মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার
মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার - আজকের আর্টিকেলে মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ আলোচনা করা হবে। এছাড়া আরো জানতে পারবেন মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার। বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ও ইবাদতের একটি মাস হল মহরম মাস। মহরম মাসে হল হিজরী বছরের দ্বিতীয় মাস। আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ লেখে গুগলে সার্চ করেন। তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট। আজকের পোস্টে আপনাদের সুবিধার্থে মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।
তাহলে দেরি না করে, মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার জেনে নিন। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা জানতে পারবেন মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার তা সম্পর্কে।
পেজের সূচিপত্রঃ মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার
- মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার ভূমিকাঃ
- আশুরা কি?
- আশুরার দিনের ফজিলত
- আশুরা কত তারিখ ২০২৩
- মহররম কত তারিখে ২০২৩
- মহররম কত তারিখে
- আশুরা কবে ২০২৩
- ১০ মহররম ২০২৩
- মহররম ছুটি কত তারিখে ২০২৩
- মহররম কত তারিখে হবে
- মহররমের রোজা কয়টি
- মহররম মাসে রোজা রাখা গুরুত্ব
- আশুরার দিন সম্পর্কে
- মহররম সম্পর্কে কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা
- মহরম মাসে ক্যালেন্ডার ২০২৩
- মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার
- মহরম মাসের ফজিলত
- মহরম মাসের আমল ও দোয়া
- সর্বশেষ কথাঃ মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বারঃ
মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার ভূমিকাঃ
সারা বিশ্বে মহরম মাস মুসলিমদের কাছে ইবাদতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এ মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এবাদত করে সেজদায় কোন কিছু চাইলে আল্লাহ তা'আলা সে বান্দাকে অবশ্যই নিয়ামত দান করেন। এই মাস হযরত মুহাম্মদ সাঃ মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
এই মহরম মাসে মহান আল্লাহ তাআলা অন্যান্য মাস হতে সোয়াব, নেকি, নেয়ামত অনেক বেশি বেশি রেখেছেন। তাই মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা রাখা উচিত। মহরম মাসে বেশি বেশি নেকি ও ইবাদতের মাধ্যমে মাসটি সম্পন্ন করা উচিত। মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ সম্পর্কে জানলে আমরা এই মহরম মাসটিতে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করার সময় পাবো।
মহরম মাসে ক্যালেন্ডার ২০২৩
মহরম মাসকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া একটি কারণে। এ মাসের একটি রাত্রি আছে যা এবাদতের জন্য ইসলামী হাদিস মতে সর্বোত্তম হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। মহরম মাসের মধ্যে রয়েছে সেই একটি রাত সেটি হলো আশুরা। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি জানবেন আশুরার ফজিলত সম্পর্কে জানা দরকার।
প্রতিবছর এই রাত্রিতে মহান আল্লাহতালা সাত আসমান হতে নিচে আসেন বান্দার প্রতিবছরের গুনহা মাফ করার জন্য। এই আশুরার রাত্রিতে আল্লাহতালার কাছে বিশেষ নেয়ামতের একটি রাত। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহরম মাস হলো দ্বিতীয় দ্বিতীয় মাস। মহরম মাসের দশম দিনে সারাদিন রোজা রেখে আশুরা রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে বান্দারা ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে থাকেন।
আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন। আপনার যদি মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ সম্পর্কে ধারনা না থাকে। তাহলে আপনার অবশ্যই মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। আজকে আপনার সুবিধার্থে নিচে মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ সম্পর্কে জানালাম। আশা করি উপকৃত হবেন।
মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার
আমরা মুসলিম বাংলাদেশে বসবাস করি আমাদের মাতৃভাষা বাংলা আমরা সাধারণত বাংলা ও ইংরেজি মাস অনুসরণ করে থাকি। আরবি মাস সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা নেই আমাদের। কিন্তু মুসলিম হিসেবে আমাদেরও পবিত্র মহরম মাসের সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত।
আজকের পোস্টে আপনারা জেনে যাবেন মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার। আজকে মহরম মাসে কত তারিখে বিষয়টি আপনাদের জানাবো। ইংরেজি মাসে অনুযায়ী জুলাই মাসের ২০ তারিখ পহেলা মহরম অর্থাৎ মহরম মাসের ১ তারিখ।
মহরম মাসের ১ তারিখে ইংরেজি সাল অনুযায়ী জুলাই মাসের ২০ তারিখ। এবং বাংলা মাসের শ্রাবণ মাসের ৫ তারিখ। আরবি মাসের সব মাসগুলোই চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।
অনেকে আছেন যারা মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার তা জানতে চেয়েছেন। মহরম মাসের ১০ তারিখ ইংরেজি সাল অনুযায়ী জুলাই মাসের ২৯ তারিখ। এবং বাংলা মাসের শ্রাবণ মাসের ১৪ তারিখ। আরবি মাসের সব মাসগুলোই চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। মহরম মাসের শেষ তারিখ হলে ১৭ আগস্ট।
মহরম মাসের ফজিলত
মহরম মাসের ফজিলতঃ পবিত্র মহরম মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ১০ মহরম রাত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সময়। মহান আল্লাহতালার কাছে তার বান্দার চাওয়া পাওয়ার একটি রাত। হযরত মোহাম্মদ সাঃ ইরশাদ করেছেন, মহরম মাসে ৯,১০,১১ তিনটি রোজা রাখতে হবে। যদি কেউ তিনটি রোজা না পারে। তাহলে দুইটি ৯ -১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ রোজা রাখবে। মহরম রাতে তোমরা জেগে থেকে ইবাদত করো এবং রোজা রাখ। এই হাদিস থেকে জানা যায়, মহরম মাসে ২টি রোজা রাখা আমাদের মুসলিমদের জন্য উত্তম।
পৃথিবীতে একজন মুসলমান হিসেবে বছরব্যাপী প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা সুন্নত। পতিত মহরম মাসের ১৩-১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে নফল রোজা রয়েছে। মহরম মাসের ৯, ১০, ১১ তারিখে রয়েছে নফল রোজা। যদি কেউ ৩টি রোজা রাখতে না পারে সে ক্ষেত্রে ২টি রোজা রাখবে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মহরম মাসে ৩টি নফল রোজা করতেন। এ থেকে বোঝা যায় এই মহরম মাসটা আমাদের জন্য কত ইবাদতের জন্য উত্তম।
মহরম মাসের আমল ও দোয়া
মহরম মাসটি হচ্ছে আরবি বর্ষের প্রথম মাস। উক্ত মাসটিতে আহলে বাইত (আ.) দেরকে কারবালার মরুপ্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শহিদ করা হয়।
বিভিন্ন রেওয়ায়েতের বর্ণনা অনুযায়ি উক্ত রাতে বেশ কিছু নামাজ বর্ণিত হয়েছে যেমন:
১- ২ রাকাত নামাজ পাঠ করা। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ১ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতিয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পাঠ করতে হবে।
২- দুই রাকাত নামাজ পাঠ করতে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সুরা আনআম। দ্বিতিয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে।
৩- দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ১১ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতিয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পাঠ করতে হবে।
উক্ত রাতের আমল সম্পর্কে রাসুল (সা.) থেকে রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ ১লা মহরম সারা রাত্রি ইবাদত করে এবং দিনে রোজা রাখে তাহলে সে সারা বছর মঙ্গল এবং রক্ষিত অবস্থার মধ্যে থাকবে আর যদি সে মারা যায় তাহলে সে বেহেস্তবাসি হবে।
