OrdinaryITPostAd

চোখ ফোলা কমানোর উপায় - চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ ফোলা কমানোর উপায় এবং চোখ ফুলে যায় কেন - প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আপনি কি চোখ ফোলা কমানোর উপায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? আপনার জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টে চোখ খোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিভিন্ন সময় আমরা কারণে-অকারণে হঠাৎ বুঝতে পারি আমাদের চোখ ফুলে গেছে অথবা বিভিন্ন রোগের কারণে চোখ ফুলে থাকে। এই চোখ ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি চোখ ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চোখ ফোলা কমানোর উপায় ও চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন।

চোখ ফোলা কমানোর উপায় - চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা

আপনি কি চোখ খোলা নেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তাহলে আপনার জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টে চোখ ফোলা কমানোর উপায় ও চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন চোখ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ, চোখের পাতার সমস্যা, চোখ উঠার কারণ, চোখ উঠার লক্ষণ, চোখ ওঠা কিছু ছোঁয়াচে, চোখ ঊঠার ঔষধ, চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন, চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা, বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয়, শিশুর চোখ উঠলে করণীয় সম্পর্কে। বন্ধুরা, চোখ ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

চোখ ফুলে যায় কেন

চোখ ফুলে যায় কেনঃ কম বেশি সবারই চোখ ফোলা সমস্যা হয়ে থাকে। চোখ ফোলা এক ধরনের একটি সমস্যা। আজকের আমাদের এই পোস্টটিতে আমরা জানবো চোখ ফুলে যায় কেন বা চোখ ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে।

আমাদের চোখ বিভিন্ন চোখের সমস্যা জনিত কারণে ফুলে থাকে। অনেক সময়ই লক্ষ্য করে দেখা যায় কারো কারো অতিরিক্ত ঘুমের কারণে আবার চোখ ফুলে যায়। আমাদের চোখ এবং আমাদের চোখের পাতা ফুলে যাওয়ার কারণ হলো টিস্যুতে অতিরিক্ত পানির পরিমাণ ও ফ্লাইট জমে থাকার কারণে। আমাদের চোখের চারিপাশে যখন প্রদাহ হয় বা ফুলে যায় তখন আমাদের চোখের সাধারণ টিস্যু ও কিছু চোখের পাতাগুলো ছড়িয়ে পড়ে।

এর কারণে আমাদের চোখের পাতাগুলো ফুলে যায়। আমাদের চোখ ফুলে যাওয়ার ফলে যে সকল সমস্যা আমাদের পরতে হয়। কালশিটে পড়া, কনজাংটিসভাইটিস, সেলাইটিস, এলার্জি, কর্নিয়া ও ক্যান্সার ইত্যাদি। চোখ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও আমাদের হাতের আঘাতে জনিত ও সংক্রমণের কারণে চোখ ফুলে থাকে। এসার কন্টাক্টলেন্স ব্যবহার করার ফলে আমাদের চোখ ফুলে যায়।

চোখ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ

চোখ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণঃ আমাদের শরীরের জেনেটিক সমস্যার কারণে আমাদের চোখ মুখ ফুলে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু জটিল কারণে মুখ ফুলে থাকে এবং কিছু কিছু সাধারণ কারণে চোখ মুখ ফুলে থাকে। ইতিমধ্যে আমরা চোখ ফুলে যায় কেন এ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো চোখ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টে আপনাদের জন্য নিচে চোখ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ জানানো হলো।

জটিল ফোলাঃ আমাদের শরীরে কিডনি অকার্যকারিতা কারণে আমাদের শরীরে পানি জমে যায়। এছাড়াও কিডনি অকার্যকারিতার কারণে আমাদের চোখ মুখ ফুলে যায় এর প্রথম লক্ষণ হবে মুখ ফুলে যাওয়া এবং ওজন কমে যাওয়া এবং খাওয়াতে অরুচি। আমরা বিভিন্ন সময়ে জ্বর হওয়া বা ঠান্ডা লাগা বা ব্যথা অনুভব করার কারণে আমরা এন্টিবেটিক খেয়ে থাকি। আর এই ব্যথার ঔষধ সেবনের ফলে আমাদের শরীরে রক্তচাপ কমানোর মাধ্যমে অনেক সময় আমাদের চোখ মুখ ফুলে যায়।

