দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - বন্ধুরা, আজকের পোস্টে আমি
আপনাদের সামনে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য নিয়ে
হাজির হয়েছি। দুধ আমরা সকলেই চিনি। দুধ খেতে পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ খুঁজে
পাওয়া যায় না। দুধে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও উপাদান বিদ্যমান। দুধ আমাদের শরীরে
পুষ্টির চাহিদা মেটাতে খেয়ে থাকি। কিন্তু অনেকে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে জানেনা। আসুন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নেওয়া যাক, দুধ খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
আপনি কি দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল
সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
জানতে পারবেন। এছাড়াও আরো দুধ পান করার দোয়া, সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা, রাতে
দুধ খাওয়ার উপকারিতা, দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা, দুধ
কলা খাওয়ার উপকারিতা, দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, দুধ সাবু খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা দুধ পান করার দোয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। মহান
আল্লাহ জন্য আমাদের রিজিক সৃষ্টি করেছেন। আর তাই মহান আল্লাহুর সৃষ্টির সকল কিছুর
শুকরিয়া আদায় করা উচিত। যেমনঃ আমাদের সকল কাজ - কর্মের জন্য নির্দিষ্ট দোয়া
রেখেছেন। যে দোয়াটি পড়ে আমাদের কাজ করা উচিত। আবার নির্দিষ্ট খাবারের জন্য
দোয়া রয়েছে। যে কোন খাবার গ্রহণের সময় দোয়া পড়তে হয়।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের জন্য এই খাবারটি বাড়িয়ে দিন এবং এতে বরকত দিন।
উপকারঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত - হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম বলেন, যখন তোমাদের কেউ দুধ পান করবে। তখন এই দোয়া
পাঠ করবে।
দুধ খাওয়ার উপকারিতা
আপনি যদি রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে আমি নিশ্চিত আপনি
প্রতি রাতে দুধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আমাদের আজকের দুধ খাওয়ার উপকারিতা
ও অপকারিতা পোস্টে আপনাদের জন্য থাকছে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি হাড় এবং দাঁত দ্বারা শোষিত হয় এবং তাদের গঠন মজবুত করে। প্রতিদিন দুধ পান করলে দাঁতের ক্ষয়, দাঁতের ব্যথা, দাঁতের ক্ষয় ও হলুদ দাগ, হাড় ক্ষয়ের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
দৈনিক এক গ্লাস দুধ খাদ্য তালিকায় রাখলে তা অন্যান্য খাবারের চাহিদা যথেষ্ট পরিমাণে পূরণ করতে পারে। আপনি সকালের নাস্তায় যে দুধ পান করেন তা আপনার পেটে অনেকক্ষণ থাকবে। ফলাফল ক্ষুধা হ্রাস। উপরন্তু, দুধ শরীরের জন্য বিভিন্ন খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। যদি আপনি ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন তবে দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমাতে চাইলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ এবং বাম রাখুন।
কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ভালো ঘুমের সহায়ক
হাড় মজবুত রাখে
এনার্জি শক্তি বাড়াতে
ত্বক সুন্দর করে
কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ প্রতিদিন, রাতের ঠিক আগে, আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এক গ্লাস তরল দুধ খান। দুধে প্রোটিন উপাদান খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস এবং ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি উভয়ই অবদান রাখে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং এ রয়েছে, যা সবই হার্টের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।
