OrdinaryITPostAd

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ -12 রবিউল আউয়াল কবে 2023

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 - প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 এ সম্পর্কে অবগত নন। আজকের পোস্টটি তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিন।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ

আবার এক বছর পরে ফিরে এলো লাখ লাখ মুসল্লিদের  আনন্দের একটি দিন ঈদে মিলাদুন্নবী। আপনি কি জানেন ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023। আর তাই প্রতিনিয়তে অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হবে? আমাদের আজকের আর্টিকেলে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 এর পাশাপাশি ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সারা বিশ্বে সকল মুসল্লীগণ হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্মবার্ষিকী এর উদ্দেশ্যে দোয়া পড়ে থাকেন। ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা থাকে। হাজারো মুসল্লির কাছে এই দিনটি পবিত্র ও তাৎপর্য সম্পন্ন। আর তাই এই দিনটির তারিখ জানার প্রয়োজন থাকে। প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কাছে বার্তা নিয়ে আসে। 

আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে আমি হান্ডেট পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনি ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেগুলো আপনার জন্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঈদে মিলাদুন্নবী কি?

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের পোস্টে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023। আমি আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করব ঈদে মিলাদুন্নবী কি সে বিষয় সম্পর্কে।

ঈদ শব্দের অর্থ খুশি বা আনন্দ উদযাপন এবং মিলাদুন্নবী অর্থ নবী মুহাম্মদের জন্ম বা আগমন। আমরা মুসলমানদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবীর অনেক ফজিলত রয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করলে এ দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমরা সহজেই জানতে পারি। 

এক কথায়, ঈদে মিলাদ-উন-নবী মানে আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমন উদযাপন করা। আমাদের বাংলাদেশের সকল মুসলমান এই উদযাপনকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলে এবং পশ্চিমারা এই উদযাপনকে নবী দিবস বলে।

ঈদে মিলাদুন্নবী বলতে বোঝায় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের পৃথিবীতে আগমনকে। ফলে এই দিনটি হয়ে ওঠে হাজারো মুসল্লীদের কাছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম দিবস একটি দিন। ১২ ই রবিউল আউয়াল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তিনি কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।

তার আগমনে এই দিনটিকে মুসল্লীগণ অনেক পবিত্র সম্মানের দিক দিয়ে বিবেচনা করেন। তার আগমনে সারা বিশ্বের মুসল্লীগণ এই দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে। যদিও ঈদে মিলাদুন্নবী পালনে হাদিসে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

১২ই রবিউল আউয়াল আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহকে খুশি করার জন্য এই দিনে রোজা রাখতেন। আমরা জানি বা বিশ্বাস করি যে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহর কোন শরীক নেই। আল্লাহ তায়ালা নামায, রোযা, যাকাত ইত্যাদি কিছুই করেননি, তবে তিনি একটি কাজ করতেন আর তা হল বেশি বেশি নামায পড়া। সমস্ত ফেরেশতা বারবার এই দুআ পাঠ করেন। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো এই দিনে রোজা রাখা এবং বেশি বেশি দোয়া করা।

আশা করি ঈদে মিলাদুন্নবী কি এ বিষয়ে আপনারা ধারণা নিতে পেরেছেন এখন আমরা জানবো ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখে।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ

শ্রদ্ধেয় দর্শক মন্ডলী, আমাদের আজকের আর্টিকেল এই পর্বে আমরা এখন জানব ঈদে মিলাদুন্নবী 2023 কত তারিখে। যারা এই বিষয়ে গুগলে সার্চ করে আমাদের আজকের আর্টিকেল খুঁজে পেয়েছেন। তাদের জানাই অভিনন্দন। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখে তা জানানো হলো।

আরবি সকল মাস নির্ধারণ করা হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আর তাই সফর মাসের শেষের দিন অর্থাৎ সফর মাসের ৩০ তারিখ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখে তা নির্ধারণ করা হবে বিভিন্ন গবেষণায় হিসাব নিকাশ করে যে সকল তথ্য পাওয়া গেছে সেই সূত্র অনুসারে, ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেছি। 

২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। আরবি ১৪৪৫ হিজরী আরবি মাসের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। এবং বাংলা ১৪৩০ বছরের আশ্বিন মাসের ১৩ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার। ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হবে। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন এ বছরের ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

12 রবিউল আউয়াল কবে 2023

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের পোস্টে আমরা এখন জানবো 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 সম্পর্কে। আরবি  ১২ মাসের ৩৬৫ দিন। আর বারো মাসে এক বছর। আর এই বারো মাসের একটি মাস হল রবিউল আউয়াল মাস। আরবি মাসের তৃতীয় মাস হল রবিউল আউয়াল মাস। এই মাসে রয়েছে মুসলিমদের বড় একটি ফজিলতের দিন কারণ এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন।  

আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ। যার জন্মের কারণে এই মাসটি হয়েছে অতি পবিত্র। এই মাসে কোন ব্যক্তি রোজা রেখে নফল নামাজ পড়ে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের ওপর দরুদ পড়ে যদি কোন কিছু আল্লাহ তালার কাছে চাই। তাহলে আল্লাহ তাআলা সে ব্যক্তিকে অবশ্যই তার চাওয়ার থেকে বেশি দিয়ে থাকেন।

আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 কবে তাদের সুবিধার্থে নিচে জানানো হলো 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 তা সম্পর্কে। ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। আরবি ১৪৪৫ হিজরী আরবি মাসের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। এবং বাংলা ১৪৩০ বছরের আশ্বিন মাসের ১৩ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার। ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হবে। 

ঈদে মিলাদুন্নবী কবে পালন করা হয় ২০২৩

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন ঈদে মিলাদুন্নবী কবে পালন করা হয় ২০২৩ এ বিষয়ে সম্পর্কে। এখন আমি তাদের জানাতে চাই ঈদে মিলাদুন্নবী ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হবে।

আশা করি আপনারা যারা অধীর আগ্রহে ঈদে মিলাদুন্নবী কবে পালন করা হবে ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে ঈদে মিলাদুন্নবী কবে পালন করা হয় ২০২৩ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কিত হাদিস ২০২৩

শ্রদ্ধেয় দর্শক মন্ডলী, আমাদের আজকের আর্টিকেল ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ ও 12 রবিউল আউয়াল কবে 2023 এই পর্বে আমি আপনাদের সাথে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কিত হাদিস ২০২৩ সম্পর্কে আলোচনা করব। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কিত হাদিস ২০২৩ দেওয়া হল।

উম্মাহর সংকটময় সন্ধিক্ষণে, তৎকালীন নেতৃস্থানীয় ইমামগণ ও মুজতাহেদীনগণ কুরআন, হাদীস, ইজমার মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তাঁর সাহাবীদের আক্বীদাকে সমুন্নত রাখার জন্য অসংখ্য গ্রন্থ সংকলন করেন। আর সংকলন এবং কিয়াস। যারা তাকে অনুসরণ করে তাদের বলা হয় আহলুস সুন্নাত আল জামাত। এই দলটি আজ থেকে প্রায় 1436 বছর ধরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ দলের মুখপাত্ররা চারটি দলিলের ভিত্তিতে বিশ্বাসের বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতেন। তাই আমাদের সবসময় এই নীতি মনে রাখা উচিত। আজকের যুগে কিছু ক্ষুদ্র গোষ্ঠী সমাজকে বিভ্রান্তির কুয়াশায় নিমজ্জিত করার জন্য বিশ্বাস হারানোর লড়াই করছে। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কিয়াম, ফরজ নামাজের পর হাত তোলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তারা মুহাম্মাদ উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। 

তাদের অন্ধ চোখ খুলে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন পবিত্র কোরান-হাদিসের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিতর্ক নিরসনে মহানবী (সা.)।

অভিধান অনুসারে মিলাদ, মওলিদ ও মওলুদ এই তিনটি শব্দের অর্থ একই। আরবী ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ অভিধান লেসানুল আরব এবং সবচেয়ে বড় অভিধান তাজুল আরুছ, কামুস, মুহকাম, তাহজিব, আশশ, ছেহাহ এবং জাওহরী এবং মিছবাহ ইত্যাদি লোগা (অভিধান) বলে যে আলেদ, মাওলুদ শব্দের অর্থ সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। মৌলুদুর রেজাল অর্থ জন্ম তারিখ, জন্মস্থান। 

মিলাদুর রেজাল মানে জন্ম তারিখ, জন্মদিন। জন্মতারিখ ও জন্মদিন ছাড়া মিলাদ-এর কোনো মানে হয় না। তাই মীলাদুন্নবী, মাওলাদুন্নবী ব্যাখ্যা হলো হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম কাহিনী ও সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা। (এবং আমরা সবাই জানি যে ঈদ মানে আনন্দ বা আনন্দ প্রকাশ করা। 

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাখ্যা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন বা জন্মকাহিনী এবং তা নিয়ে আলোচনা করা বা উদযাপন করা। ওয়া-এর আগমন। -সাল্লাম। তাই বুকে ধারণ করা হয়। সুন্নি আলেমরা এই বরকতময় মাসটিকে ঈদ-ই-মিলা দুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলে থাকেন এবং পালন করেন।)

পবিত্র কুরআনের আলোকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী: পবিত্র কুরআনের কিছু আয়াত এখানে উল্লেখ করা হলো। যার দ্বারা মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মীলাদ উদযাপন শুধু বৈধই নয় বরং একটি সৎকর্ম হিসেবেও প্রমাণিত হয়। যা নিচে বর্ণনা করা হলঃ

