পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার ১৩টি কৌশল জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের পোস্টে পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করবো। গৃহিণীদের জন্য রান্না করা একটি নিত্যদিনের কাজ। খেতে হলে তো রান্না করতে হবে। পরিবারের সবার চাহিদা পছন্দ মাথায় রেখে রান্না করতে হয়। তবে আমরা যে এতো সময় নিয়ে এবং কষ্ট করে কাজ করে থাকি তাতে রান্না পুষ্টিগুণ কতটুকু বজায় থাকে অনেকেই জানিনা। কে না চায় পরিবারের সবার মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে। পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার কৌশল বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার কৌশল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার কৌশল সম্পর্কে।
পেজের সূচিপত্র
পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার কৌশল "উপস্থাপনা"
আমাদের শরীরে পুষ্টিমান বাড়ানোর জন্য খাবারের কোন বিকল্প নেই। আমাদের শরীরের পুষ্টিগুণ বজায় রাখার জন্য আমরা নিয়মিত খাবার খায়! কিছু খাবার আমরা রান্না না করে খায়। আবার কিছু খাবার রান্না করা ছাড়া খাওয়া সম্ভব নয়। যেমন শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি। খনিজলবণ ও ভিটামিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে শাকসবজি। প্রতিদিন আপনার খাবার টেবিলে সাজানো আপনার প্রিয় নানাবিধ খাবারে কি ঠিকঠাক পুষ্টিমান বজায় থাকছে? খাবার অধিক সুস্বাদু করার জন্য আমরা বেশিরভাগ খাবারই অতিরিক্ত মশলা ও তেল ব্যবহার করে থাকি। সত্য কথা বলতে রান্না করার সময় খাবারের সবচেয়ে বেশি পুষ্টিমান নষ্ট হয়। এই কারণে গৃহীত খাদ্য হতে যতটুকু পুষ্টি উপাদান আমাদের পাওয়া উচিত আমরা তা পাই না। আমরা একটু সচেতন হয়ে রান্না করলেই হয়তো পরিমাণ মতো পুষ্টি পাওয়া সম্ভব। বন্ধুরা, তাহলে পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার কৌশল সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করার ১৩টি কৌশল
- কম পানিতে বেশি তরকারি রান্না করলে ভিটামিন সি বেশি পাওয়া যায়। রান্নার সময় ঠাণ্ডা পানি না দিয়ে গরম পানি দিলে সবজি পুষ্টি উপাদান কম নষ্ট হয়।
- কম আগুনে বা কম তাপে রান্না করবেন এতে রান্নার পুষ্টিমান বজায় থাকে। কারণ বেশি তাপে রান্না করলে পুষ্টিমান কমে যায়।
- শাকসবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিবেন না ওই পানি ডাল বা অন্যান্য তরকারিতে ব্যবহার করবেন। তবে বেশি পানিতে সেদ্ধ না করে শাকের পানিতে শাক সিদ্ধ করবেন এতে বেশি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
- সবজি কাটার আগে ধুয়ে নিবেন। পরে ধোয়া ঠিক নয় এতে পানির সাথে পুষ্টি চলে যায়। কোনো প্রয়োজন ছাড়া সবজি বড় বড় করে কাটবেন এতে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়।
- শাকসবজি যতটা সম্ভব টাটকা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া উচিত। শাক সবজি ক্ষেত থেকে তোলার পর রান্না করতে যত দেরি হবে পুষ্টিমান ততই কমতে থাকে।
- রান্না করার সময় কম মসলা ব্যবহার করুন। শাকসবজির উপকার পেতে অবশ্যই পরিমাণমতো তেল দিয়ে রান্না করবেন।
- পাতলা করে সবজি খোসা ছাড়ানো উচিত তবে সব সময় চেষ্টা করবেন খোসাসহ সবজি রান্না করার কারণ খোসার নিচেই ভিটামিন বেশি থাকে।
- সব সময় কম সেদ্ধ করে রান্না করবেন কারন অতিরিক্ত সেদ্ধ করলে বা বেশি গলে গেলে পুষ্টির অপচয় হয়।
- দ্রুত কোনকিছু সিদ্ধ করার জন্য খাওয়ার সোডা বা অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করবেন না। এতে ভিটামিন সি ও বি নষ্ট হয়ে যায়।
- ননস্টিক লোহা বা তামার পাত্রে রান্না করা উচিত নয়। লোহা তামার সংস্পর্শে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই মাটির পাত্রে রান্না করার সবচেয়ে ভাল রান্না করে গত মান অক্ষুন্ন থাকে।
- টমেটও, শসা, গাজর, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, লেটুশ এসব রান্না না করে সালাদ বানিয়ে খেলে বেশি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
- রান্না করার সময় পাত্রের মুখ ভালোভাবে ঢেকে দিয়ে রান্না করবেন যাতে বাইরের বাতাস পাত্রের ভিতরে ঢুকতে না পারে এতে রান্না পুষ্টিমান যেমন বজায় থাকবে তেমনি রান্না হবে তাড়াতাড়ি।
- রান্না করার সাথে সাথে খাওয়া উচিত। বেশি দেরি করে খেলে পুষ্টিগুণ কমে যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url