কোরবানি কি - কোরবানি কেন করা হয়
কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় - প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সামনে কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে সাজিয়েছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে অবগত নন। তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোষ্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরব। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয়।
মুসলিম সবচাইতে বড় দুটি উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই দিনে শত শত মানুষ মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু কোরবানি করে থাকে। পশু কোরবানির মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় এ প্রশ্ন গুগলে লিখে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলে কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় সকল তথ্য সম্পর্কে জানাবো।
পেজের সূচিপত্রঃ কোরবানি কি - কোরবানি কেন করা হয়
কোরবানি কি
"قربانى" শব্দটি আরবি "أضحية" বা "আদ্বহা বা আযহা" নামেও পরিচিত। আরবি, উর্দু এবং ফরাসি ভাষায় "কোরবান" শব্দটিকে "কুরবানী" হিসাবে অনুবাদ করা হয়। এটি নৈকট্য এবং নৈকট্য নির্দেশ করে। কোরবানি ঈদে বা ঈদুল আযহায় প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানকে অবশ্যই পশু কোরবানি করতে হবে। একজন ব্যক্তি সর্বশক্তিমান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইসলামী ঐতিহ্যে একটি পশু কোরবানি করে।
হিজরি ক্যালেন্ডারের বারো চান্দ্র মাস জিলহজ্জের দশম দিনে, ভোর ও সন্ধ্যার মধ্যে কুরবানীর সময় নির্ধারণ করা হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনে কোরবানি করে। পবিত্র কোরআনে কুরবানীর তিনটি উল্লেখ রয়েছে।
আল কোরআনে বর্ণিত - অতএব হে মানুষ। আল্লাহু বলেন সচেতন হও। আল্লাহর
ধর্ম বিধান লঙ্ঘন হতে দূরে থাকো আল্লাহতালা মন্দ কাজের শাস্তি দানে কঠোর। (সূরা
বাকারা আয়াতঃ ১৯৬)
হে নবীগন। কিতাব গনকে আদমের দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের ঘটনা গুলো ভালোভাবে বর্ণনা
করো। তারা যখন কোরবানি করেছিল। তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো। কিন্তু অন্যজনের
কোরবানি কবুল হলো না। ক্ষিপ্ত হয়েছে সে বলল আমি তোমাকে ক্ষুন করবো। আর একজন বলল
প্রভু তো শুধু আল্লাহ - সচেতনদের কোরবানি কবুল করেন। (সূরা মায়েদা আয়াতঃ
২৭)
কোরবানি কেন করা হয় - কোরবানি কেন দেওয়া হয়
একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশে কোরবানি করা আমাদের জন্য
ওয়াজিব। তাই আমাদের আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে আমাদের কোরবানি দিতে হবে। মুসলিম
হিসেবে আমাদের কোরবানি আত্মিক পারিবারিক সামাজিক আর্থিক প্রভাব সীমাহীন। পবিত্র
ঈদুল আযহার জিলহজ্জ মাসে মহান আল্লাহতালার কাছে কোরবানির মাধ্যমে আমাদের গুনাহ
মাফের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে পুরস্কার
পাওয়া। অনেকে জানতে চেয়েছিলেন কোরবানি কেন দেওয়া হয় ও কোরবানি কেন করা হয়।
উপরের দিকে কোরবানি কে জানিয়েছে এখন তাদের সুবিধার্থে নিচে কোরবানি কেন করা
হয় তা জানানো হলো।
আল-কোরআন অনুসারে, আল্লাহ ঘোষণা করেন, "বলুন: আমার দোয়া, আমার কুরবানী, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সবই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য।" (সূরা আনতামের 162) প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে আরবের মরুভূমিতে ইব্রাহিম (আ.)-এর কুরবানীর ঘটনা ঘটেছিল। স্বপ্নে আল্লাহ তায়ালা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে তাঁর পছন্দের জিনিসগুলোকে তাঁর নামে কোরবানি করার নির্দেশ দেন। টানা তিন দিন ইব্রাহিম আদম এই স্বপ্ন দেখেছিলেন।
এবং প্রতিদিন ১০০ করে মোট ৩০০ উট কোরবানি করলেন। পুনরায় একই স্বপ্ন দেখলেন, তোমার প্রিয় বস্তু কোরবানি করো। আল্লাহু খলিল বুঝতে পারলেন তাকে কোন বিষয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। কালবিলম্ব না করে তিনি ইসমাইলকে তার স্বপ্নের বিবরণ জানালেন। কুরআনে এসেছে, সে পুত্র যখন তার সাথে কাজকর্ম করার বয়সে পৌঁছল।
তখন
ইব্রাহিম তাকে বললেন, হে পুত্র, আমি স্বপ্নে দেখি তোমাকে আমি জবাই করছি। এখন
তুমি বলো তুমি কি মনে করো। সে বলল হে আব্বাজান! আপনাকে যা হুকুম দেয়া হয়েছে