এছাড়া অনেক সময় থাইরয়েডের কারণে শরীরে পানি জমতে পারে এবং শরীর ফুলে যেতে পারে। ক্লান্তিক, কোষ্ঠকাঠিন্য মুখ ফ্যাকাসে হওয়া, মুখ ফ্যাকাসে হওয়া ওজনের বৃদ্ধি মাসিকের সমস্যা হয় এসব থাইরয়েডের লক্ষণ। এছাড়াও যারা হৃদরোগী আছেন তাদের চেহারা অনেক সময় ফুলে যায়। হৃদ রোগের রোগীরা অবশ্যই খাবার লবণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কেননা হৃদরোগের রোগীর লবণ পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে তাদের শরীর ফুলে যেতে পারে। কারণ লবণ  শরীরে পানি টেনে আনতে সক্ষম।

সাধারণ বা নরমাল ফোলাঃ সাধারণ ফোলা বলতে আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকি। চোখ মুখ ফোলার আমাদের চোখের নিচে বা ত্বকের নিচে পানি জমতে শুরু করে। সাধারণতো চোখ মুখ ফোলা হল সর্দির কারণ। আমাদের শিরা-উপসীরা হাওয়া এলার্জি ও অনেক ঘুমের কারণেও আমাদের চোখ মুখ ফোলা ভাব দেখা যায়।

চোখ ফোলা কমানোর উপায়

চোখ ফোলা কমানোর উপায়ঃ আমাদের শরীরে রোগ জীবাণুর ক্ষেত্রে চোখর সমস্যা হল একটা জটিল সমস্যা। চোখ ফোলার এই সমস্যাটি কমবেশি সবারই হয়ে থাকে। তাই আমাদের এই চোখের সমস্যা থেকে সচেতন থাকা জরুরী। তাহলে চলুন চোখের ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

পানিঃ চোখ পরিষ্কার রাখতে ও চোখের ফোলা কমাতে পানি সবচাইতে সহজ উপায় যার মাধ্যমে চোখ পরিষ্কার করা যায়। চোখ ছাড়া যদি আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যদি ফুলে যায়। তাহলে শরীর ও চোখ ফোলা কমাতে আমাদের দৈনিক 8 থেকে 10 গ্লাস পানি পান করা উচিত।

লবণ পানিঃ চোখ ফোলা কমানোর উপায় মধ্যে আরেকটি উপায় হল লবণ পানি। ৪ কাপ পানির সাথে চার আধা কাপ লবণ মিশিয়ে ভালোভাবে হালকা গরম পানিতে বলক বা বুদবুদ তুলে। সেই লবণাক্ত পানি চোখের পাতায় কয়েক মিনিট রাখার পর আপনার চোখ ফোলা কমে যাবে।

টি ব্যাগঃ আপনার চোখের নিচে যদি ফোলা কমানোর জন্য কি টি ব্যাগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপায়। কারণ বিভিন্ন টি ব্যাগ গুলো আপনার চোখের ফোলা কমাতে সাহায্য করে থাকে। আপনি দৈনিক চা পাতা ব্যবহারের টি ব্যাংকগুলো আপনি ফ্রিজে রেখে নিয়মিত চোখের নিচে 10 থেকে 15 মিনিট ব্যবহার করার ফলে আপনার চোখের নিচে লালচে দাগ ও ইনফেকশন দূর হয়ে যাবে।

আলুঃ আলু ত্বকের যত্নে বেশ উপকারী একটি উপাদান। আপনি চাইলে আপনার চোখের ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে একটি কার্যকরী উপাদান হতে পারে আলু। আপনার চোখ ফোলা কমানোর জন্য মাঝারি সাইজের কিছু আলু বল বা গোল করে কেটে চোখের উপরে 10 থেকে 15 মিনিট রাখবেন এর ফলে আপনার চোখের ফোলা দূর হয়ে যাবে।

ডিমঃ চোখের ফোলা কমানোর আরেকটি উপায় হল ডিম। একটি সিদ্ধ করা ডিমের সাদা অংশ নিয়ে সাথে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে নিন এবার ব্রাশের সাহায্যে চোখের পাতায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার চোখের ফোলা ভাব অনেকটা কমে গেছে।

