OrdinaryITPostAd

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম - আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি গুগলে সার্চ করে ওপেন করেছেন। তারা নিশ্চয়ই নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন। কেননা আজকের আটিকেলে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা -  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম

তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে পড়ে ঝটপট সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। এছাড়াও নিম পাতার ক্ষতিকর দিক, নিম পাতার উপকারিতা ভিডিও, নিম পাতার ছবি সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

নিম পাতার উপকারিতা

নিম হলো একটি ওষুধ সম্পন্ন গাছ। নিম গাছের ডাল, পাতা, ছাল সব কিছুই ঔষধি গুন সম্পন্ন হওয়ায় বিভিন্ন রকমের কাজে লাগে। নিম গাছ ঔষুধিগুন সম্পন্ন সাথে সাথে এটি আমাদের আসবাবপত্র তৈরির কাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নিমগাছ  সাধারণত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় বেশি পাওয়া যায়। 

নিম কাঠে সহজে উইপোকা বা ঘুন ধরে না। নিম গাছের কাঠ অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয় বলে এটি ব্যবহার অনেকটা বেশি। এছাড়া নিম পাতার রয়েছে অনেক ওষুধি গুনাগুন যা আমাদের আজকের আর্টিকেল নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম এই পর্বে থাকছে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।

ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার

আপনার ত্বকের শুষ্কতা ও আদ্রতা দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাহলে আপনার জন্য এই উপায় যা ম্যাজিক এর মত কাজ করবে। প্রথমে শুকনো নিম পাতা গুড়া করে নিয়ে সাথে গোলাপজল ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বকের শুষ্কতা ও আদ্রতা ভাব দূর করে ত্বক সুন্দর ও লাবণ্যময় করে তুলবে।

তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার - নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় - কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুণ

আপনি কি তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে চিন্তিত। তাহলে আপনার জন্য আমাদের এই টিপস। ২ থেকে ৩ চামচ শুকনা নিমের পাতা গুড়ো, সাথে ২ থেকে ৩ চেনটি হলুদের গুঁড়া ও এক চামচ হুইপ ক্রিম মিশিয়ে নিন। প্যাক তৈরি করতে প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েক ফোঁটা পানি ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক তৈরি হয়ে গেলে হাত দিয়ে মুখে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে দিন। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করবেন তাহলে নিশ্চয়ই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার - নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি

যারা এলার্জি নিয়ে ভুগছেন। তাহলে তাদের জন্য এই যাদুকরী ফর্মুলা। আপনার অনেকেই জেনে থাকবেন হয়তো নিমপাতা মহাঔষধ গুন সম্পন্ন। সকল রোগের নিরাময়ে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়। এলার্জি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কারণে হয়ে থাকে। নিম পাতা পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরদিন সকালে সেগুলি ব্লেন্ডারে পেস্ট করে আপনার এলার্জি বা চুলকানি যুক্ত স্থানে মেসেজ করে লাগিয়ে দিন। আপনার এলার্জি দূর করতে এটা অনেকটাই ম্যাজিকের মত কাজ করবে।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার 

ব্রণ হল আমাদের একটি জটিল সমস্যা। আমাদের মধ্যে অনেকে আসে যাদের মুখে ব্রণ অনেকটা বেশি দেখায় আবার কারো ক্ষেত্রে ব্রণ অনেকটা কম দেখা যায়। কিন্তু যাদের মুখে ব্রণ বেশি হয় তারা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন তাদের মুখের ত্বক নিয়ে। তাদের জন্য আমাদের এই আজকের টিপস। প্রথমে নিমপাতা একটি নির্দিষ্ট পাত্রে রেখে সিদ্ধ করে নেবেন। এরপর সিদ্ধ করা নিম পাতার পানি ছেঁকে নেবেন। ছেঁকে নেওয়া হয়ে গেলে নিমপাতার সিদ্ধ করা পানি ঠান্ডা করে নিন। এরপর এটি একটি বোতলে বোতলজাত করুন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে ত্বকে ব্রণের ভালোভাবে লাগাবেন। এভাবে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করার পর আপনি ব্রন থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতা চুলকানির মহাঔষধ। কারণ নিম পাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা চুলকানি নিরাময় করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের যে কোন ধরনের ক্ষতস্থানে সিদ্ধ করা নিম পাতা রস ভেজোস ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। চুলকানি এক ধরনের বিরক্তকর ও অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করে। অতিরিক্ত চুলকানি যুক্ত স্থানে নিম পাতা বেটে লাগাতে পারেন। এছাড়াও নিম পাতা পেস্ট করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন মাথার চুলকানি নিরাময় করতে। মনে রাখবেন নিম পাতা চুলকানির অনেক কার্যকরী ঔষুধ।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

