OrdinaryITPostAd

কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। ইংল্যান্ডের জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত এই কিউই। এর উৎপত্তি হলো চীন । ইতালি ও ফ্রান্সে এটি ব্যাপক জনপ্রিয় স্বাদে মিষ্টি রসালো বাইরের রং গোল্ডেন ব্রাউন এবং ভেতরে রং সবুজ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এই ফলটি জনপ্রিয় না হলেও দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাদে ও গুণে অতুলনীয় এই ফলটি জুস, জেলি, ডেজাট, সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে এই ফলটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কোন সময় এই ফল খাওয়া উচিত নয় এবং এই ফল খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, কিউব ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন।

বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই আজকের পোস্ট কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  রয়েছে। যারা কিউই ফল সম্পর্কে জানেনা তাদের জন্য আজকে পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে ভোরের আলো আইটির সঙ্গে থাকুন।

কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ভূমিকাঃ

কিউই ফ্রুট বেঙ্গলি নেম কিউই। কিউই ফল আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিউই ফলে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় আকরিক পদার্থ উপাদান রয়েছে। এই ফলে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম উপাদান বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিউই ফলে উপকারিতা অপকারিতা দুটাই রয়েছে, তাই কিউই ফল সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। বিস্তারিত কিউই ফল উপকারিতা ও  অপকারিতা  সম্পর্কে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

কিউই ফল খাওয়ার  ১২টি  উপকারিতা  

ওজন নিয়ন্ত্রনে |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

কিউই ফল ক্যালরির ও ফ্যাটের মাত্রা অনেক কম থাকে এবং ফাইবার থাকে বেশি। এসব কারণে ডায়টে কিইউ ফলের উপকারিতা অনেক বেশি। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ডায়েটে কিউই ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

100 গ্রাম কিউই ফলে ভিটামিন ই' পাওয়া যায় 10 শতাংশ এবং ভিটামিন কে' পাওয়া যায় প্রায় 34 শতাংশ। যা অন্য কোন ফলে ভিটামিন ই এবং কে এত বেশি পাওয়া যায় না। কিউই ফলের ভিটামিনগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে। এছাড়া কিউই ফলে ফেনোলিক কমপডিন্ড ও ক্যান্টিনয়েড জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

কিউই ফলে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন পরিপাককারী ইনজাইম অ্যাসিটি নিডিন পরিপাককে সহজ করে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

কিউই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।  ভিটামিন-সি বিভিন্ন রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। যাদের শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি রয়েছে তারা এই ফলটি নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

প্রতি ১০০ গ্রাম কিউই ফলে রয়েছে ৩১১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে চোখের দৃষ্টিশক্তি সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত কিউই ফল খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। কিইউ ফলে রয়েছে লোটিন এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে ।

দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

কিউই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দাঁতের মাড়ি শক্ত ও মজবুত করে।

কিডনিতে পাথর |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

কিউই ফল পটাশিয়ামের ভালো উৎস। যা কিডনিতে পাথর হওয়ার থেকে রক্ষা করে।

ঘুমের সমস্যা দূর  |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

কিউই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনিদ্রা জনিত ঘুমের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

হাঁপানি রোগীদের জন্য উপযোগী ফল হলো কিউই। তাই নিয়মিত কিউই ফল খান তাহলে হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কিউই ফল বেশ উপকারী। কারণ কিউই ফলে থাকা ফলেড। গর্ভাবস্থায় শিশুর কোষ গঠনে সাহায্য করে কিউই ফল । গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিউই ফল রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

রক্ত জমাট বাঁধা |  কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা 

রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে কিউই ফল অনেক কার্যকরী। নিয়মিত কিউই ফল খেলে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

১০০ গ্রাম কিউই ফলে পুষ্টিগুন উপাদান রয়েছে।

সুস্বাস্থ্যের জন্য, কিউই ফল এর ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম সামগ্রীর জন্য নির্ধারিত করা উচিত। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যায় যদি প্রতিদিন দুটি কিউই ফল পাওয়া যায়। এই ফল হৃদরোগের চিকিৎসায় সাহায্য করে। কিউই এর প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম উপাদান হার্টের স্বাস্থ্যকেও সমর্থন করে।