ভালো ঘুমের সহায়কঃ এই সমস্যাগুলি তাদের প্রভাবিত করে যারা রাতে পর্যাপ্ত ঘুম পায় না। মাথাব্যথা এবং মানুষের উত্তেজনার জন্য, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা ঘুমানোর আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ পান করার পরামর্শ দেন। দুধের বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান এর অবশিষ্টাংশ অপসারণ করতে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত রাখেঃভিটামিন ডি সহ দুধ। এটি শরীরের ক্যালসিয়াম উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মজবুত হাড় তৈরি করতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়া উচিত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্টিওআর্থারাইটিস বেশিরভাগ মহিলাদের প্রভাবিত করে। প্রতিদিন রাতে নিয়মিত দুধ পান করলে এ ধরনের অসুখ এড়ানো যায়। যারা ক্রমাগত বাতের ব্যথা অনুভব করেন। বাতের ব্যথা নিরাময়ের জন্য, লোকেরা তাদের প্রতিদিনের খাবারে দুধ যোগ করতে পারে।
এনার্জি শক্তি বাড়াতেঃপ্রতি রাতে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে হবে। ফলে আপনার শরীরে আরও শক্তি থাকবে। দুধ আপনাকে এবং আপনার মনকে শিথিল করতে সাহায্য করে কারণ এতে প্রোটিন এবং লেকটিন রয়েছে। ফলস্বরূপ, আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠলে বিশ্রাম বোধ করবেন। আপনার শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে ঘন ঘন দুধ পান করুন।
ত্বক সুন্দর করেঃ আপনার কি শুষ্ক ত্বক আছে যা অমসৃণ? দুধ পান করা আপনার জন্য ভাল কাজ করে কিনা। তাদের ত্বককে সুস্থ ও কোমল রাখতে অনেকেই মুখে দুধের রস লাগান। দুধ খাওয়ার পর ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং তারুণ্য ধরে রাখে। ভিটামিন বি 12 দুধেও পাওয়া যায়। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এবং আপনার ত্বক সিল্কি নরম হতে থাকে।
সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা
অনেকে আছেন যারা সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা কি এই সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই
পর্বে থাকছে সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা। সকালে দুধ পান করার উপকারিতা ব্যাপকভাবে পরিচিত নয়। সকালের নাস্তায় বেশি প্রোটিন যোগ করতে চাইলে সকালে দুধ পান করতে পারেন।
আপনি যদি নিয়মিত দুধ পান করেন তবে আপনি ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন ছাড়াও এর পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন সামগ্রী থেকে উপকৃত হতে পারেন। ব্যায়াম করতে চাইলে সকালে প্রথমে দুধ পান করুন। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে। এটি আপনার হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
আশা করি, এতক্ষণে আপনারা সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। এখন আমরা জানবো রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা।
রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের আজকের আর্টিকেল দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই পর্বে আপনার জন্য
থাকছে রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে
অসংখ্য। যাদের মাথা ভারী থাকে এবং মানসিক টেনসনে থাকেন।
যারা রাতে জেগে থাকে। ঘুমানোর আগে তাদের এক গ্লাস গরম দুধ খেতে দেওয়া হয়। এর ফলে আপনার ঘুম ভালো হবে। দুধে অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা সেরোটোনিনের উৎস। আপনি রাতে আরামদায়ক ঘুম এবং ফলস্বরূপ সকালে একটি সতেজ শরীর অনুভব করবেন।
মস্তিষ্কে সংকেত সরবরাহ করে, দুধ খাওয়া স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়তা করে। এ কারণে রাতে দুধ পান করলে দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে। রাতে দুধ পানের উপকারিতা সবই কভার করা হয়েছে। রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ইতিমধ্যে রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন। দুধ চা পানের উপকারিতা আমরা এখন বুঝি।
দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা
আপনি কি দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনার সুবিধার্থে
আমাদের আজকের আর্টিকেল দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই পর্বে থাকছে দুধ চা
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। যারা ওজন কমাতে চান। তারা দুধ চা খেতে পারেন।
দুধ চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে এই দুধের চা অন্যান্য দুধের চা থেকে কিছুটা আলাদা হবে। রাতে দুধ পানের সুবিধার পাশাপাশি এই চা বেশ কিছু সুবিধাও দেয়। একটি ছোট কড়াই বা সসপ্যানে আদা ও দারুচিনি ফুটন্ত পানিতে দুই কাপ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দুই মিনিট পর ফুটন্ত পানিতে দুধ ও চা পাতা মিশিয়ে নিন।
