শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় - আসসালামু আলাইকুম। শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা জেনে নিন। শবে কদরের নামাজ একটি নফল ইবাদত। শবে কদরের নামাজ নফল এবাদত হলেও হযরত মোহাম্মদ সাঃ অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তিনি শবে কদরের নামাজের নিয়ম মেনে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে বলেছেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ে শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা জেনে নিন।
বন্ধুরা, আপনারা যারা শবে কদরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে সহকারে পড়লে আপনি শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়। তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজের সূচিপত্র
- শবে কদর কি - লাইলাতুল কদর কি
- শবে কদর ২০২৩ সালের কত তারিখে বাংলাদেশ
- শবে কদরের নামাজ কত রাকাত - শবে কদরের ইবাদতের নিয়ম
- শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি
- শবে কদরের দোয়া - শবে কদরের নামাজের দোয়া
- শবে কদরের নামাজের ফজিলত - শবে কদরের ফজিলত pdf - লাইলাতুল কদরের এর ফজিলত
- সর্বশেষ কথাঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে
শবে কদর কি - লাইলাতুল কদর কি
শবে কদর ও লাইলাতুল কদর মহান আল্লাহ কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত। শবে কদর বা লাইলাতুল কদর পবিত্র রমজান মাসের ২৭ রোজার রাত্রিতে শবে কদর ধরে থাকি। সেহেতু রমজান মাসে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৩ ইংরেজি মাসের ১৮ই এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা, ১৪৩০ বছরের বাংলা মাসের ৫ চৈত্র ও ১৪৪৪ হিজরি শাওয়াল মাসের ২৬ তারিখ মুসলিমদের শবে কদর পালন হবে।
ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, মহান আল্লাহ তাআলা শবে কদরের রাতে তার বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। সকল মুসলিম বান্দা শবে কদরের নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালার নিকট লাভের চেষ্টা করেন। তাই আমাদের শবে কদরের নামাজের নিয়ম মেনে নামাজ আদায় করা উচিত। শবে কদর সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল হযরত মোহাম্মদ সাঃ বলেন, আমার কাছে শাওয়াল মাসের এবাদত বন্দেগী অধিক প্রিয়। যখন তোমাদের কাছে শবে কদর রাত হাজির হবে তখন তোমরা সেই রাতে জাগ্রত থাকবে।
কোরআন তেলাওয়াত করবে, নামাজ পড়বে, জিকির করবে ও তসবি পড়বে এবং দিনের বেলা
রোজা রাখবে। কারণ মহান আল্লাহতালা এই দিনে গুনাহ মাফের জন্য তার বান্দার দিকে
তাকিয়ে থাকে সেই বান্দা মন থেকে দোয়া করে আল্লাহতালা তার সকল মনের আশা পূরণ
করে। তাই আমাদের এই শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে
হয় তা সম্পর্কে জানতে হবে।
শবে কদর ২০২৩ সালের কত তারিখে বাংলাদেশ
মুসলিমদের সকল মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা
শবে কদর ২০২৩ সালের কত তারিখে বাংলাদেশ এ প্রশ্ন লিখে গুগলে সার্চ করে আমাদের
ওয়েবসাইটে এসেছেন। আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনার জন্য আমাদের এই পর্বে
থাকছে শবে কদর ২০২৩ সালের কত তারিখে বাংলাদেশ। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে
শবে কদর ২০২৩ সালের কত তারিখে বাংলাদেশ এক নজরে দেখে নেই।
পবিত্র রমজান মাসের ২৭ রোজার রাত্রিতে শবে কদর ধরে থাকি। সেহেতু রমজান মাসে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৩ ইংরেজি মাসের ১৮ই এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা, ১৪৩০ বছরের বাংলা মাসের ৫ চৈত্র ও ১৪৪৪ হিজরি শাওয়াল মাসের ২৬ তারিখ মুসলিমদের শবে কদর পালন হবে।
আশা করি, যারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ছেন। তারা ইতিমধ্যেই শবে কদর ২০২৩ সালের কত তারিখে বাংলাদেশ তা জানতে পেরেছেন।
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত - শবে কদরের ইবাদতের নিয়ম
পাঠক বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেল শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই পর্বে এখন আপনাদের জন্য থাকছে শবে কদরের নামাজ কত রাকাত। শবে কদরের নামাজের কোন নির্দিষ্ট নামাজের রাকাত নেই। শবে কদরের নামাজ ২ রাকাত নফল নামাজের নিয়মে পড়তে হয়। শবে কদরের রাতে অর্থাৎ মাগরিবের নামাজের সাথে সাথে শবে কদর শুরু হয়ে যায়। তাই মাগরিবের নামাজ আমরা ধীরেসুস্থে দীর্ঘ সময় যাবত আদায় করব। এবং তারপর এশার নামাজে একিভাবে ধীরেসুস্থে দীর্ঘ সময় ধরে আদায় করার পর, চেষ্টা করব ফজর পর্যন্ত আল্লাহর এবাদতে মগ্ন থাকার।