কিউই ফলের প্রতি 100 গ্রাম ক্যালোরি 61 কিলোক্যালরি, 1.35 গ্রাম প্রোটিন, 0.68 গ্রাম চর্বি, 14.86 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, 2.7 গ্রাম ফাইবার, 8.78 গ্রাম চিনি, 41 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, 0.24 মিলিগ্রাম আয়রন, 311 মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম। ভিটামিন সি 93.2 মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ 68 আইইউ এবং 37.8 এমসিজি ভিটামিন কে।

কিউই ফল খাওয়ার নিয়ম

আপনি খোসা, সজ্জা এবং বীজ সহ পুরো তরকারি ফল খেতে পারেন। যদিও অনেকের কাছে খোসাটি খেতে অপ্রীতিকর মনে হয়, পুরো ফল বা সবজি খাওয়ার পরিমাণ বেশি পুষ্টিকর। কিউই গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে উন্নতি লাভ করে এবং শীতল জলবায়ুতে ভাল উৎপাদন করে না, তবে কিছু মাঝারি ধরনের সেখানে চাষ করা যেতে পারে।

কিউই ফলের দাম

বন্ধুরা, আপনারা যারা কিউই ফলের দাম ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে এই পর্বে কিউই ফলের দাম ২০২৩ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

দেশের অভ্যন্তরে কিউই ফলের দাম বৃদ্ধির কারণে কিউই ফলের বিদেশী বাজারে আরও দামী বলে মনে হতে পারে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, কিউই ফলের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। 2022 সালের ডিসেম্বরে বিশ্ব বাজারে কিউই ফলের দাম প্রতি কেজি বাংলাদেশি টাকায় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার আকার অনুযায়ী কিউই ফলের দাম।

বাংলাদেশের অনেকে আছেন যারা কিউই ফলের কেজি কত তা সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাদের সুবিধার্থে কিউই ফলের কেজি কত টাকা তা জানানো হলো। 

কিউই ফল খাওয়ার অপকারিতা 

  • কিউই ফলে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • যাদের কিডনি বা পিত্ত পাথরের সমস্যা আছে তাদের কিউই ফল না খাওয়া উত্তম।
  • যারা ব্লিডিং ডিসঅর্ডারে ভুগছেন তারা কিউই ফল খাবেন না কারণ কিউই ফলে ব্লাড ক্লটিং কমাতে সাহায্য করে।
কিউই ফল অক্সালেট র‌্যাপাইড ক্রিস্টালসের উৎস। কিউই ফল অতিরিক্ত খাওয়া হলে ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনিতে পাথরের উৎপত্তি হতে পারে। এছাড়া কিউই রক্তচাপ হ্রাস করে। যে সব ব্যক্তি নিম্ন রক্তচাপে ভোগেন বা যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের রোগী বলে ওষুধ খান, তাঁদের খাদ্যতালিকায় কিউই যোগ করতে হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।

কিউই ফলের ছবি

কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

সর্বশেষ কথা - কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

কিউই ফলের ফসল কাটার সময় অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সাধারণভাবে, কিউই ফল কাটা হয় শরতের শেষের দিকে বা শীতের শুরুতে। উত্তর গোলার্ধে, কিউই ফল অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাটা হয়, যখন দক্ষিণ গোলার্ধে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত কাটা হয়। ফসল কাটার সঠিক সময় ফলের পরিপক্কতার উপর নির্ভর করে, যা ফলের চিনির পরিমাণ এবং দৃঢ়তা দ্বারা নির্ধারিত হয়।

কিউই ফল সংগ্রহ করার সময়, সঠিক সময়ে ফল বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ফলটি খুব তাড়াতাড়ি কাটা হয় তবে এটি একটি পাকা কিউই ফলের সম্পূর্ণ স্বাদ এবং দৃঢ়তা বিকশিত করবে না। যদি ফলটি খুব দেরিতে বাছাই করা হয়, তবে এটি অতিরিক্ত পেকে যেতে পারে এবং একটি মসলাযুক্ত গঠন থাকতে পারে। কিউই ফল কাটার আদর্শ সময় হল যখন ফলটি সম্পূর্ণ পরিপক্ক, দৃঢ় এবং প্রায় 6-7 শতাংশ চিনির পরিমাণ থাকে।

বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে কিউই ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের নিশ্চয়ই বোঝাতে পেরেছি। কিউই ফলে ভালো-খারাপ দুটি উপাদান আছে। কিউই ফল খাওয়ার পূর্বে  আমাদের কিউই ফল সম্পর্কে জানতে হবে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url