শবে কদর কবে ২০২৩ - শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ
শবে কদর কবে ২০২৩ ও শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ - আসসালামু আলাইকুম। ভোরের আলো আইটিতে আসার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম জানাই স্বাগত। শবে কদর কবে ২০২৩ ও শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে চাইলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আমি আজকে আপনাদের সামনে শবে কদর কবে ২০২৩ ও শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ বিশেষ তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক, শবে কদর কবে ২০২৩ ও শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর কবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। শবে কদর কবে ২০২৩ ও শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন। এছাড়াও শবে কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পেজের সূচিপত্র
শবে কদর কি
মুসলিম বিশ্বের সকল মুমিন বান্দাদের জন্য শবে কদর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের রাত।
শবে কদরকে আরবি ভাষায় লাইলাতুল কদর বলা হয়ে থাকে। শবে কদর শব্দটির অর্থ হল
সৌভাগ্য রাত, মর্যাদা রাত, সম্মানের রাত। শবে অর্থ হলো রাত এবং কদর অর্থ হল
সম্মান, মর্যাদা, গুণ ও সৌভাগ্য ইত্যাদি।
সারা বিশ্বের মুসলিম বান্দারা পবিত্র মাহে রমজান মাসের ২৭ রোজায় শবে কদর পালন
করে। রমজান মাসের শেষের ১০ রহমতের বিজোড় একটি রাত হল শবে কদর। সারা বছরের মধ্যে
পবিত্র একটি ইবাদতের রাত হলো শবে কদর। শবে কদরের রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর
কাছে কোন কিছু চাইলে আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। এ রাতে আপনি আপনার জীবনের
সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারবেন। এই রাত অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন একটি রাত। এ রাতে মহান আল্লাহ সাত আসমান থেকে নিচে
আসে বান্দার কাছে ইবাদতের মাধ্যমে তার জীবনের সকল গুনাহুর খাতা মুছে দিতে।
আশা করি, শবে কদর কি তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। শবে কদর কবে ২০২৩, শবে কদর ২০২৩
কত তারিখে ও শবে কদরের গুরুত্ব এছাড়া লাইলাতুল কদর কবে জানতে শেষ পর্যন্ত
পোস্টটি পড়তে থাকুন।
শবে কদর কবে ২০২৩ বা লাইলাতুল কদর ২০২৩ কবে
মুসলিমদের সকল মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে থাকে। শবে কদরের রাতকে হাজারো রাতের
চেয়ে উত্তম রাত বলা হয়ে থাকে। শবে কদরের রাতে ইবাদতের মাধ্যমে ৮৩ বছরের ইবাদতের
যে সওয়াব পাওয়া যায়। তার থেকে বেশি এই শবে কদরের রাতে সেই সওয়াব পাওয়া
যায়।
হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, শবে কদরের রাতে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই রাতে নিজে জাগ্রত
থাকতেন এবং তার পরিবারকে জাগ্রত রাখতেন। তারা নামাজ আদায় করতেন।
শবে কদর কবে ২০২৩ বা লাইলাতুল কদর ২০২৩ কবে প্রশ্নটির উত্তর হল ১৮ই এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শবে কদর শুরু হবে এবং ১৯ ই এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় শবে কদর শেষ হবে বলে আশা রাখা যায়। পরবর্তী বা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ শবে কদর নিয়ে বলেছেন
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০
দিনের বিজর রাত্রি গুলোর মধ্যে শবে কদরের রাত তালাশ কর।
শবে কদরের রাত্রি নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি। রমজানের শেষ ১০ দিনের মধ্যে যেকোনো
একটি বিজোড় রাত্রি হল সবে কদরের রাত। যেহেতু এই রাত্রি নির্দিষ্ট করে বলা নেই।
সেহেতু তাই রমজানের শেষ ১০ দিনের প্রতিটি বিজোড় রাত্রিতে ইবাদত করতে হবে। তবে
রমজানের ২৭ তারিখ হওয়া সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর জন্য রমজান মাসের
২১-২৩-২৫-২৭-২৯ প্রতিটি বিজোড় রাত্রিতে ইবাদত বন্দেগী করতে হবে।
আশা করি, আজকের পোস্টটি যারা করেছেন তারা এতক্ষণে শবে কদর কবে ২০২৩ বা লাইলাতুল কদর ২০২৩ কবে তা জানতে পেরেছেন। এখন আমরা জানবো শবে কদর ২০২৩ কত তারিখে।
শবে কদর ২০২৩ কত তারিখে
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা শবে কদর ২০২৩ কত তারিখে গুগলে লিখে সার্চ করে
আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসেছেন। তারা সঠিক জায়গায় এসেছে। কেননা আজকের পোস্টে আমরা
শবে কদর ২০২৩ কত তারিখে সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। তাহলে চলার কথা না বাড়িয়ে শবে