একবার মাত্র এক কাপ পানি বাকি থাকলে চা ফিল্টার করুন। তারপর কোকো পাউডার এবং গুড় যোগ করুন। আপনার সামনে পরিবেশনের জন্য আপনার পুষ্টিকর দুধ চা তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য চায়ের তুলনায়, এই চায়ের ক্যালোরি খুবই কম। উপরন্তু, এতে ব্যবহৃত ভেষজ মশলাগুলির রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধা। যা ওজন কমাতে সাহায্য করেবে।
সাধারণত, আপনি এই চা দিনে দুবার খেতে পারেন। অতিরিক্ত পরিমাণে চা খাওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ এটি হজমের সমস্যা হতে পারে। আদা এবং দারুচিনি উভয়ই চায়ের উন্নতি করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, কোকো পাউডারে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এটি বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্ষুধা দমনে সহায়তা করে। গুড় একটি খুব দ্রুত-অভিনয় চর্বি-বার্নিং প্রভাব আছে।
আশা করি, আপনি নিশ্চয়ই আর্টিকেলটি পড়ে দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন। এখন আপনি জানতে পারবেন দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা।
দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা
যারা দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তাদের
জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পর্বে থাকছে দুধ
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কফি স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, এর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং উদাসীনতা, অলসতা, মনোযোগের অভাব এবং খারাপ মনোভাব থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকায় কফি খাওয়ার ফলে অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। উদাহরণঃ
টাইপ টু ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ইউরোলিথিয়াসিস রোগ।
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন।
বেশ কিছু প্রাকৃতিক বয়স-সম্পর্কিত মানসিক স্বাস্থ্য পরিবর্তনের সাথে যুক্ত (যেমন পারকিনসন এবং আলঝেইমার রোগ)।
কফির টনিক এবং ট্যানিং উপাদানগুলি এটির স্বতন্ত্র তিক্ততা এবং সুগন্ধি অনন্য স্বাদ দেয়। অতিরিক্ত রক্তচাপ বাড়ায়, হাইপোটেনসিভ লোকেদের জন্য কফি উপকারী।
আশা করি, এতক্ষণে দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আমরা
জানবো দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা।
দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা কি
দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলে এই পর্বে থাকছে দুধ কলা খাওয়ার
উপকারিতা কি তা সম্পর্কে। অনেক সুস্বাদু ও পছন্দের একটি খাবার হল দুধ, কলা,
ভাত। অনেকেই খেয়ে থাকেন। ডাক্তারি পরিভাষায় দুধ কলা একসাথে খাওয়া মোটে উচিত
নয়।স্বাস্থ্যের জন্য দুধ ও কলা খুব উপকারী। তবে দুধ কলা এক সাথে খাওয়া উপকারি
নয়।
রাতে দুধ পানের উপকারিতা কলা খাওয়ার সুবিধার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। দুধ ও কলা খাওয়া ক্ষতিকর। সাধারণত, ওজন বাড়াতে অনেকেই দুধ এবং কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
যাইহোক, বিজ্ঞান অনুসারে আলাদা দুধ কলা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই ভাল। অতএব, আপনি যদি এর উপকারিতা পেতে চান তবে আপনার আলাদাভাবে দুধ কলা খাওয়া উচিত। তবে কখনই দুধের সাথে কলা খাবেন না কারণ এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
আশা করি, এতক্ষণে আপনারা দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা কি তা সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। এখন আমরা জানবো দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
যারা দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য আমাদের
আজকের আর্টিকেল দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই পর্বে থাকছে দুধ কিসমিস
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কিসমিস লিবিডো বর্ধনশীল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
কিসমিসে পাওয়া যায় আর্জেনিন, যা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এবং যা গর্ভধারণে
সাহায্য করে।