শসাঃ ত্বকের যত্নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো শসা। শসা কেটে বল বা গোল করে নিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। তারপরে চোখের ফোলা স্থানে 10 থেকে 15 মিনিট রাখতে হবে। শসাতে থাকা এনজাইম ও ইনফ্লামেশন কমিয়ে ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতেও ফলা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।

চোখের পাতার সমস্যা

চোখের পাতার সমস্যাঃ চোখের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো চোখ ফোলা। চোখ ফোলার কারনে চোখের পাতা অনেক বড় দেখা যায়। চোখ ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে যেমন আমাদের জানা উচিত তেমনি চোখের পাতা সমস্যা সম্পর্কে আমাদের সবার জানা থাকা উচিত। আর তাই চোখকে সুস্থ সবল রাখতে চোখের পরিচর্যা যত্ন নিতে হবে এবং যত্ন নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে।

চোখের বিভিন্ন সমস্যার ভিতরে লে ব্লেফারাইটিস একটি। এ লক্ষণ দেখা দিলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও চোখ লাল ভাব হয়ে যায়। অনেক সময় অকারনে চোখের পাতা ফুলে গিয়ে চোখে পানি ঝরে ও চোখের পাতায় প্রদাহ হয়। কারণ হলো খুশকি, খুশকির কারণে আপনার চোখের পাতা ও ভুরু প্রদাহ হয়। যার ফলে চোখের পাতা ব্যথা হয় এটি দূর করতে বাজারের এন্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

চোখ উঠার কারণ

চোখ উঠার কারণঃ সাধারণত ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ উঠার মূল কারণ। আবার কখনো কখনো এলার্জির কারণে চোখ ওঠার রোগ হতে পারে। যে সময় বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে সে সময় চোখে ওঠা রোগ বেশি দেখা দেয়। সাধারণত চোখ উঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ। যদি আপনার পরিবারের কারো হয়ে থাকে। তাহলে আপনার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

চোখ উঠার লক্ষণ

চোখ উঠার লক্ষণঃ বর্তমানে অনেক কমন একটি সমস্যা হল চোখ উঠা। চোখ উঠায় সমস্যাটি ছোট বড় সবাই ভুগে থাকে। যে সকল লক্ষণে আমাদের চোখ উঠে থাকে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল। তাহলে চলুন চোখ উঠার লক্ষণ জেনে নিন।

  • চোখ উঠার বিভিন্ন রকম কারণ হতে পারে এটি সাধারণত একটি ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ পরিবারের এক জনের হলে সকলেরই হওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • আপনি যদি কোন সময় আপনার চোখ অতিরিক্ত লাল হওয়া দেখতে পান। তাহলে ভাববেন আপনার চোখ উঠেছে।
  • ঘুম থেকে উঠার পর চোখ খুলতে কষ্ট হয় এবং ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ আঠা আঠা লাগা।
  • চোখে হাত দিলে মনে হয় চোখের ভেতরে খচখচ করছে ।মনে হয় চোখের ভেতরে কিছু একটা পরে আছে।
  • চোখ উঠার ফলে আলোর দিকে তাকালে অনেক ব্যথা অনুভূতি হয় এবং আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট অনুভব হয়।
  • চোখ দিয়ে কোন দিকে তাকালে চোখ দিয়ে অতিরিক্ত পানি পড়া।
  • চোখের কোনায় সব সময় ময়লা জমে থাকা।
  • চোখ অতিরিক্ত ফুলে যাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণ ব্যথা অনুভব করা।

চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে

চোখ উঠা কি ছোঁয়াচেঃ অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে চোখ উঠা কি ছোঁয়াসে রোগ। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে নিচে জানানো হলো।