১ম আয়াতঃ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেন- "হে মানবজাতি! তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে উপদেশ, এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, মুসলমানদের জন্য হেদায়েত ও রহমত। বলুন, হে রাসূল! আল্লাহর পক্ষ থেকে। আল্লাহ তাকে আশীর্বাদ করুন।" দাও, যাতে তারা এতে আনন্দ করতে পারে, এটা তাদের সঞ্চয়ের চেয়ে ভালো। (সূরা ইউনুস: 57-58)

এই আয়াতে কারিমাকে 'নির্দেশ ও করুণা' প্রাপ্তিতে আনন্দ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এবং বলা হয় যে এটি সমস্ত অনুশীলনের চেয়ে উত্তম। এখন প্রশ্ন হল, 'হিদায়েত ও রহমত'-এর উদ্দেশ্য কী? ইমাম ইবনে জারীর বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর তাবেয়ী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, "হেদায়েত" বলতে ইসলাম এবং "রহমত" বলতে কুরআনকে বোঝায়।

হাফেজ হাদিসটি আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহমাতুল্লাহি তাআলা আলায়হি তাঁর বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর 'আদ্দুরুল মনসুরে' একই সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন।

'রুহুল মায়ানী' গ্রন্থে আল্লামা নিসারউদ্দিন মাহমুদ আলুসী রহমাতুল্লাহি তালা আলাইহি বর্ণনা করেছেন এভাবে। তাফসিরের বর্ণনা স্পষ্ট করে যে আপনি মূল্যবান সম্পদ পেয়েছেন তাই ঈদ উদযাপন করুন বা খুশি উদযাপন করুন।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানের সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে বলেন, "এবং আমি আপনাকে শুধুমাত্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি। এখানে মহানবী (সা.)-এর প্রতি রহমত হিসেবে বলা হয়েছে। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, "এবং আল্লাহ তায়ালা তোমাকে যে অনুগ্রহ দিয়েছেন। স্মরণ কর (সূরা আল ইমরান: 103)

মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ দুনিয়াতে যত নিয়ামত দান করেছেন তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। এ দুটি আয়াতের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ঈদের দিনে মহানবী (সা.)-এর জন্মদিন উদযাপন করাই সর্বোত্তম আমল।

ঈদ-ই-মিলা দুন্নবী (সা.) উদযাপন মহানবী (সা.)-এর আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আল্লাহর কালাম মান্য কর, রাসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা সৎ শাসক, ইমাম, মুজতাহিদ, শরীয়াহ মাযহাবের আইনজ্ঞ তাদের আনুগত্য কর।"

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জানতে পারি যে, পবিত্র কুরআনে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আলোচনা রয়েছে। আর এটাকে বলা হয় নেক আমল। তাই আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী এটি একটি মহান ইবাদতে পরিণত হয়।

ঈদ-ই-মিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীসের আলোকে রহমত বর্ষিত হোক: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের যুগেও মিলাদ শরীফ পালিত হতো। নবীজির মিলাদ সম্পর্কে প্রায় 218টি হাদিস রয়েছে। তার কিছু হাদিস এখানে পেশ করা হলো।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হবে?

আপনি কি ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কবে অনুষ্ঠিত হবে সম্পর্কে অবগত নন। আপনি কি গুগলে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইট পেয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল ওপেন করেছেন ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হবে তা জানার জন্য। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকে আপনি এই মুহূর্ত থেকে জেনে যাবেন ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলা আশ্বিন মাসের ১৩ তারিখ। আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। এবং ইংরেজি সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ। রোজ বৃহস্পতিবার ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটি ২০২৩?

আজকের প্রশ্ন ইতিমধ্যে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখে, 12 ই রবিউল আউয়াল কবে ২০২৩, ঈদে মিলাদুন্নবী কবে পালন করা হয় ২০২৩ এবং ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কিত হাদিস ২০২৩, ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কবে অনুষ্ঠিত হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত উপরের দিকে জানিয়েছি। এখন আমরা জানবো ঈদে মিলাদুন্নবী সুখের সম্পর্কে।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃপক্ষ হতে ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে 28 তারিখে রোজ বৃহস্পতিবার ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ থেকে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই দিনেই স্কুল, প্রতিষ্ঠান, অফিস ছুটি থাকবে। আশা করি আপনারা এতক্ষনে নিশ্চয় ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটি ২০২৩? তা জানতে পেরেছেন।

সর্বশেষ কথা ঃ ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ -12 রবিউল আউয়াল কবে 2023

শ্রদ্ধেয় দর্শক মন্ডলী, আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেল এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলেন। আশা করি তারা নিশ্চয়ই ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে রচনা, ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত, ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বক্তব্য এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।

আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url