ইমাম রেযা (আ.) থেকে রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যে রাসুল (সা.) উক্ত তারিখে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন এবং নামাজান্তে হাতদ্বয়কে তুলে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করতেন।
اَللّهُمَّ اَنْتَ الاِْلهُ الْقَدیمُ وَهذِهِ سَنَةٌ جَدیدَةُ فَاَسْئَلُک فیهَاالْعِصْمَةَ مِنَالشَّیطانِ وَالْقُوَّةَ عَلى هذِهِ النَّفْسِ الاْمّارَةِ بِالسّوَّءِ وَالاِْشْتِغالَ بِما یقَرِّبُنى اِلَیک [یاکریمُ] یا ذَاالْجَلالِ وَالاِْکرامِ یا عِمادَ مَنْ لا عِمادَ لَهُ یا ذَخیرَةَ مَنْ لا ذَخیرَةَ لَهُ یا حِرْزَ مَنْ لا حِرْزَ لَهُ یا غِیاثَ مَنْ لا غِیاثَ لَهُ یا سَنَدَ مَنْ لا سَنَدَ لَهُ یا کنْزَ مَنْ لا کنْزَ لَهُ یا حَسَنَ الْبَلاَّءِ ی ا عَظیمَ الرَّج اَّءِ ی ا عِزَّ الضُّعَف آءِ ی ا مُنْقِذَ الْغَرْقى یا مُنْجِىَ الْهَلْکى یا مُنْعِمُ یا مُجْمِلُ یا مُفْضِلُ یا مُحْسِنُ اَنْتَ الَّذى سَجَدَ لَک سَوادُ اللَّیلِ وَنُورُ النَّهارِ وَضَوْءُ الْقَمَرِ وَشُعاعُ الشَّمْسِ وَدَوِىُّ الْمآءِ وَحَفیفُ الشَّجَرِ یا اَللّهُ لا شَریک لَک اَللّهُمَّ اجْعَلْنا خَیراً مِمّا یظُنُّونَ وَاغْفِرْ لَنا ما لا یعْلَمُونَ وَلا تُؤ اخِذْنا بِما یقُولُونَ حَسْبِىَ اللّهُ لا اِلهَ اِلاّ هُوَ عَلَیهِ تَوَکلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظیمِ امَنّا بِهِ کلُّ مِنْ عِنْدِ رَبِّنا وَما یذَّکرُ اِلاّ اُولُوا الاْلْبابِ رَبَّنا لاتُزِغْ قُلُوبَنا بَعْدَ اِذْ هَدَیتَنا وَهَبْ لَنا مِنْ لَدُنْک رَحْمَةً اِنَّک اَنْتَ الْوَهّابُ
মহরম মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা উত্তম। কিন্তু ১০ই মহরম আসর পর্যন্ত রোজা অবস্থায় থাকা উত্তম। উক্ত দিনে রোজা না রাখার পিছনে অন্যান্য কারণ সমূহের মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে উক্ত দিনে বণি উমাইয়াগণ মানত করেছিল যে, যদি তারা ইমাম হুসাইন (আ.)কে হত্যা করতে পারে এবং এজিদ জয়ি হয় তাহলে তারা রোজা রাখবে।
৩র মহরমের আমল
উক্ত তারিখে হজরত ইউসুফ (আ.) কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। সুতরাং উক্ত দিনে রোজা রাখা হচ্ছে মুস্তাহাব।
১০ই মহরমের রাত্রি (শবে আশুরা)
উক্ত রাতে ২ রাকাত নামাজ পড়া উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ৩ বার সুরা ইখলাস। দ্বিতিয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পাঠ করতে হবে। সকল নামাজের শেষে ৭০ বার বলতে হবে।
سُبْحانَ اللّهِ وَالْحَمْدُلِلّهِ وَلااِلهَ اِلا اللّهُ وَاللّهُ اَکبَرُ وَلا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ اِلاّ بِاللّهِ الْعَلِىِّ العَظیمِ
অতঃপর ইস্তেগফার পাঠ করা উত্তম।
উক্ত রাতের শেষভাগে ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করা উত্তম। প্রথশ রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস প্রত্যেকটি ১০ বার করে পাঠ করতে হবে। দ্বিতিয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পাঠ করতে হবে। নামাজান্তে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করা উত্তম।
অন্য এক রেওয়ায়েতের বর্ণনা অনুযায়ি ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করতে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সুরা ইখলাস ৫০ বার পাঠ করতে হবে। দ্বিতিয় রাকাটিও অনুরূপভাবে পাঠ এবং নামাজান্তে বেশি দুরুদ শরিফ পাঠ করা এবং আহলে বাইত (আ.) এর শত্রুদের প্রতি অভিসম্পাত করা উত্তম।
১০ই মহরমের আমল
উক্ত দিনে উত্তম হচ্ছে সকল খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর বলেন, (আ.) এর কষ্টকে স্মরণ করে শোকানুষ্ঠানের আয়োজন। একে অপরের সাথে সাক্ষাতকালে কথা বলা উত্তম।