কদর ২০২৩ কত তারিখ এক নজরে দেখে নেই।
পবিত্র রমজান মাসের ২৭ রোজার রাত্রিতে শবে কদর ধরে থাকি। সেহেতু রমজান মাসে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৩ ইংরেজি মাসের ১৮ই এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা, ১৪৩০ বছরের বাংলা মাসের ৫ চৈত্র ও ১৪৪৪ হিজরি শাওয়াল মাসের ২৬ তারিখ মুসলিমদের শবে কদর পালন হবে।
আশা করি, আজকের আর্টিকেলে এই পর্বে শবে কদর ২০২৩ কত তারিখে তা জানতে পেরেছেন। এখন
আমরা জানবো শবে কদরের গুরুত্ব।
শবে কদরের গুরুত্ব
শবে কদরের রাতের গুরুত্ব, ফজিলত, তাৎপর্য বলে শেষ করা যাবে না। সারা বছরের
ইবাদতের চেয়ে এই রাত্রি ক্ষমা লাভের জন্য উত্তম। মহান আল্লাহতালা এই রাতে সূরা
নাজিল করেছেন। সূরাটির নাম হল শবে কদর।
পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেন।
"নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি শবে কদরের রাতে" (সূরাঃ আল কদর)
"নিশ্চয়ই কোরআন বরকতময়ী রাতে নাযিল করেছি" (সূরাঃ দুখান)
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ থেকে বর্ণিত। হযরত মোহাম্মদ সাঃ বলেছেন, যে
ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সোয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখল তার পূর্ববর্তী সমস্ত
গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় কদরের
রাতে এবাদতে দাঁড়ালো তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
শবে কদর রমজানের শেষ সাত দিনে
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর
কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্ন যোগে রমজানের শেষ রাতে শবে কদর দেখানো হয়েছিল। তখন হযরত
মোহাম্মদ সাঃ বললেন, আমি দেখতে পাচ্ছি তোমাদের স্বপ্ন শেষ সাত রাতে সামঞ্জসশিল
হয়ে গেছে। তাই যে ব্যক্তি তা খোঁজ করতে চায় তা যেন শেষ সাত রাতে তা তলাশ
করে।
হযরত আবু সালামাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু সাঈদ রাঃ কে যিনি আমার বন্ধু ছিলেন। একটি প্রশ্ন করলাম। তিনি জবাব দিলেন, হযরত মোহাম্মদ সাঃ রমজানের মধ্যে ১০ দিনে ইত্তেফাক বসলাম। অতঃপর ২০ তারিখের সকালে হযরত মুহাম্মদ সাঃ বের হয়ে আসলেন। আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন এবং বললেন আমাকে শবে কদর দেখানো হয়েছে। অতএব তোমরা রমজানের শেষ 10 দিনের বেজোর তারিখে অর্থাৎ 21, 23, 25, 27 ও 29 শবে কদর তলাশ কর। কেননা আমি দেখতে পাচ্ছি যে আমি স্বয়ং পানিও কাদায় সিজদা করেছি।
তাই যে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লামের সাথে বসেছে সে যেন ফিরে আসে
সুতরাং আমরা ফিরে আসি। আমরা আকাশে এক টুকরা মেঘ দেখলাম না হঠাৎ একখণ্ড মেঘ দেখা
গেল এবং বৃষ্টি শুরু হল এমনকি মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। এ ছাদ খেজুর পাতায় নির্মিত
ছিল অতঃপর নামাজ পড়া হলো আমি কে পানি ও কাদায় সিজদা করতে দেখলাম এমন কি আমি তার
লাল্টে কাঁদার চিহ্ন দেখতে পেলাম।
আশা করি, আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন। তারা এই পর্বে শবে কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন।
সর্বশেষ কথাঃ শবে কদর কবে ২০২৩ - শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ
শবে কদর মুসলিমদের জন্য অনেক বড় একটি গুনাহ মাফের জন্য ইবাদতের রাত্রি। শবে
কদরের রাত্রিতে দোয়া করলে সারা বছরের মতো সওয়াব পাওয়া যায়। শবে কদর আমাদের
জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহতালা আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। এই রাত্রিতে
এবাদত করে আমরা আমাদের প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, ভাই বোন, বাবা-মা সকলের জন্য
দোয়া করব। ইনশাআল্লাহ।
শবে কদরের রাত্রিতে অনেকেই আছেন যারা পটকা ফুটান। অথবা মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকেন।
তারা এ সকল কাজ থেকে বিরত থাকবেন। কারণ শবে কদরের রাত অনেক ইবাদত সন্তান একটি
রাত। এ সকল কাজের মাধ্যমে যেন অন্য কারো এবাদতের সমস্যা না হয় এদিকে খেয়াল
রাখতে হবে।
আশা করি, আজকের পোস্টটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। তারা শবে কদর কবে ২০২৩ ও শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ জানতে পেরেছেন। আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের শবে কদর কবে ২০২৩ ও শবে কদর ২০২৩ কত তারিখ আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url