প্রাচীনকাল থেকে চর্মরোগের জন্য নিমপাতা ভেষজ ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। নিমপাতা বেটে বা পেস্ট করে চর্মযুক্ত স্থানে লাগালে আলসার, চিকেন পক্স জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও প্রতিদিন গোসলের পানিতে নিম পাতা সিদ্ধ করা পানি ব্যবহার করলে চর্মরোগ থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন। নিম পাতা দিয়ে গোসল করার ফলে চর্মরোগ থেকে আরাম মিলবে ও শরীর অনেক ঠান্ডা হবে।

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি যদি নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চান। তাহলে আপনার জন্য রয়েছে এই উপায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও ময়শ্চেরাইজার বানাতে 1 চামচ নিম পাউডার ও এক চামচ তুলসী পাতা সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর পেস্টটি বোতলে বোতলজাত করুন। এরপর প্রতিদিন সকালে ও রাতে পেস্ট লাগানোর পরে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বকের মসৃণ উজ্জ্বল ও কালো দাগ দূর করে আপনাকে ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করবে।

নিম পাতা সিদ্ধ পানি খাওয়ার উপকারিতা 

যারা ডায়াবেটিক সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। তাহলে আপনার জন্য হতে পারেন নিম পাতা সিদ্ধ পানি ডায়াবেটিস নিরাময়ে একটি কার্যকরী উপায়। নিম পাতা আমাদের রক্তের সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩টি গোলমরিচ ও সাথে ২ থেকে ৩টি নিম পাতা বেঁটে খেলে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভালো উপকার পেতে কচি পাতা রস প্রতিদিন সকালে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

চুল পড়া বন্ধ করুন নিম পাতা দিয়ে - চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা

নিম পাতার রস মাথার ত্বকে খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস নিয়মিত মাথায় ত্বকে ব্যবহার করলে চুলকানি কমে যায়, চুল শক্ত হয়, তুলে শুষ্কতা ও আদ্রতা ভাব দূর করে চুল মসৃণ করে, এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আরো ভালো উপকার পেতে নিমপাতা পেস্ট করে ব্যবহার করুন। নিম পাতার পেস্ট করে মাথার চুলে হাত দিয়ে মেসেজ করে লাগিয়ে দিন এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধূয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল এ লাবণ্যতা ফিরে আসবে, চুল কালো করতে সাহায্য করবে দেখতে অনেক মসৃণ ও সুন্দর হবে।

নিম পাতার ছালের উপকারিতা

নিম পাতা ছালে অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম পাতা ছাল ঔষধি গুন্ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সম্পন্ন হওয়ায়। নিমপাতা ছাল সাধারণত ম্যালেরিয়া, পেটের সমস্যা, আলসার চর্মরোগ, ব্যথা ও জ্বর নিরাময় ব্যবহার করা হয়।

দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতে

দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন নিমপাতা ব্যবহার করুন। এটি মুখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। আপনার মুখে দুর্গন্ধ সহ মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস করে থাকে নিমপাতা।

এছাড়াও নিমের তেল বিভিন্ন টুথপেস্ট এবং ফেসওয়াশে ব্যবহার করা হয়। কারণ এতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে Anti-microbial Antibodies উপাদান। তাই আপনার দাঁত ও মাড়িকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত নিম পাতার ব্যবহার করুন।

নিম পাতার পাউডার

বাজারে নানা ধরনের নিম পাতার পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষুধের গুণাবলী ও ভেষজ উপাদান রয়েছে নিম পাতার গুড়াতে। বর্তমানে বিভিন্ন পার্লারে রূপচর্চার ক্ষেত্রে নিম পাতার গুড়ো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মুখের ত্বকে আদ্রতা ও  শুষ্কতাভাব দূর করে ত্বক মসৃণতা ফিরিয়ে আনার জন্য নিম পাতার পাউডার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নিম পাতার জুস

যারা জ্বর ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা নিম পাতার জুস খেতে পারেন। কারণ নিম পাতা জুসে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা ম্যালেরিয়া জ্বর ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিম পাতার জুসে এক চামচ মধুর মিশিয়ে খান তাহলে ভালো উপকার পাবেন।

নিম পাতার উপকারিতা ভিডিও

প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা নিম পাতার উপকারিতা ভিডিও সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য নিম পাতার উপকারিতা ভিডিও দেয়া হলো।

নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আমরা নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাতে এসেছি। নিম পাতা আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি নিয়ম মেনে নিমপাতা না খান। তাহলে আপনি নিম পাতা থেকে ভাল ফলাফল পাবেন না। তাহলে চলুন নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম সে সম্পর্কে জেনে নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত নিম পাতা খান তাহলে আপনার দেহের ক্ষতিকর টক্সিক গুলো বের করতে সাহায্য করবে। এবং রক্তের ক্ষতিকর পদার্থ হল ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। আমাদের শরীরকে সব সময় সুস্থ এবং সতেজ রাখবে।

প্রাচীনকাল থেকে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে এটি বহু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হিসেবেও একটি ঔষধি উপাদান। নিম এর ফুল, পাতা, শিকড় , ডাল, মূলেও রয়েছে বিশেষ গুনাগুন। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়মঃ যদি শরীরের উপকার অরূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান তাহলে নিয়ম মেনে এক মাস নিম পাতা রস খাবেন। কারন আপনি যদি নিয়ম না মেনে এক মাসের বেশি নিম পাতা রস খান। তাহলে শরীরের উপকার হওয়ার থেকে অপকার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।

এক মাস, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর খালি পেটে ২ থেকে ৩ টি নিম পাতার রস খাওয়া যায় তাহলে আপনার শরীরলে কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারবে না।

নিম পাতা বড়ি খাওয়ার নিয়মঃ নিম পাতা বেটে রোদে শুকিয়ে বড়ি বানাতে পারেন। এই বড়ি প্রতিদিন খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যে, চুলকানি ও লিভার যন্ত্র সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নিম পাতা গুড়া খাওয়ার নিয়মঃ যাদের তেতো নিমপাতা খেতে সমস্যা হয়। তারা চাইলে নিমপাতা শুকিয়ে গুড়া করে খেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে শরীরে পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক - নিম পাতার অপকারিতা

নিম পাতা যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার রয়েছে তেমনি এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে। একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে কোন কিছু পরিমাণ এর থেকে অধিক খাওয়া ঠিক না। যারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম পড়ছেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পর্বে থাকছে নিম পাতার ক্ষতিকর দিক ও নিম পাতার অপকারিতা।

  • নিম পাতাখালি পেটে এক মাসের বেশি খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিমপাতা সেবন করা ঠিক নয়। এটি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।
  • যারা নিম্ন রক্তচাপে সমস্যায় ভুগছেন তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • নিম পাতা সেবানে মেয়েদের বন্ধত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই যারা সন্তান নিতে চান তারা নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • নিম পাতা ২ থেকে তিনটির বেশি খাওয়া উচিত না এতে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • নিম পাতার কিছু পদার্থ শিশুদের জন্য রে সিনড্রোম এর উপসর্গের কারণ হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে। তাই শিশুদের নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

নিম পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ইতিমধ্যে আমরা নিমপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো নিম পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।

  • নিমের তেলে ফাঙ্গাস বিরোধী উপাদান থাকে। তাই নিমের তেলের ব্যবহারে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে নিমের পাতার বিষক্রিয়া দেখা যায় না। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিমের পাতার বিষক্রিয়া দেখা দেয়।
  • গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত নিমের নির্যাস নেয়ার ফলে কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়।

নিম পাতার বৈশিষ্ট্য - নিম পাতার বৈজ্ঞানিক সম্মত নাম 

নিম পাতা দেখতে সবুজ রঙের হয়। এর পাতাগুলো অনেক ছোট ছোট হয়। নিম গাছ পরিমাণে অনেক বড় হয়। নিম গাছের ডাল, পাতা, ছাল, ফুল, ফল বিভিন্ন ঔষুধে কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই গাছের কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা হয়।

নিম পাতার বৈজ্ঞানিক নাম হলঃ Azadirachta indica। এটি ঔষধি সম্পন্ন একটি কাজ। নিম একটি বহুবর্ষজীবী একটি বৃক্ষ। নিম গাছ সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ২০ থেকে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।

নিম পাতার ছবি

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা যারা নিম পাতা ছবি দেখতে চেয়েছেন তাদের জন্য নিচে নিম পাতার কিছু  ছবি দেওয়া হলঃ

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা -  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিম পাতা ছবি - ১
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা -  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিম পাতা ছবি - ২
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা -  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিম পাতা ছবি - ৩
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা -  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিম পাতা ছবি - ৪
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা -  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিম পাতা ছবি - ৫

সর্বশেষ কথাঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা -  নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম 

প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে আপনাদের জন্য নিম পাতার উপকারিতা, নিম পাতার অপকারিতা, নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম, নিমপাতার ক্ষতিকর দিক, নিম পাতার উপকারিতা ভিডিও, নিম পাতার ছবি উপরে বিস্তারিত আপনাদের জানানো হয়েছে।

আমাদের আজকের এই পোস্টটি যদি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url