চোখ ওঠা একটি ভাইরাস জনিত রোগ। ফলে চোখে ভাইরাস চোখের পানিতে ভেসে বেড়াই। চোখের পানি মুছতে গেলে সে ভাইরাস আমাদের হাতে চলে আসে এরপর সে হাত দিয়ে আমরা যেখানে যেখানে স্পর্শ করি সেই খানে ভাইরাস লেগে যায়। এবং যারা যারা কোটা রোগের স্পর্শে করে অথবা তার ব্যবহার করা জিনিস ব্যবহার করে তারা সাধারণত চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, চোখ উঠা একটি সংক্রমণ ব্যাধি ও ভাইরাস জনিত রোগ। যার ফলে চোখ উঠা হলো ছোয়াচে রোগ। পরিবারের একজন চোখ উঠা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হলে সকলেরই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চোখ ওঠার ঔষধ - চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন

চোখের উঠার ঔষধ ও চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেনঃ এখনকার সময়ে চোখ উঠা একটি কমন সমস্যা হয়ে পড়েছে। চোখ উঠার কথা প্রায় শোনা যায় এ সমস্যাটি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা চোখ উঠার ঔষুধ সম্পর্কে জানতে চাই। আবার কেউ কেউ চোখ উঠার কোন ড্রপ ব্যবহার করতে হবে এ সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে চোখ উঠার ওষুধ ও চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন তা নিচে জানানো হলো।

এজন্য দিনে তিন থেকে চার বার চোখের এন্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরোমফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে এন্টিহিস্টামিন সেবন করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসাঃ অনেক সময় চোখ উঠার ফলে বাইরে যাওয়ার মত অবস্থা থাকে না। সে সময় আপনি চাইলে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার চোখ উঠা রোগের সমাধান পেতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

  • চোখ উঠার পর অবশ্যই আমাদের চোখটা ভালো হওয়া পর্যন্ত সবার থেকে আলাদা থাকতে হবে।
  • চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য আলাদা রুমাল অথবা টিস্যু রাখতে হবে। যা ব্যবহার করার পর নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিতে হবে।
  • চোখ উঠার পরে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন চোখে কোন রকম ধুলাবালি, ময়লা, আবর্জনা প্রবেশ করতে না পারে। সেজন্য আপনাকে চশমা ব্যবহার করতে হবে।
  • চোখ উঠার পরে আপনাকে এটা কি লক্ষ্য রাখতে হবে। চোখে যেন পানির ঝাপটা বেশি জোরে না ব্যবহার করা হয়।
  • যদি চোখের পাতা অতিরিক্ত ফুলে যায় সে ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করতে হবে।
  • চোখ ওঠার রোগের জন্য অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ে ঔষুধ সেবন করতে পারবেন।

বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় - শিশুর চোখ উঠলে করণীয়

বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় ও শিশুর চোখ উঠলে করণীয়ঃ চোখ উঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগ বাতাসের মাধ্যমে মানুষদের ভেতরে ছড়ায়। অপরিষ্কার নোংরা হাত বারবার চোখে দেয়ার কারণে বাচ্চাদের চোখ ওঠার সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের বাচ্চাদের চোখ উঠার সমস্যা নিয়ে চিন্তিত। যারা তাদের বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি এ বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। তাদের সুবিধার্থে নিয়েছে বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় শিশুর চোখ উঠলে করণীয় নিচে জানানো হলো।

  • আপনার বাচ্চা যদি কোন স্কুল প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে তাহলে এ অবস্থায় স্কুল না যাওয়া।
  • চোখ ওঠার কারণে চোখে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হতে পারে। যার ফলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
  • বাচ্চাদের চোখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • তোলা ভিজে শিশুর চোখ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
  • বাচ্চা চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।

সর্বশেষ কথাঃ চোখ ফোলা কমানোর উপায় - চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক বন্ধু, যারা আজকের এই পোস্টটি পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই এ সকল চোখ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ, চোখের পাতার সমস্যা, চোখ উঠার কারণ, চোখ উঠার লক্ষণ, চোখ ওঠা কিছু ছোঁয়াচে, চোখ ঊঠার ঔষধ, চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন, চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা, বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয়, শিশুর চোখ উঠলে করণীয় প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর যদি বুঝতে না পারেন তাহলে সম্পন্ন পোস্টটি পুনরায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।

আজকের এই পোস্টটি চোখ ফোলা কমানোর উপায় ও চোখ ফুলে যায় কেন পড়ে চোখ ফোলা ও চোখ উঠার সমাধান করতে পারবেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url