শবে মেরাজ কি - শবে মেরাজ পালন করা কি জায়েজ - শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম
পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই গুগলে এ সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন এবং শবে মেরাজ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের পোস্টে আমরা শবে মেরাজ সম্পর্কে আলোচনা করব। আর খুব বেশি দিন দেরি নেই আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে শবে মেরাজ। আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা শবে মেরাজের নামাজ রোজা ও ফজিলত সম্পর্কে জানেনা আজকের পোস্ট তাদের জানাতে চাই শবে মেরাজের নামাজ রোজা ও ফজিলত সম্পর্কে।
তাহলে দেরি না করে ঝটপট জেনে নেয়া যাক, শবে মেরাজের নামাজ রোজা ও ফজিলত
সম্পর্কে। এছাড়াও শবে মেরাজ সম্পর্কে আরো তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পেজের সূচিপত্র
শবে মেরাজ কি
শবে মেরাজ হল লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজ রাত যা সচরাচর সবে মেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় নেয়ামত বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ শবে মেরাজে দিবাগত রাত্রিতে ঐশ্বরিক উপায়ে উর্ধ্বা-কাশে গমন করেছিলেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সারা বিশ্বে এই রাত্রিতে অনেক মুসলমান ইবাদত বন্দগির মধ্যে দিয়ে উদযাপন বা পালন করে থাকেন।
শবে মেরাজের নামাজ কত রাকাত
শবে মেরাজের নামাজ কত রাকাত বলতে, শবে মেরাজ উপলক্ষে যেহেতু কোন নামাজ নেই। সেহেতু শবে মেরাজের নামাজ কত রাকাত প্রশ্নই আসে না। অতএব আমাদের সঠিক বিষয়ে জেনে আমল করতে হবে।
শবে মেরাজ কত তারিখে
পবিত্র শবে মেরাজ ঃ আপনারা জানতে চেয়েছেন শবে মেরাজ ২০২৩ কত তারিখে।
আপনারা আজকে জানতে পারবেন শবে মেরাজ ২০২৩ কত তারিখে। শবে মেরাজ আগামী ১৮ই
ফেব্রুয়ারি রোজ শনিবার, ২৬ই রজগ ১৪৪৩, ৫ ফাল্গুন ১৪২৯, দিবাগত রাত্রি
পবিত্র সবে মেরাজ উদযাপিত হবে।
শবে মেরাজ পালন করা কি জায়েজ
শবে মেরাজ পালন করা জায়েজ নয়। কারণ শবে মেরাজের রাতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ
সাঃ ঐশ্বরিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে যাত্রা বা আরোহণ করেছিলেন এবং মহান রাব্বুল
আলামিন স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সারা বিশ্বে অনেক মুসলমান শবে মেরাজের
রাত্রি ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাত্রি উদযাপন করে থাকেন। আবার অনেক মুসলমান এই
রাত্রি উদযাপন করেন না। বরং এ রাত্রি উদযাপন করাকে বিদআত বলেন।
শবে মেরাজ হাদিসে কি বলা হয়েছে
শবে মেরাজ সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, মহান রাব্বুল আলামিন আল কুরআনে
বলেনঃ তিনি পবিত্র আল্লাহ যিনি তার বান্দাকে রাত্রি ভমন করিয়েছিলেন।
মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত।যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি যাতে আমি
তাকে আমার নিদর্শন সমূহ দেখাতে পারি। নিশ্চয়ই তিনি সর্বোশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
শবে মেরাজ কখন সংগঠিত হয়েছিল
শবে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল নবুওয়াতের ১১ তম বছরের ২৭ রজবে। তখন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বয়স ছিলেন ৫১ বছর।
শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম
শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম হল দুই রাকাত এর নিয়তে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল
নামাজ আদায় করতে হয়। তবে মনে রাখবেন এশার নামাজ পড়ার সময় বেতর তিন রাকাত
নামাজ হাতে রেখে দিতে হবে। কারণ শবে মেরাজে নফল নামাজ পড়ার
পরে বেতর নামাজ আদায় করতে হবে।
শবে মেরাজের প্রত্যেক নামাজের রাকাতে আপনাকে অবশ্যই সূরা ফাতেহা তার সাথে একটি সূরা পাঠ করতে হবে। এ সূরা পাঠ করার পর প্রতি রাকাতে একটি রুকু ও দুইটি সিজদা করতে হবে। দুই রাকাতে তাশহুদ ও দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। এবং সালাম ফেরাতে হবে। আপনি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পদ্ধতি অনুসরণ করে নফল নামাজ গুলো আদায় করতে পারেন। তবে শবে মেরাজের নামাজের জায়েজ নেই। আপনি চাইলে পড়তে পারেন।
শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ত
শবে মেরাজের নামাজ পড়া নিয়ত হলোঃ শবে মেরাজের নফল নামাজের নিয়ত সম্পর্কে
জানতে হলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদের শবে মেরাজ
নিয়ম ও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানিয়েছি। শবে মেরাজের রাত্রি মুসলমানদের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ রজনী। এই রাত্রিতে হযরত মুহাম্মদ সাঃ মিরাজ গমন করেছিলেন। এবং তিনি
আল্লাহতালার অনেক নিদর্শন দেখেন। আপনারা যারা শবে মেরাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে
চান তারা এই পোস্টটি পড়ুন।
শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত-
نويت أن أصلي يله تعا لى ركعت صلوة اليلة المعراج متوجها إلى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر
উচ্চারণঃ
নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকায়াতাই ছালাতিল লাইলাতিল মিরাজ মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় নিয়তঃ
লাইলাতিল মিরাজের দুই রাকাআত নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।
শবে মেরাজের ফজিলত
উম্মে সালমা রাঃ বলেন, নবী করীম সাঃ রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে অতঃপর রজব মাস আসে। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাঃ বলেন তখন রজব মাস আসতো তা আমরা নবীজি সাঃ এর আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম। কোন কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় নবীজি সাঃ রজব মাসে ১০ টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন, রমজান মাসে ৩০ টি রোজা রাখতেন। ''দারিমি''
রাসূল সাঃ বলেছেন, রজব মাস হলো আল্লাহর মাস, আর শাবান মাস হল নবীজির মাস, রমজান মাস হল আমার উম্মতের মাস। ''তিরমিজি'' যে ব্যক্তি রজত মাসে ইবাদতের দ্বারা খেত চাষ দিল না এবং শাবান মাসে খেত আগাছা মুক্ত করল না, সে রমজান মাসে ভারতের ফসল তুলতে পারবে না ''বায়হাকি''
সর্বশেষ কথা
প্রিয় আর্টিকেল পাঠক, আজকের পোস্টে মেরাজের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত এছাড়া
বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে
থাকেন তাহলে ইতিপূর্বে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি বুঝতে না
পারেন। তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য
ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url