উপরন্তু, ডাক্তাররা যাদের যৌবনের শক্তি নেই তাদের প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বেশি কিসমিস খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তাই সবসময় আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী খান, বিশেষ করে যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে।
যে কারণে ফ্রুক্টোজ গ্লুকোজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। কিশমিশ, যদিও, ছোট কিন্তু সহায়ক। রাতে দুধ খাওয়ার সুবিধা যেমন দুধ পানের উপকারিতা, কিসমিসও অনেক উপকার দেয়।
আশা করি, এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। এখন আমরা জানবো দুধ সাবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
দুধ সাবু খাওয়ার উপকারিতা
বন্ধুরা, আপনারা যারা দূত সাবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য অধীর
আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল দুধ খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা এই পর্বে থাকছে দুধ সাবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
বাচ্চারা ও গর্ভবতী মায়েরা সাবু খেতে অনেক পছন্দ করেন। সাবু খাওয়ার অনেক
উপকারিতা রয়েছে। তবে সাবু খাওয়ার উপকারিতা সাথে সাথে দুধ খাওয়ার উপকারিতা
কিছু সচেতনা রয়েছে। যেগুলো আপনাকে সাবু খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই জানতে হবে।
গর্ভবতী নারীরা দুধ সাবু খেতে পারেন। মাসিক হওয়ার আগে ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়,
সে ক্ষেত্রে দুপুরের খাবারের সময় দুধের সাথে এক বাটি সাবু দানা খেলে শরীরে
অনেক শক্তি পাবেন।
সাবু দানায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি হাড়ের ঘনত্ব এবং হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যদিও খুব বেশি সাবান ব্যবহার করবেন না। এটা জিনিসের ক্ষতি করতে পারে। যাইহোক, গর্ভবতী মহিলাদের তাদের ডাক্তারের নির্দেশ অনুসারে সাবু ব্যবহার করা উচিত। আমি অনুমান করি আপনি ইতিমধ্যেই দুধের সাবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি।
দুধ খাওয়ার অপকারিতা
দুধ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তাই দুধ খাওয়ার আগে আমাদের দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে আপনাদের জন্য দুধ খাওয়ার অপকারিতা দেয়া হলো।
যাদের কিডনিতে সমস্যা আছে তারা দুধ খাবেন। কারণ দুধ খেলে কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
যাদের শরীরে লেটেস্ট নামক এনজাইম এর অভাব আছে। তাদের দুধ খাওয়া উচিত নয়।
যাদের এলার্জি আছে তারা দুধ খাওয়া ব্যাপারে সাবধান হন। কারণ এলার্জির রোগীর দুধ খেতে নিষেধ করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ক্ষেত্রে দুধে এলার্জি দেখা দেয়।
যাদের পেটে অপারেশন করা আছে তাদের দুধ খাওয়া উচিত না। শরীর সুস্থ হওয়ার পর দুধ খেতে পারেন।
যারা পাকস্থলী আলসার বা গ্যাস্টিক আলসারের রোগী রয়েছেন। তাদের দুধ খাওয়া উচিত নয়। দুধ খেলে পেটে ব্যথা ও ডায়রার মত সমস্যা হতে পারে।
সর্বশেষ কথাঃ দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আমরা এই পোস্টের একদম শেষ দিকে চলে এসেছি। আমাদের মধ্যে
অনেকেই আছেন যারা দুধ খুব বেশি আগ্রহ সহ খান না। কারণ তারা দুধ এর
উপকারিতা সম্পর্কে খুব বেশি অবগত নয়। তাদের সুবিধার্থে
আজকের দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
দুধ পান করার দোয়া, দুধ খাওয়ার উপকারিতা, সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা, রাতে
দুধ খাওয়ার উপকারিতা, দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা,
দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা, দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, দুধ সাবু
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। যেন একজন পাঠক এই একটি পোষ্ট পড়ে চিড়া সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য পেয়ে
যান।
পোষ্ট টি আপনার কাছে উপকারী মনে হলে শেয়ার করুন আপনার আত্মীয়-স্বজন
এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে নিজের শেয়ার বাটনগুলো তে ক্লিক করে যেন
তারা এই পোস্টটি পড়ে এর দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন খুব সহজেই।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url