কারণ মাগরিব থেকে ফজরের আযানের আগে পর্যন্ত শবে কদরের বরকতময় রাত থাকে। দুই রাকাত অথবা চার রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করে ধীরেসুস্থে দীর্ঘ সময় ধরে সারারাত পড়তে হয় অন্তত চেষ্টা করতে হয়। শবে কদরের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই এবং তাই নফল নামাযের মত করেই দুই রাকাত অথবা চার রাকাত করে আমরা নামাজ আদায়ের চেষ্টা করব খুবই দীর্ঘ সময় যাবত সেজদায় যাব রুকুতে যাব এবং সূরা গুলো তেলোয়াত করব ফজর হওয়ার আগে পর্যন্ত। শবে কদরের নামাজ এই ভাবেই সারা রাত জুড়ে পড়তে হয়।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলে এই পর্বে শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় তা জানবো। শবে কদরের নামাজ একটি নফল ইবাদত, তাই দুই রাকাত করে বা চার রাকাত করে করে সম্ভব হলে ফজরের আগে পর্যন্ত শবে কদরের নামাজ পড়ে যাওয়া। একদম ধীরে-সুস্থে দীর্ঘ সময় ধরে। শবে কদরের নামাজের রুকু সেজদা এগুলো যেন একদম ধীরে ধীরে করতে হবে। যতটা পারা যায় সুন্দর্য বজায় রেখে ধীরে সুস্থে শবে কদরের নামাজ আদায় করা।
শবে কদরের নামাজ দুই রাকাত করে চার রাকাত পড়তে হয়। এরপর যত ইচ্ছা নফল নামাজ
পড়া যায় এই নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার সূরা কদর ও তিনবার
সূরা ইখলাস পড়তে হয়।
শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি
যারা অধীর আগ্রহে শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি জানার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আমাদের আজকের আর্টিকেল শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজে কিভাবে পড়তে
হয় এই পর্বে আপনাদের জন্য থাকছে। শবে কদরের নামাজে নিয়ত আরবি। নিচে শবে কদরের
নামাজের নিয়ত আরবি নিচে দেওয়া হল।
আরবিঃ নাওয়াইতুয়ান ওছালিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই সালাতিল
লাইলাতুল কাদরি নকলের মুতাজ জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতে শরিকাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবার।
শবে কদরের দোয়া - শবে কদরের নামাজের দোয়া
ইতিমধ্যে আমরা শবে কদর কি ও লাইলাতুল কদর কি, শবে কদর ২০২৩ সালে কত তারিখে বাংলাদেশ, শবে কদরের নামাজ কত রাকাত, শবে কদরের ইবাদতের নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো শবে কদরের নামাজের দোয়া সম্পর্কে। মুসলিমদের শবে কদরের নামাজ পড়তে হয় এবং আমাদের উচিত এই পবিত্র শবে কদরের নামাজের দোয়ার মাধ্যমে আমাদের গুনাহ মাফ চাওয়া। এই সম্পর্কিত একটি হাদিস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদিন আমি হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি বলে দিন যদি আমি লাইলাতুল কদর কবে জানতে পারি তবে আমি কি দোয়া করবো? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন এই দোয়াটি পড়বে।
আরবিঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ'ফুওয়ুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি।
অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে আপনি ভালোবাসেন অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।
শবে কদরের নামাজের ফজিলত - শবে কদরের ফজিলত pdf - লাইলাতুল কদরের এর ফজিলত - লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, শবে কদর নামাজের নিয়ম ও শবে কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয় আজকের আর্টিকেলে এবারে পর্বে থাকছে শবে কদরের নামাজের ফজিলত ও লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস। এছাড়াও নিচে শবে কদরের ফজিলত pdf দেওয়া হলো।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজর রাত্রি গুলোর মধ্যে শবে কদরের রাত তালাশ কর। শবে কদরের রাত্রি নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি। রমজানের শেষ ১০ দিনের মধ্যে যেকোনো একটি বিজোড় রাত্রি হল সবে কদরের রাত। যেহেতু এই রাত্রি নির্দিষ্ট করে বলা নেই। সেহেতু তাই রমজানের শেষ ১০ দিনের প্রতিটি বিজোড় রাত্রিতে ইবাদত করতে হবে। তবে রমজানের ২৭ তারিখ হওয়া সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর জন্য রমজান মাসের ২১-২৩-২৫-২৭-২৯ প্রতিটি বিজোড় রাত্রিতে ইবাদত বন্দেগী করতে হবে।
সর্বশেষ কথাঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, যারা আমাদের আজকের আর্টিকেল শবে কদর নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই শবে কদর নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এছাড়া আরও শবে কদর কি, লাইলাতুল কদর কি, শবে কদর ২০২৩ সালের কত তারিখে বাংলাদেশ, শবে কদরের নামাজ কত রাকাত - শবে কদরের ইবাদতের নিয়ম, শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়, শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি, শবে কদরের দোয়া, শবে কদরের নামাজের দোয়া, শবে কদরের নামাজের ফজিলত, শবে কদরের ফজিলত pdf, লাইলাতুল কদরের এর ফজিলত, লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস জানিয়েছি।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার অনেক উপকৃত হয়েছেন। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ
আমাদের সঙ্গে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য
ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url