اَعْظَمَ اللّهُ اُجُورَنا وَاُجورَکمْ بِمُصابِنا بِالْحُسَینِ عَلَیهِ السَّلامُ وَجَعَلَنا وَاِیاکمْ مِنَ الطّالِبینَ بِثارِهِ مَعَ وَلِیهِ الاِْمامِ الْمَهْدِىِّ مِنْ الِ مُحَمَّدٍ عَلَیهِمُ السَّلامُ
যদি কেউ আশুরার দিন কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারে উপস্থিত থাকে। তাহলে কারবালার শহিদদের পিপাসাকে স্মরণ করে মুসলমানদেরকে পানি পান করানো হচ্ছে উত্তম।
উক্ত দিনে ১০০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করা হচ্ছে উত্তম।
উক্ত দিনে ১০০০ বার আহলে বাইত (আ.)দের শত্রুদের প্রতি অভিসম্পাত করা উত্তম।
اَلّلهُمَّ الْعَنْ قَتَلَةَ الْحُسَینِ علیه السلام
উক্ত দিনে যিয়ারতে আশুরা পাঠ করা উত্তম।
উক্ত দিনে নিন্মোক্ত যিয়ারতটি পাঠ করা উত্তম
اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ ادَمَ صَفْوَةِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ نُوحٍ نَبِىِّ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ اِبْراهیمَ خَلیلِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ مُوسى کلیمِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ عیسى رُوحِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ مُحَمَّدٍ حَبیبِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ عَلِی اَمیرِ الْمُؤْمِنینَ وَلِىِّ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا وارِثَ الْحَسَنِ الشَّهیدِ سِبْطِ رَسُولِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا بْنَ رَسُولِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا بْنَ الْبَشیرِ النَّذیرِ وَابْنَ سَیدِ الْوَصِیینَ اَلسَّلامُ عَلَیک یابْنَ فاطِمَةَ سَیدَةِ نِسآءِ الْعالَمینَ اَلسَّلامُ عَلَیک یا اَبا عَبْدِ اللّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا خِیرَةَ اللّهِ وَابْنَ خِیرَتِهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا ثارَ اللّهِ وَابْنَ ثارِهِ اَلسَّلامُ عَلَیک اَیهَا الْوِتْرُ الْمَوْتُورُ اَلسَّلامُ عَلَیک اَیهَا الاِْمامُ الْهادِى الزَّکىُّ وَعَلى اَرْواحٍ حَلَّتْ بِفِناَّئِک وَاَقامَتْ فى جِوارِک وَوَفَدَتْ مَعَ زُوّارِک اَلسَّلامُ عَلَیک مِنِّى ما بَقیتُ وَبَقِىَ اللَّیلُ وَالنَّهارُ فَلَقَدْ عَظُمَتْ بِک الرَّزِیةُ وَجَلَّ الْمُصابُ فِى الْمُؤْمِنینَ وَالْمُسْلِمینَ وَفى اَهْلِ السَّمواتِ اَجْمَعینَ وَفى سُکانِ الاْرَضینَ فَاِنّا لِلّهِ وَاِنّا اِلَیهِ راجِعُونَ وَصَلَواتُ اللّهِ وَبَرَکاتُهُ وَتَحِیاتُهُ عَلَیک وَعَلى ابآئِک الطّاهِرینَ الطَّیبینَ الْمُنْتَجَبینَ وَعَلى ذَراریهِمُ الْهُداةِ الْمَهْدِیینَ اَلسَّلامُ عَلَیک یا مَوْلاىَ وَعَلَیهِمْ وَعَلى [رُوحِک وَعَلى ] اَرْواحِهِمْ وَعَلى تُرْبَتِک وَعَلى تُرْبَتِهِمْ اَللّهُمَّ لَقِّهِمْ رَحْمَةً وَرِضْواناً وَرَوْحاً وَرَیحاناً اَلسَّلامُ عَلَیک یا مَوْلاىَ یا اَبا عَبْدِاللّهِ یا بْنَ خاتَمِ النَّبِیینَ وَیا بْنَ سَیدِ الْوَصِیینَ وَیا بْنَ سَیدَةِ نِسآءِ الْعالَمینَ اَلسَّلامُ عَلَیک یا شَهیدُ یا بْنَ الشَّهیدِ یا اَخَ الشَّهیدِ یا اَبَا الشُّهَدآءِ اَللّهُمَّ بَلِّغْهُ عَنّى فى هذِهِ السّاعَةِ وَفى هذَا الْیوْمِ وَفى هذَا الْوَقْتِ وَفى کلِّ وَقْتٍ تَحِیةً کثیرَةً وَسَلاماً سَلامُ اللّهِ عَلَیک وَرَحْمَةُاللّهِ وَبَرَکاتُهُ یابْنَ سَیدِالْعالَمینَ وَعَلَى الْمُسْتَشْهَدینَ مَعَک سَلاماً مُتَّصِلاً مَا اتَّصَلَ اللَّیلُ وَالنَّهارُ السَّلامُ عَلَى الْحُسَینِ بْنِ عَلِىٍّ الشَّهیدِ السَّلامُ عَلى عَلِىِّ بْنِ الْحُسَینِ الشَّهیدِ اَلسَّلامُ عَلَى الْعَبّاسِ بْنِ اَمیرِ الْمُؤْمِنینَ الشَّهیدِ السَّلامُ عَلَى الشُّهَدآءِ مِنْ وُلْدِ اَمِیرِ الْمُؤْمِنینَ اَلسَّلامُ عَلَى الشُّهَدآءِ مِنْ وُلْدِ الْحَسَنِ اَلسَّلامُ عَلَى الشُّهَدآءِ مِنْ وُلْدِ الْحُسَینِ السَّلامُ عَلَى الشُّهَدآءِ مِنْ وُلْدِ جَعْفَرٍ وَعَقیلٍ اَلسَّلامُ عَلى کلِّ مُسْتَشْهَدٍ مَعَهُمْ مِنَ الْمُؤْمِنینَ اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَ الِ مُحَمَّدٍ وَبَلِّغْهُمْ عَنّى تَحِیةً کثیرَةً وَسَلاماً اَلسَّلامُ عَلَیک یا رَسُولَ اللّهِ اَحْسَنَ اللّهُ لَک الْعَزآءَ فى وَلَدِک الْحُسَینِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا فاطِمَةُ اَحْسَنَ اللّهُ لَک الْعَزآءَ فى وَلَدِک الْحُسَینِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا اَمیرَ الْمُؤْمِنینَ اَحْسَنَ اللّهُ لَک الْعَزآءَ فِى وَلَدِک الْحُسَینِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا اَبا مُحَمَّدٍ الْحَسَنَ اَحْسَنَ اللّهُ لَک الْعَزآءَ فى اَخیک الْحُسَینِ یا مَوْلاىَ یا اَبا عَبْدِاللّهِ اَنَا ضَیفُ اللّهِ وَضَیفُک وَجارُ اللّهِ وَجارُک وَلِکلِّ ضَیفٍ وَجارٍ قِرىً وَقِراىَ فى هذَا الْوَقْتِ اَنْ تَسْئَلَ اللّهَ سُبْحانَهُ وَتَعالى اَنْ یرْزُقَنى فَکاک رَقَبَتى مِنَ النّارِ اِنَّهُ سَمیعُ الدُّعآءِ قَریبٌ مُجیبٌ
উক্ত আমলটি ইমাম জাফর সাদিক (আ.) আব্দুল্লাহ বিন সানানকে শিক্ষা দেন। আমলটি হচ্ছে নিন্মরূপ: আশুরার দিন খোলা আকাশের নিচে ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করতে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সুরা কাফেরুন এবং দ্বিতিয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। পরের দুই রাকাতের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সুরা আহযাব এবং দ্বিতিয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে সুরা মুনাফেকুন পাঠ করা উত্তম।
অতঃপর ১০০০ বার পাঠ করতে হবে:
اَلّلهُمَّ الْعَنْ قَتَلَةَ الْحُسَینِ و اصحابه
অতঃপর উক্ত স্থানে থেকে উঠে দাড়িয়ে কয়েক ধাপ সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বলতে হবে:
إنّالِلَّهِ وَ إنَّا إلَيْهِ راجِعُونَ، رِضًى بِقَضَائِهِ، وَ تَسْلِيماً لِاَمْرِهِ
উক্ত আমলটি ৭ বার সম্পাদন করতে হবে। অতঃপর নিজের স্থানে বসে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করতে হবে।
اللَّهُمَّ عَذِّبِ الْفَجَرَةَ، الَّذِينَ شَاقُّوا رَسُولَكَ، وَ حَارَبُوا اَوْلِيَاءَكَ، وَ عَبَدُوا غَيْرَكَ، وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَكَ، وَالْعَنِ الْقَادَةَ وَالاَتْبَاعَ، وَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ، فَخَبَّ وَ اَوْضَ
সর্বশেষ কথা - মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার
মুসলিম বিশ্বের দৃষ্টিকোণ থেকে মহরম মাসের গুরুত্ব ইসলাম ধর্মে অনেক বেশি। তাই আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ ও মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার। কারণ আমরা মুসলিম আর মুসলিমদের ইবাদতের জন্য মহান আল্লাহতালা সৃষ্টি করেছেন। ইসলামে কিছু বিশেষ বিশেষ দিন রয়েছে যেগুলো আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। যা আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তার হাদিস দ্বারা শিখিয়ে গেছেন। তাহলে বন্ধুরা নিশ্চয়ই আপনারা আমাদের পোস্টটি পড়ে মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার জেনে গেছেন।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, নিশ্চয়ই আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পেরেছি। আপনাদের যদি মহরম মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৫ - মহরম মাসের ১০ তারিখ কি বার সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url