তা করে ফেলুন। আপনি আমাকে ইনশাল্লাহ সবরকারীই পাবেন। (সূরাঃ সাফফাত আয়াতঃ
১০২)
আশা করি, ইতিমধ্যে আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন কোরবানি কি ও
কোরবানি কেন করা হয়। এখন আমরা জানবো কোরবানির ইতিহাস।
কোরবানির ইতিহাস
আল কোরআনে হাবিল ও কাবিলের উল্লেখ পাওয়া যায়। হাবিল প্রথম মানুষ যে আল্লাহর জন্য একটি পশু কোরবানি করেন। ইবনে কাশির বর্ণনা করেছেন যে হাবিল এবং ভেড়া এবং তার ভাই কাবিল তার ফসল কিছু অংশ স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদন করে। আল্লাহর নির্ধারিত পদ্ধতি ছিল যে আগুন আকাশ থেকে নেমে আসবে এবং গ্রহণযোগ্য কোরবানি গহন করবে।
কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত
প্রথম মানব আদম থেকে শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত কোরবানির বিধান উল্লেখ রয়েছে। এবং কেয়ামত পর্যন্ত কোরবানি প্রচলিত থাকবে। ইতিহাসের প্রথম কোরবানি ছিল আদম-আঃ এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের মাঝে। তারা দুজন প্রথম আল্লাহর নির্দেশে কোরবানিতে অংশগ্রহণ করেন। একজনের কোরবানি আল্লাহতালা কবুল করেন এবং অন্য জনের কোরবানি কবুল করেন না।
নামাজের আগে কোরবানি করলে কোরবানি হয় না কেবল গ্রস্ত খাওয়া হয়
হযরত বারা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আজকের এই দিন আমরা সমগ্র যে কাজ করি তা হল আমরা নামাজ পড়ি। তারপর ফিরে এসে কোরবানি করে। যে লোক এভাবে কোরবানি করল সে আমাদের সুন্নত পেয়ে গেল। আর যে ব্যক্তি নামাজে পূর্বে জবাই করল সে শুধু নিজ পরিবার পরিজনের জন্য গোশত খাওয়ারই অগ্রিম ব্যবস্থা করল। কোরবানি কিছুই হলো না।
আবু বুরদাহ ইদনে নিয়ার নামাজের
আগে যবেহ করে ফেলেছিলেন। তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন আমার নিকট একটি ছয়
মাসের বকরি আছে। সেটে জবেহ করে দাও। তবে তোমার পরে আর কারো জন্য ছয় মাসের
গতিতে যথেষ্ট হবে না। মুতাররিফ আমেরের সূত্রে বারা হতে বর্ণনা করেছেন। হযরত
মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, নামাজের পর যে যবেহ করল তার কোরবানি পূর্ণ হলো এবং সে
মুসলমানদের নিয়মে কাজ করলো।
মানুষের মধ্যে ইমামের কোরবানির গোস্ত বন্টন
হযরত ওবাহা ইবনে আমের জুহানি রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সাহাবীদের মধ্যে কোরবানির জন্তু বন্টন করলেন। ওকবার ভাগের
ছয় মাসের একটি বকরি পড়ল। ওকবা বলেন তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল আমার ভাগে
তো ছয় মাসের বাচ্চা পড়েছে তিনি বললেন এটাই কোরবানি করো।
মুসাফির ও মহিলাদের কোরবানি করা
হযরত আবু বকরাহ রাঃ থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন আল্লাহ তাআলা
সেদিন আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন। সেদিনের গঠন অনুযায়ী বছর ঘুরে আসছে। বছরে ১২
মাস। তার মধ্যে চার মাস সম্মানিত। এর তিন মাস পর পর একসাথে আসে তা হলো জিলকদ
জিলহজ্ব ও মুহরহম। অপরটি হলো মুজার গোত্রের রজব মাস। এটা জুমাদা ছানি
ও শাবানের মাঝখানে অবস্থিত। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এখন কোন মাস? আমরা
বললাম আল্লাহ তার রাসূল ভালো জানেন। তিনি চুপ করে রইলেন। এমনকি আমরা ভাবলাম এ
নাম ছাড়া হয় তো তিনি আর এক নাম রাখবেন।
তিনি বলেন এটা কি জিলহজ মাস নয়? আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন শহর? আমরা বললাম আল্লাহ ও তার রাসূল অধিক জানেন। এবারও তিনি চুপ করে থাকলেন। এমনকি আমরা মনে করলাম। তিনি হয়তো অন্য কোন নতুন নাম বলবে। পরে তিনি বলেন এটা কি মক্কা শহর নয় আমরা বললাম হ্যাঁ। পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন দিন? আমরা বললাম আল্লাহু ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত আছেন। এবারও তিনি চুপ করে থাকলেন।
এমনকি আমরা ভাবলাম তিনি অন্য কোন নাম বলবেন। তিনি বললেন এটা কি কোরবানির দিন
নয়। আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি বলেন তোমাদের রক্ত তোমাদের ধন সম্পদ মনে করেন এবং
তোমাদের মান সম্মান তোমাদের পরস্পরের উপর ঠিক তেমনি পবিত্র যেমন তোমাদের এ শহরে
মাস আজিকার এ দিন পবিত্র অবিলম্বে তোমরা তোমাদের রবের সাথে মিলিত হবে। তখন তিনি
তোমাদের সকল কাজকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। আমি কি পৌঁছে দিয়েছি। আমি কি
পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করেছি।
