধের বিপরীতে জাম্বুরা ফলটি খেতে পারেন জাম্বুরা
খেলে উপকার পারেন।
হার্ট ভালো রাখতে
জাম্বুরা আছে প্রাক্টিন যা অ্যালট্ররিয়াল ডিপোজিট ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে। এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে হার্ট ভালো রাখতে সহযোগিতা করে।
চুল ও ত্বক ভালো রাখতে
নিয়মিত এক গ্লাস করে জাম্বুরার রস খেলে চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
জাম্বুরাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। আর তাই
বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
পেশী শক্তি বৃদ্ধি করতে
পানি পানের অভাব ডিহাইড্রেশন ও ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্সের কারণে আমাদের
মাসেল স্ক্রাপ হয়। যাদের পেশি দুর্বল তারা এই ফলটি খেতে পারেন। পেশী শক্তি
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা দূর হয়
জাম্বুরা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। এনিমিয়া ও রক্তসল্পতায় ভুগছেন তারা
নিয়মিত এক গ্লাস জাম্বুরার রস খাবেন। এছাড়া ইউরিক অ্যাসিড সমস্যা আছে।
তাদের জন্য এই ফলটি বেশ উপকারী। ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য
করে। ফলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়।
কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে
যাদের শরীরে এ. ডি. এল ফ্যাট কোলেস্টরলের পরিমাণ বেশি। তারা এই ফলটি খেতে
পারেন। কারণ জাম্বুরাতে থাকা ফাইবার কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
মুখের রুচি বাড়াতে
জাম্বুরা টক ও মিষ্টি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি মুখের রুচি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওজন কমাতে
জাম্বুরাতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার যা ওজন কমাতে কাযর্করী ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় এই ফলটি খেতে পারেন।
ক্যালরির চাহিদা মেটাতে
জাম্বুরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি। শরীরে ক্যালরির চাহিদা মেটাতে পারে। শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে
জাম্বুরাতে রয়েছে বায়োফ্লাভোনয়েডস, ফাইটোক্যামিক্যাল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ যা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস ও ক্যান্সারকোষের বৃদ্ধি বাধা প্রদান করে।
এলার্জির সমস্যা দূর করতে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যার কারণে আমাদের শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই অ্যালার্জি আবার একটু ভিন্ন ধরনের হয়। ঠান্ডা পানি খেলে গলা চুলকানো, সব সময় ঠান্ডা, কাশি ও সর্দি লেগেই থাকা। এগুলো সাধারণত অনেকের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে হয়। জাম্বুরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা কমাতে থাকে।
ক্ষত সারাতে
অনেকের ভুল ধারণা আছে যে টক জাতীয় ফল খেলে ক্ষত সারাতে দেরি লাগে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে টক জাতীয় ফল ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ক্ষত সারাতে দ্রুত সাহায্য করে। এই ক্ষত হতে পারে অপারেশনের ক্ষত ,কেটে যাওয়ার ক্ষত , পড়ে গিয়ে সৃষ্ট ক্ষত ইত্যাদি।
১০০ গ্রাম জাম্বুরাতে উপাদান রয়েছে
জাম্বুরা খাওয়ার নিয়ম
- জাম্বুরা ফল আস্ত খাওয়া যায়।
- লবণ-মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খাওয়া যায়
- জাম্বুরার রস করে খাওয়া যায়
- জাম্বুরা ফল শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়।
জাম্বুরা ফল খাওয়ার অপকারিতা
- জাম্বুরা ত্বককে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জি এড়ায়, তবে অ্যালার্জিযুক্ত লোকদের জন্য এটি উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করে। জাম্বুরা খাওয়ার পরে তাদের ত্বক লাল এবং খিটখিটে হয়ে যায়।
- যদি তারা অতিরিক্ত জাম্বুরা ফল খাওয়ার পরে, তবে যারা অ্যাসিডিটি এবং পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের পেট ফুলে যাওয়া এবং গ্যাস হতে পারে।
- যেহেতু জাম্বুরাতে পটাসিয়াম থাকে, যা ভাল কিডনির কার্যকারিতা সমর্থন করে, তাই উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক নয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url