কোরবানির বিবরণ এবং কোরবানির জায়গা হলো ঈদগাহ
হযরত নাফে রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আব্দুল্লাহ কোরবানি করার স্থানে
কোরবানি করতেন। ওবায়দুল্লাহ বলেন এর অর্থ নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর কোরবানি
করার স্থানে কোরবানি করতেন।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ দুই শিং বিশিষ্ট দুম্বা জবেহ করা
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ দুটি
দুম্বা কোরবানি করতেন এবং আমি দুটি দুম্বা কোরবানি করতাম।
নিজ হাতে কোরবানির পশু যবেহ করা
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হযরত মোহাম্মদ সাঃ দুটি ধূসর
বর্ণের সাদা ও কালো চিত্রা রঙ এর শিং বিশিষ্ট দুম্বা জবাইও করলেন। আমি দেখলাম
তিনি তার একটি পা দিয়ে দুম্বার পাজরে চাপ দিয়ে রাখলেন এবং বিসমিল্লা ও তাকবীর
বলে শো হতে দুম্বা দুটিকে জবাই করবেন।
নামাজের পূর্বে জবেহ করলে পুনরায় জবেহ করতে হবে
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত হযরত মোহাম্মদ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাজের পূর্বে যবেহ করে। সে যেন দ্বিতীয়বার কুরবানী করে। তখন এক ব্যক্তি বলল এটা তো এমন দিন যাতে গোশত খাওয়ার আগ্রহ হয়ে থাকে। এবং সে তার প্রতিবেশীদের কথা উল্লেখ করল। মনে হয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর অক্ষমতা কবুল করলেন।
সে লোক বলল আমার নিকট ছয় মাসের একটি ছাগলের বাচ্চা আছে। এটা দুটি বকরি হতে
উত্তম। তখন নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তাকে অনুমতি দিলেন। আমার জানা নেই এ অনুমতি
সকলেই কি? পেয়েছো না পাইনি। অতঃপর হযরত মুহাম্মদ সাঃ দুটি দুম্বার দিকে অগ্রসর
হলেন অর্থাৎ সেগুলো জবেহ করলেন। তারপর লোকেরাও বউয়ের দিকে অবসর হয়ে তা জবেহ
করলেন।
জবেহ করার জন্য হাদিয়া পাঠিয়ে দিলে তার উপর এহরাম অবস্থায় মত কিছু হারাম
থাকে না
হযরত মাসরুক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করে তাকে জিজ্ঞেস করলেন। এ মুসলিম জননী কোন লোক তার হাদিয়া প্রেরণ করে। সে নিজে আপন শহরের থেকে গেল এবং সে ওসিহত করে দিল তার কোরবানির পশুর গলায় যেন মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এখন কোরবানি প্রেরণের দিন হতে সব মানুষের এহররম শেষ হওয়া
পর্যন্ত কি সেই ব্যক্তির এহরাম অবস্থায় বহাল থাকবে। বলেন, আমি পর্দার আড়াল
থেকে হযরত আয়েশা রাঃ এর আওয়াজ শুনেছি। তিনি বললেন, আমি স্বয়ং হযরত মোহাম্মদ
সাঃ হাদিয়ার কোরবানির পশুর গলায় মালা পরিয়ে দিতাম। তারপর তিনি তার হাদিয়া
কাবায় পাঠিয়ে দিতেন। তখন স্ত্রীদের সাথে স্বামীদের সাধারণত সে বিশেষ কাজ
হালাল মক্কা হতে মানুষের প্রবর্তন পর্যন্ত হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ওপর সেই কাজটি
হারাম থাকতো না।
কোরবানির গোস্ত কি পরিমাণ খাওয়া যাবে আর কি পরিমান জমা রাখা যাবে
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ বর্ণিত - তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ সাঃ
জমানায় আমরা মক্কা হতে মদিনা উপনীত হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য কোরবানির গোস্ত
জমা করে রাখতাম। অনেকবার লৌহ মোল আজাহীর স্থলে হাদিসের লৌহ-মূল হাদিয়ে বলা
হয়েছে।
কুরআনে বর্ণিত- নবীজিকে আল্লাহতালা নির্দেশ দিয়েছেন আপনি আপনার রবের
উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানী আদায় করুন। (সূরাঃ কাওসার আয়াতঃ ২)
অন্য আয়াতে এসেছে- হে রাসূল! আপনি বলুন আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন আমার মরণ রাব্বুল আলামিনের জন্য উৎসর্গিত। (সূরা আনআম আয়াতঃ ১৬২)
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, নিশ্চয়ই কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। আশা করি, অনেক উপকৃত হয়েছেন।
সর্বশেষ কথাঃ কোরবানি কি - কোরবানি কেন করা হয়
পাঠক বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় যারা পড়েছেন। তারা নিশ্চয়ই কোরবানি কি ও কোরবানি কেন করা হয় এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আরো কোরবানির ইতিহাস, কোরবানির গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানিয়েছে।
আশা করি, আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করবেন।
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ঠিক ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url